ভবঘুরেকথা
ফকির গণি শাহ্

ফকির গণি শাহ্’র তিরোধান দিবসে সাধুসঙ্গ

সুধি,
ফকির গণি শাহ্ (বাদের শাহ্)-এর ১২তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছে। ফকিরকুলের শিরোমণি ফকির লালন সাঁইজির ধাম ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়ার দেয়াল লাগোয়া ফকির গণি সাঁইজির বাড়িতে অনুষ্ঠিত এই সাধুসঙ্গে লালন অনুসারীদের কামানা করি।

উল্লেখ্য ফকির আব্দুল গণি শাহ্ ওরফে বাদের শাহ্ ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৮ সালে দেহত্যাগ করেন। তার পিতা বক্স প্রমাণিক ও মাতা খুশি বেগম। ফকির কোকিল শাহ্ ছিলেন তার গুরু। একসময় গণি শাহ্ ফকির লালন সাঁইজির মাজারের খাদেমের দায়িত্ব পালন করেন। লালনের আদি সুরে গায়কীর জন্য তিনি সমাদৃত ছিলেন।

চব্বিশ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে অধিবাস আরম্ভ ২৬ মাঘ রোজ শনিবার সন্ধ্যায় এবং পরদিন পূর্ণসেবা গ্রহণের পর ২৭ মাঘ রোজ রবিবার বিকালে সঙ্গের প্রহর পরিসমাপ্ত হবে। পত্রে আহ্বান ও নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য ঘোর অপরাধী। তবে সাধু দয়াময়, মার্জনা ভিক্ষা।

বিনয়াবনত-
গণি শাহ্’র ভক্তবৃন্দ
ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

সময়:
শনিবার-রবিবার
২৬-২৭ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
৮-৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।

স্থান:
ফকির গণি (বাদের শাহ্) সাঁইজির বাড়ি
ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

আয়োজন ও আমন্ত্রণে:
ফকির গণি শাহ্’র ভক্তবৃন্দ
ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

“ফকির লালন সাঁইজির আইন অনুযায়ী সাধুসঙ্গে যে সকল গুরুকর্ম আছে তা সকলই পালন করা হবে সাধুসঙ্গে। লালন ফকির সাধুসঙ্গে যে আইন রেখে গেছে সেই আইন অনুযায়ী সকল কিছু পালন করা হবে।”

: অনুষ্ঠান সূচি :
২৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শুক্রবার

বিকেল ৫:০০-৬:০০ – সাধু আগমন।
সন্ধ্যা ৬:৩০-৭:০০ – সাধুগণের আসন গ্রহণ।
সন্ধ্যা ৭:০০-৭:৩০ – চাল জাল সহকারে গুরুকর্ম।
সন্ধ্যা ৭:৩০-৮:০০ – দীন ডাকা। দীন ডাকার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করে সকলের আসন গ্রহণ।
সন্ধ্যা ৮:৩০-৯:০০ – রাখাল সেবা প্রদান।
রাত ১০:০০-১০:৩০ – অধিবাস সেবা।
রাত ১১:৩০-৩:০০ – ফকির লালন সাঁইজির ভাবগান।

২৭ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ সোমবার

সকাল ৬:০০-৭:০০ – গোষ্ঠ গান।
সকাল ৭:০০-৭:৩০ – গুরুকর্ম।
সকাল ৭:৩০-৯:৩০ – বাল্যসেবা।
বিকেল ২:০০-৩:০০ – পূর্ণ সেবা।

লালন সাঁইজির ভাব সংগীত পরিবেশন করবেন:
কুষ্টিয়া-মেহেরপুর, রাজশাহীসহ দেশের
প্রবীন সাধুগুরু ও বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ

: যাতায়াত :

-ঢাকা থেকে-
বাস সার্ভিস

যমুনা সেতু 
সড়কপথে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার দূরত্ব ২৭৭কিমি। ঢাকা শহরের গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী, এসবি, হানিফ ইত্যাদি বাসে করে সরাসরি যাওয়া যায় কুষ্টিয়া। এছাড়াও আরো বেশকিছু বাস এই লাইনে চলাচল করে। বাস থেকে কুষ্টিয়ার মজমপুর গেটে নেমে সেখান থেকে রিকসা/অটো করে লালন ফকিরের ধাম ছেঁউড়িয়াতে।

