ভবঘুরেকথা
ফকির লালন শাহ্

ফকির লালন সাঁইজীর দোলপূর্ণিমা উৎসব
৫ চৈত্র থেকে ৭ চৈত্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ
২০ থেকে ২২শে মার্চ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
বুধবার থেকে শুক্রবার

লালন আখড়া
ছেউড়িয়া, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।


: যাতায়াত :

-ঢাকা থেকে-
বাস সার্ভিস

সরাসরি বাসে (যমুনা সেতু দিয়ে)
গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়দাবাদ থেকে
বাসে করে সরাসরি যাওয়া যায় কুষ্টিয়া শহর।
সেখান থেকে অটো বা রিক্সাতে করে লালন আখড়ায়।

বাস (পদ্মা পারাপার)
গাবতলী থেকে আরিচা ঘাট
সেখান থেকে লঞ্চ, স্প্রীডবোর্ড বা ফেরীতে করে
পদ্মা পারি দিয়ে ঐপার থেকে বাসে করে কুষ্টিয়া।
নামতে হবে কুষ্টিয়া শহরের দবির মোল্লার গেটে।
সেখান থেকে কয়েক মিনিট হেঁটে বা ভ্যানে করে যাওয়া যায়।

গাবতলী থেকে পদ্মা লাইন গাড়ি যায় সরাসরি আরিচা ঘাট
আর ঐ পার থেকে পদ্মা গড়াই গাড়ি যায় কুষ্টিয়া।


-ঢাকা থেকে-
ট্রেন সার্ভিস

যারা ঠিক করে রেখেছেন এবার কুষ্টিয়ায় যাবেন ট্রেনে, তারা যেনে নিন কিভাবে যাবেন ঢাকা থেকে। ঢাকা থেকে ট্রেনে কুষ্টিয়া যাওয়া নিয়ে লিখেছেন রাহাত বিন হাশেম।

ঢাকা থেকে কূষ্টিয়া যাওয়া কোন সরাসরি ট্রেন ব্যবস্থা নেই। আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হল ঢাকা থেকে দুইটা গন্তব্যের ট্রেন ধরতে পারেন।
১. পোড়াদহ জংশন
২. ইশ্বরদী বাইপাস

পোড়াদহ জংশন
পোড়াদহ কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার একটা ইউনিয়ন। এটা একটা জংশন স্টেশন। এখান থেকে আরেকটা লাইন কুষ্টিয়া হয়ে রাজবাড়ি হয়ে গোয়ালন্দঘাট স্টেশন পর্যন্ত গেছে। ঢাকা থেকে পোড়াদহ জংশন থেমে দুটো ট্রেন যায়, দুটোই খুলনাগামী ট্রেন। চিত্রাএক্সপ্রেস ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছাড়ে ভোর ৬ টায় ঢাকা থেকে এবং পোড়াদহ পৌছায় বেলা সাড়ে ১২ টায়। চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টায়, পোড়াদহ পৌছায় রাত সাড়ে ১২ টায়।

ভাড়া : ৩৬০ টাকা (শোভন চেয়ার)

আপনি পৌছে তো গেলেন পোড়াদহ। এবার ট্রেন থেকে নেমে যান প্ল্যাটফর্মে। ইঞ্জিনমুখি হয়ে হাতের বামে ওভারব্রিজের দিকে এগোতে থাকেন। প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে বাম পাশেই পরের প্ল্যাটফর্মে উঠে ব্রিজের পাশ দিয়ে একটা রাস্তা নেমে গেছে যেটা বাজারের ভেতর দিয়ে দুই মিনিট হাঁটিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে সিএনজি স্ট্যান্ডের কাছে। সিএনজি আপনাকে কুষ্টিয়া মজমপুর গেটে নিয়ে যাবে, ভাড়া ২৫-৩০ টাকা। মজমপুর থেকে ছেঁউড়িয়া ৩০ টাকা রিক্সা ভাড়া। অটোতে জনপ্রতি ১০ টাকা।

ইশ্বরদি বাইপাস
আমি সাধারনত এই পথ ব্যবহার করি। ৩-৪ জনের উদ্দ্যমি দলের জন্য আশা করা যায় এই পথটা চমৎকার হতে পারে। আপনি রাত ১১.১০ এ পদ্মা এক্সপ্রেসে ইশ্বরদি বাইপাসের টিকেট করে উঠে পড়বেন।

ভাড়া : ২৯৫ টাকা।

পদ্মা এক্সপ্রেস আপনাকে ইশ্বরদি বাইপাস নামিয়ে দিবে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে। এত রাতে কি করবেন নেমে? যদি আমার বুদ্ধি শুনে যান এবং গিয়ে প্যারা খান তবে আমার গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকেন। না হলে নিজের মত করে সময় কাটান। স্টেশন থেকে বেরিয়েই একটা খোলা মেলা চায়ের দোকান পাবেন, সেখানে বসে আড্ডা দিতে থাকেন। সূর্য ওঠার অপেক্ষা করতেও পারেন নাও করতে পারেন। যা হবার হবে ভেবে রাতের অন্ধকারে ইশ্বরদি স্টেশনের দিকে হাঁটা দিতে পারেন। রেল লাইন ধরেও হেঁটে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে যেই লাইন ধরে ট্রেন এসেছে সেটা হাতের বামে রেখে ডান পাশের রেললাইন জোড়া ধরে পিছনের দিকে যেতে থাকেন।

ইশ্বরদির এই রেললাইন গুলো অনেক পুরনো, ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা। এগুলোর ওপর দিয়ে হেঁটে চলে যান ইশ্বরদি জংশনের দিকে। চাইলে চলে যেতে পারেন পাকশি, ভোরের প্রথম আলোয় কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে নিচ থেকে দেখে নিতে পারেন হার্ডিঞ্জ ব্রিজটাকে। ইশ্বরদি স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় দেখে নিন টিকেট কাউন্টার খুলেছে কিনা, খুলে থাকলে সেখান থেকে মধুমতি এক্সপ্রেসে টিকেট কেটে নিন, মধুমতি আপনাকে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নিয়ে যাবে। ভাড়া ১০০ টাকা। আপনি যেহেতু পাকশি গেছেন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দেখতে, আপনি সাড়ে আট্টার মধ্যে পাকশি স্টেশন চলে আসুন, ট্রেনে উঠতে হবে না? মধুমতি এক্সপ্রেস রাজশাহি থেকে ছেড়ে এসে ইশ্বরদি হয়ে পাকশি পৌছবে সাড়ে ৮ টার দিকে। কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে নামিয়ে দেবে সাড়ে ১০ টার মধ্যে।


Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!