ভবঘুরেকথা
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু চৈতন্য নিমাই বৈষ্ণব

শ্রীমদ্ভাগবতগীতা মাহাত্ম্য
স্বয়ং পদ্মনাভ শ্রীকৃষ্ণের মুখ-নি:সৃত গীতাপাঠ অবশ্য কর্ত্তব্য। গীতা সর্ব্বশাস্ত্রময়ী সর্ব্ববেদময়ী এবং সর্ব্বধর্ম্মময়ী, অতএব গীতাই অভ্যাস করিবে। গীতার শেষভাগে মাহাত্ম্য লিখা আছে, যিনি গীতার এক অধ্যায়, এক শ্লোক বা অর্দ্ধ শ্লোকও পাঠ করেন, তিনি-পাপমুক্ত হইয়া বিষ্ণুলোকে গমন করেন।

শ্রীমদ্ভাগবত মাহাত্ম্য
নদীর মধ্যে যেমন গঙ্গা শ্রেষ্ঠ, দেবতার মধ্যে যেমন বিষ্ণু শ্রেষ্ঠ, বিষ্ণুভক্তের মধ্যে যেমন মহাদেব শ্রেষ্ঠ, তেমনি পুরাণসমূহের মধ্যে শ্রীমদ্ভাগবত শ্রেষ্ঠ। এই গ্রন্থ পাঠ বা শ্রবণ করিলে পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের শোক, মোহ ও ভয়নাশিনী ভক্তি উৎপন্ন হয়।

কলিযুগে যেখানে ভাগবত শাস্ত্র অবস্থিতি করেন, সেখানে শ্রীহরি দেবগণের সহিত গমন করিয়া থাকেন এবং তথায় সমুদয় তীর্থ নদনদী ও সরোবর সমুদয় অবস্থিতি করেন। এই শ্রীমদ্ভাগবত সর্ব্ব বেদান্তের সার। যে ব্যক্তি ইহার রসামৃতে পরিতৃপ্ত, তাহার আর কদাচ অন্য রতি হয় না।

……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!