ভবঘুরেকথা
জাফর সাঁইজি

ফকির জাফর মস্তানের পঞ্চমতম ওফাত দিবসে সাধুসঙ্গ’২০২০

সুধি,
ফকির জাফর মস্তানের পঞ্চম ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ৪ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছে। ফকিরকুলের শিরোমণি ফকির লালন সাঁইজীর ধাম ছেঁউড়িয়াতে অনুষ্ঠিত এই সাধুসঙ্গে আপনার পদধূলি কামানা করি। সেই দিন সাধুসেবার সুযোগ পেয়ে যেন আমরা ধন্য হতে পারি সেই আশায় আমরা আপনার দর্শনের অপেক্ষায় থাকব।

চব্বিশ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে অধিবাস আরম্ভ ৪ মাঘ রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এবং পরদিন পূর্ণসেবা গ্রহণের পর ৫ মাঘ রোজ শনিবার বিকালে সঙ্গের প্রহর পরিসমাপ্ত হবে। কৃপা করে সঙ্গের সম্পূর্ণ প্রহর আমাদের সঙ্গে থেকে আমাদের ধন্য করবেন, এই মিনতি রাখি। পত্রে আহ্বান ও নিমন্ত্রণ জানানোর জন্য ঘোর অপরাধী। তবে সাধু দয়াময়, মার্জনা ভিক্ষা।

বিনয়াবনত-
ফকির রবিউল শাহ্
লালন ধাম, ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

সময়:
শুক্রবার সন্ধ্যা
৪ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
১৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ

স্থান:
লালন ধাম, ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

আয়োজন ও আমন্ত্রণে:
ফকির রবিউল শাহ্
ও ফকির জাফর শাহ্ মস্তানের ভক্তবৃন্দ
লালন ধাম, ছেঁউড়িয়া, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ।

ফকির লালন সাঁইজির আইন অনুযায়ী সাধুসঙ্গে যে সকল গুরুকর্ম আছে তা সকলই পালন করা হবে সাধুসঙ্গে। লালন ফকির সাধুসঙ্গে যে আইন রেখে গেছে সেই আইন অনুযায়ী সকল কিছু পালন করা হবে।

:অনুষ্ঠান সূচি:

৪ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ১৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শুক্রবার

বিকেল ৫:০০-৬:০০ – সাধু আগমন।
সন্ধ্যা ৬:০০-৬:৩০ – আপন আপন গুরুকর্ম।
সন্ধ্যা ৬:৩০-৭:০০ – সাধুগণের আসন গ্রহণ।
সন্ধ্যা ৭:০০-৭:৩০ – দীন ডাকা। দীন ডাকার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করে সকলের আসন গ্রহণ।
সন্ধ্যা ৭:৩০-৮:০০ – রাখাল সেবা প্রদান।
রাত ১০:০০-১০:৩০ – অধিবাস সেবা।
রাত ১১:৩০-৩:০০ – ফকির লালন সাঁইজির ভাবগান।

৫ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ১৮ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শনিবার

সকাল ৬:০০-৭:০০ – গোষ্ঠ গান।
সকাল ৭:০০-৭:৩০ – আপন আপন গুরুকর্ম।
সকাল ৭:৩০-৯:৩০ – বাল্যসেবা।
সকাল ৯:৩০- বিকেল ৩:০০ – লালনগীতি
বিকেল ৩:০০-৪:০০ – পূর্ণ সেবা।
বিকেল ৫:০০-৫:৩০ – বিদায় অনুষ্ঠান।

সংগীত পরিবেশন করবেন:
কুষ্টিয়া-মেহেরপুরেসহ দেশের
প্রবীন সাধুগুরু ও বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ

: যাতায়াত :

-ঢাকা থেকে-
বাস সার্ভিস

সরাসরি বাসে (যমুনা সেতু দিয়ে)
গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়দাবাদ থেকে
বাসে করে সরাসরি যাওয়া যায় কুষ্টিয়া মজমপুর গেট।
সেখান থেকে রিকসা/অটো করে লালন ফকিরের ধাম ছেঁউড়িয়াতে।

বাস (পদ্মা পারাপার)
গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট
সেখান থেকে লঞ্চ, স্প্রীডবোর্ড বা ফেরীতে করে
পদ্মা পারি দিয়ে ঐপার থেকে বাসে করে নামতে হবে দবির মোল্লার গেটে।
সেখান থেকে রিক্সা/ভ্যান বা পায়ে হেঁটে লালন ফকিরের ধাম ছেঁউড়িয়াতে।

গাবতলী থেকে পদ্মা লাইন গাড়ি যায় সরাসরি পাটুরিয়া ঘাট
আর ঐ পার থেকে পদ্মা গড়াই গাড়ি যায় কুষ্টিয়া।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে রেল স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেও যাওয়া যায় কুষ্টিয়া।
সেক্ষেত্রে দুপুর ১টা ৩টা ও ৪টায় ট্রেন ছেড়ে যায় ঘাট থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে।

ফকির জাফর শাহ্ মস্তান সম্পর্কে বিস্তারিত…

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!