পদ্মা পারাপার
ঢাকার যে কোনো বাস স্ট্যান্ড যেমন গুলিস্তান, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, মহাখালী, উত্তরা থেকে থেকে গাবতলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। আবার গুলিস্তান বিআরটিসি বাসে করে সরাসরি পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। অবশ্য উত্তরা আব্দুল্লাপুর থেকে নবীনগর এসেও পাটুরিয়ার বাস ধরা যায়।

গাবতলীও থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে গাবতলী থেকে সেলফী, পদ্মালাইন বা নীলাচল বাসে করে সরাসারি পাটুরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া অসংখ্য লোকাল বাসও এই পথে পাটুরিয়া ঘাটে যায়। তবে লোকাল বাসে সময় অনেক বেশি লাগে। সরাসরি বাসে ৯০-১০০ টাকায় ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যায় পাটুরিয়া পর্যন্ত। সময় লাগে আনুমানিক আড়াই ঘণ্টা।

পাটুরিয়া ঘাটে নেমে কয়েক মিনিটের হাটা পথেই পৌঁছে যাওয়া যায় লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে লঞ্চ, স্প্রীডবোর্ড বা ফেরীতে করে পদ্মা পাড়ি দেওয়া যায়। লঞ্চে ২৫ টাকার বিনিময়ে আনুমানিক ২০-২৫ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দেয়া যায়। স্প্রীড বোর্ডে ১০ মিনিটের অনেক কম সময়ে পাড়ি দেয়া যায় ; তবে এরজন্য বাড়িতে ভাড়া গুণতে হয়। আর ফেরীতে কম ভাড়ায় পাড়ি দেয়া গেলেও এতে সময় লাগে অনেক অনেক বেশি। তবে ঝড়-বৃষ্টির দিনে ছোট ছোট লঞ্চ বা স্প্রিড বোর্ডের চাইতে ফেরী তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে পদ্মাগড়াই ছাড়াও আরো কয়েকটা বাস আছে তাতে করে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। সময় লাগে ২:৫০-৩:০০ ঘণ্টা। ভাড়া ১৩০-১৫০টাকা। লালন আখড়ায় যেতে হলে নামতে হবে দবির মোল্লার গেটে। সেখান থেকে মিনিট পাঁচেক পায়ে হেঁটে বা অটো/রিক্সা/ভ্যানে করেও যাওয়া যায় সাঁইজির ধামে।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে ট্রেন ধরেও যাওয়া যায় কুষ্টিয়া
সেক্ষেত্রে দুপুর ১টা, ৩টা ও ৪টায় ট্রেন ছেড়ে যায় ঘাট থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। ট্রেন থেকে কুষ্টিয়া কোট স্টেশন বা বড় স্টেশনে নেমে রিক্সা বা অটোতে করে সরাসরি ফকির লালন সাঁইজির আখড়ায় যাওয়া যায়। লোকাল ট্রেনের ভাড়া ৩৭ টাকা আর মেইল ট্রেন মধুমতির শোভন চেয়ারের ভাড়া ৮৪টাকা। মধুমতি কোর্ট স্টেশনে থাকে আর লোকাল ট্রেন বড় স্টেশনেও থামে। সেক্ষেত্রে বড় স্টেশনে নামলে সাঁইজির ধাম কাছে হয়।

-নারায়ণগঞ্জ থেকে-
বাস সার্ভিস

নারায়ণগঞ্জ থেকে সরাসরি শ্যামলী পরিবহন ছাড়াও আরো কয়েকটা বাস সার্ভিস আছে কুষ্টিয়াগামী। প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যাতেই নারায়ণগঞ্জ থেকে কুষ্টিয়ার পথে ছেড়ে যায় বাস। আগে বুকিং করে রাখলে বাস চলার পথে যে কোনো স্টপিজ থেকেই বাসে চেপে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। মজমপুর নেমে অটো/রিক্সা করে সোজা লালন সাঁইজির মাজার। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকার গুলিস্তান/সায়দাবাদ/গাবতলী এসেও কুষ্টিয়া যাওয়া যায়।

