ভবঘুরেকথা
অনিশ্চিত

শুনেছি অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মানুষ ভুত হয়ে যায়। আমিও ভুত হয়েছি কিনা সেটা নিয়েও কিঞ্চিৎ সংশয় জেগেছে। ভুতের ডেফিনেশন কি তাও তো কেউ পরিস্কার করে বলেনি। ঠাকুরমার ঝুলিতে বা গল্প উপন্যাসে যে ভুত প্রেতের কথা বলা হয়েছে তাতে তো মনে হয়েছে তারাও মানুষের মতোই আকৃতিতে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও মানুষের কাছাকাছিই। অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা আছে এইটুকুই তো জানি। আশ্চর্য মানুষ আজ পর্যন্ত ভুতের স্বরূপও আবিস্কার করতে পারেনি? বিজ্ঞান করে টা কি? মোবাইল ফোন আর ফ্রিজ বানায়? কি কি সিমটম থাকলে নিজেকে ভুত বলা যায়? কাউকে ভয় দেখানোর ট্রাই করবো নাকি? দূর দূর আমাকে না কেউ দেখতে পাচ্ছে না শুনতে তাহলে ভয়টা দেখাবো কেমনে?

আবারো সেই শব্দটা হচ্ছে। এবার আরো কাছে। কিন্তু কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কিছু বোঝাও যাচ্ছে না। এটা খুব ধীরে ধীরে নি:শ্বাস নেয়ার শব্দ কি? কে.. কে… কে ওখানে? কোনো সারাশব্দ পেলাম নেই উপাস থেকে। আর পাবোই বা কিভাবে। আমি যে কথা বলছি তা কি শোনা যাচ্ছে কিনা সেটাও তো বুঝতে পারছি না। মৃত্যুর পরের অনুভুতিগুলো অদ্ভুত। সবই হচ্ছে কিন্তু কিছুই আগের মতো না। বলছি কিন্তু শব্দ হচ্ছে না তবে বলছি মানে বলা যাচ্ছে এটা মিথ্যা না। প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করছি। এ এক আশ্চর্য অনুভুতি। কাউকে বলতে পারলে বেশ হতো। এতো অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হচ্ছে কিন্তু তা কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না বিষয়টা মানুষ হিসেবে বিশেষ করে বাঙালী হিবেসে মেনে নেয়া অসম্ভব। বাঙালীর পেটে কথা থাকলে গ্যাস হয়ে যায়। ভাগ্যিস পেট বস্তুটা নেই নয়তো। হা হা হা নিজের চিন্তা নিয়ে নিজেরই হাসি পাচ্ছে।


বাকিটা আসছে…

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!