ভবঘুরেকথা
মতুয়া সংগীত

বাংলা ১২৪৩ শে, ফাল্গুন মাসে,
হল লীলার অভ্যুত্থান।
হয়ে শ্রীপতিতে সমাবেশ, শ্রীগুরুচাঁদের আদেশ,
কলির জীব করিতে কল্যাণ।

প্রভুর অন্ত শয্যা হবে যখন, শ্রীপতিকে করে যতন,
বলে ওরে ভাই।
ভবে তোর মত আর কেহ নাই, ভবে তোর মত আর নাই,
আমার দেহের শক্তি আছে যত, কিছু আছ তুমি অবগত,
আর কিছু শুনা তত্ত্ব, তুমি যোগাবিস্ট হও এখন।
শুনে হেন বাক্য, হৃদয় করে ঐক্য,
প্রভুর শ্রীচরণ করে লক্ষ্য, তখনই চেয়ে রল।

এত দিনের পরে, ভক্তের বোঝা মাথায় করে,
আজ আমার থামিতে হল।

আমার মন যেন থাকে তব চরণ পাশে,
গুরুচাঁদ দাঁড়াও এসে মোহন বেশে।।
খুলে দাও যুগল আঁখি, প্রাণ ভরে তোমায় দেখি,
আমার বাকী দিন কয় দিন বাকী। দিও রূপের আলো।

গুরুচাঁদের আজ্ঞা, প্রতিজ্ঞা তাই আমার অন্তরে রইল।

আমি মাতা পিতা হয়ে হারা, তোমা ধনে পেয়ে ধরা
অঙ্গে দিলে স্থান,
ভবে কে আছে তোমার সমান, ভবে কে আছে তোমার সমান
আমার সুখ ঐশ্বর্য দিলে যত, পেয়েছি তা অপরিমিত,
আজ আমায় করে অনাথ, তুমি কোথা যাও হে গুরুচাঁদ
তোমার জয় পতাকা রইল জগতে আঁকা,
প্রভু যে পাবে তোমার দেখা, তার ত জনম ভাল।

ঐ রূপে দাও দেখা, প্রভু ঐ রূপে দাও দেখা,
(তোমার) পদে আঁকা যাচ্ছ দেখা, ধ্বজ বজ্রাংকুশ রেখা।

বাসরে গঞ্জিলে গোকুল রঞ্জিলে, যমকে ভঞ্জিলে রাখাল সখা,
ওহে কালশশী, বাঁজাও বাঁশী, শিরে লয়ে শিখি পাখা।

অঙ্গের কিরণ রেশম বরণ, যুগল চরণ হিঙ্গুলে মাখা,
তোমার তিন রূপে একরূপ রসের স্বরূপ, ঝলক দিচ্ছে বিজলিতে।।
(পর চিতান) সকল ধর্মের কর্তা তুমি ধন পূর্ণ ভাণ্ডার,
গোঁসাই গোলক লোচন হীরামন, হল সে ধনের মহাজন,
তোমার মত প্রেমদাতা কে আর।

তোমার ভক্তের সঙ্গে মধুর ভাবে, মন যেন রয় সদাই ডুবে,
এই ধন আমি চাই।
যেন হরিগুণ বদনে গাই, হরিগুণ বদনে গাই।
হরিনাম রসে আর প্রেম রসে, মন রসনা যেন সদাই রসে,
এই ভিক্ষা চাই অবশেষে, আমার আর কোন বাসনা নাই।
লক্ষ্মীকান্ত বলে জীবন অন্তকালে, যেন তারকচাঁদ হৃদয় দোলে,
বড় আশায় ছিল।

………………………………………………………………………
লক্ষ্মীকান্ত সরকার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!