-টাঙ্গাইল থেকে-
বাস সার্ভিস

টাঙ্গাইল থেকে হানিফ, শ্যামলী করে সরাসরি কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে ৩৫০ টাকার মতো। আর এসকে সহ অন্য বাসে গেলে লাগবে ২০০-৩০০ টাকার মতো। তবে এসব বাসে বলে উঠতে হবে কুষ্টিয়া মজমপুর নামিয়ে দিতে হবে। কারণ অনেক বাস আবার ভেড়ামারা পর্যন্ত যায়। তাই সেগুলোতে না চড়াই উত্তম। বাসে গেলে টাঙ্গাইল এলেংগা থেকে যাওয়া উত্তম।

বাসে সরাসরি না গিয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে লোকাল বাসে টাঙ্গাইল থেকে বনপাড়া ৭০-১০০ টাকায়। বনপাড়া পর্যন্ত ট্রাকে করেও যাওয়া যায় ভাড়া ৫০ টাকা। বনপাড়া থেকে কুষ্টিয়ার বাসভাড়া ৭০ টাকার মতো। সকল গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে উঠাই ভালো। নইলে ভাড়া অনেক বেশি চাইতে পারে। এভাবে গেলে স্বল্প টাকায় পৌঁছানো যায়। আবার টাঙ্গাইল থেকে বাসে করে পাবনা গিয়ে সেখান থেকে কুষ্টিয়া যাওয়া যায় বাসে করে। এতেও ভাড়া অনেকটাই কম লাগে।

টেন সার্ভিস:
ট্রেন আছে ২টা; সকাল ৮টার দিকে আর ৯টার দিকে ভাড়া ২৫০ টাকার মতো। স্টেশন দুইটি টাঙ্গাইল ও যমুনা পূর্বপার। ট্র্রেনে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে টাঙ্গাইল থেকে ট্রেনে করেই ঈশ্বরদী বাইপাসে নেমে সেখানে থেকে ট্রেনে কুষ্টিয়া। কম ভাড়ায় যারা যেতে চান তারা এই পথে যেতে পারেন।

-বগুড়া থেকে-
বাস সার্ভিস

বগুড়ার ‘শাকপালা’ বাস স্ট্যান্ডে সারাদিনই কুষ্টিয়াগামী বাস পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণবঙ্গগামী প্রায় সকল বাসই কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কথা বলে উঠে পরলেই হলো। সেক্ষেত্রে ভাড়া ২০০-২২০ টাকার মধ্যে। সময় লাগতে পারে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টার মতো।

-রাজশাহী থেকে-
ট্রেন সার্ভিস

রাজশাহী থেকে মধুমতি ট্রেনে সরাসরি কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে হবে। সেখান থেকে অটো বা রিক্সায় সাঁইজির মাজার। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর মধুমতি ট্রেন বন্ধ থাকে। সময় লাগে তিন ঘণ্টার মতো। ভাড়া সাধারণ শ্রেণী ২০৫টাকা। ৮টার সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে এসে ১১টায় কুষ্টিয়ার কোর্ট স্টেশনে থামে। আবার বিকেল ৫টায় কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে।

-খুলনা থেকে-
বাস সার্ভিস

খুলনা থেকে সরাসরি বাসে করে আসা যায় কুষ্টিয়া। সেক্ষেত্রে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে রুপসা বা গড়াই বাসে করে কুষ্টিয়ার মজমপুরে নামতে হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাস পাওয়া যায়। ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকার মত। রাস্তা সংস্কারের কাজ চলায় সময় লাগে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টার মতো।

ট্রেন সার্ভিস
খুলনা থেকে সরাসরি কুষ্টিয়ার পোড়াদহ স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস, রকেট এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করে এই পথে। এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ১৮৫ টাকা। সময় ৩-৪ঘণ্টার মতো লাগে। পোড়াদহ নেমে সেখান থেকে অটো বা সিএসজি করে সাঁইজির মাজার।

-সিলেট থেকে-
বাস সার্ভিস

সিলেট থেকে সরাসরি বাসে করে কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। শ্যামলী পরিবহন, পাবনা এক্সপ্রেস, মামুন এন্টারপ্রাইজ বাসে করে সরাসরি কুষ্টিয়া পৌঁছানো যায়। ভাড়া ৬৫০-৭০০টাকার মধ্যে। অন্যথায় ঢাকায় এসে কুষ্টিয়া যেতে হবে।

-চুয়াডাঙ্গা থেকে-

বাস সার্ভিস
চুয়াডাঙ্গা একাডেমি মোড় থেকে যেকোন বাসে করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যাওয়া যায় কুষ্টিয়া। ভাড়া ৭০ টাকা।

ট্রেন সার্ভিস
সকালে চুয়াডাঙ্গা থেকে নকশিকাথা মেইল ট্রেন বা গোয়ালন্দ মেইল ধরে সরাসরি কুষ্টিয়া যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া বড় স্টেশনে বা কোর্ট স্টেশনে নেমে সেখান থেকে অটো/ভ্যান/রিক্সায় করে লালন সাঁইজির মাজার। আবার অন্য যেকোন ট্রেনে পোড়াদহ পর্যন্ত গিয়ে ওখান থেকে সিএনজি বা অটোতে করেও লালন সাঁইজির মাজারে যাওয়া যায়।

-যশোর থেকে-

বাস সার্ভিস
খুলনা থেকে যশোর হয়ে কুষ্টিয়া মজমপুর বা টার্মিনাল পর্যন্ত যথাক্রমে গড়াই ও রুপসা নামে দুটি বাস চলাচল করে। যশোর টার্মিনাল থেকে সারাদিনই ২০-৪০ মিনিট পরপর বাস ছেড়ে যায় এই পথে। ভাড়া ১২০ টাকা। যশোরের চাচড়া, ধর্মতলা, পালবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকেও বাসে উঠা যায়।

ট্রেন সার্ভিস
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস
শনিবার ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল ৭-৪১মিনিটে যশোর স্টেশন থেকে পোড়াদহমুখী যাত্রা করে আর বিকাল দুপুর ২-২০ মিনিটে পোড়াদহ থেকে যশোরমুখী যাত্রা করে।
রুপসা এক্সপ্রেস বৃহষ্পতিবার ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল সকাল ৮-২১মিনিটে যশোর স্টেশন থেকে পোড়াদহমুখী যাত্রা করে আর বিকাল ৪-২৮ মিনিটে পোড়াদহ থেকে যশোরমুখী যাত্রা করে।
সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস সোমবার ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল বিকাল ৫-২৮ যশোর স্টেশন থেকে পোড়াদহমুখী যাত্রা করে আর সকাল ৮-৫৩ মিনিটে পোড়াদহ থেকে যশোরমুখী যাত্রা করে।
চিত্রা এক্সপ্রেস সোমবার ব্যাতিত প্রতিদিন সকাল সকাল ৯-৪১ মিনিটে যশোর স্টেশন থেকে পোড়াদহমুখী যাত্রা করে আর রাত ১২-২৮ মিনিটে পোড়াদহ থেকে যশোরমুখী যাত্রা করে।

ট্রেন থেকে নামতে হবে পোড়াদহ স্টেশনে। ট্রেনের ভাড়া ১২০ টাকা। পোড়াদহ থেকে সিএনজি ধরে যেতে হবে কুষ্টিয়া মজমপুর। অটো বা সিএনজি ভাড়া ৩০/৪০ টাকা। সেখান থেকে অটোতে ১০ টাকায় লালন সাঁইজির মাজার।

কুষ্টিয়া থেকে বাসে যশোর ফেরত
কুষ্টিয়া মজমপুর মোড় থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গড়াই বাস ছেড়ে যায়। গড়াই মিস হয়ে গেলে টার্মিনাল অথবা চৌড়হাস মোড় থেকে রুপসা ধরতে হবে।

-কলকাতা থেকে-
বাস/ট্রেন সার্ভিস

কলকাতা থেকে সোজা মৈত্রি ট্রেনে বা বাসে করে খুলনা। আর খুলনা থেকে কুষ্টিয়া। আবার শেয়ালদহ থেকে বোনগাও এসে হরিদাসপুর বর্ডার হয়ে যশোর হয়ে কুষ্টিয়া(ট্রেন/বাস)। আর কুষ্টি রেলস্টেশন বা বাস স্ট্যান্ড যেখানেই নামুন। সেখান থেকেই লালন সাঁইজির মাজারের অটো/রিক্সা পেয়ে যাবেন।

……………………………………………
ফকির গণি শাহ্(বাদের শাহ্) সম্পর্কে আরো জানতে :ফকির গণি শাহ্

……………………………………………
তথ্যসূত্র: ফকির গণি শাহ্’র একান্ত ভক্ত ফকির সামসুল সাঁইজি, রাজশাহী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!