ভবঘুরেকথা
স্বামী বিবেকানন্দ

-সত্যানন্দ মহারাজ

ভগবানকে আমরা ডাকি বা ডাকবো কেন?

কারণ আমরা নিজেরাই যে ভগবান, তাই তো আমরা ভগবানকে ভালবাসি। না হলে আমরা ভূতকে ভালবাসতাম বা ভূতকে মন্দিরে বা ঘরের সিংহাসনে রেখে পূজা করতাম বা ডাকতাম। এ কথা ঋষি-মুনিদের কথা।

পরম আরাধ্য স্বামী দেবানন্দ মহারাজ বললেন- ‘ভগবান দেখার বিষয় নয়, ভগবার হওয়ার বিষয়।’

স্বামী বিবেকানন্দ বললেন- ‘আমাদের পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্ব, মনুষ্যত্ব থেকে দেবত্ব এবং দেবত্ব থেকে ঈশ্বরত্ব অর্জন করতে হবে।’

আমাদের আধ্যাত্ম বিজ্ঞান বলে- ‘তুমি যাঁর কথা বা যে কথা ভাববে, তুমি তাঁর বা সেই সত্তা পাবে।’

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন- ‘যে পাপী- পাপী ভাবে সে পাপী হয়ে যায়, যে ভগবানের কথা ভাবে- ভগবান প্রাপ্ত হয়।’

শাস্ত্র বলছে- ‘আমাদের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশ ঘটে যার মাধ্যমে তাই আধ্যাত্মিকতা।’

তাই ভালো করে খেয়াল করলে দেখতে পাবো যে- আমরা ঈশ্বর বা ভাগবানকে ভালোবাসি বা ডাকি কারণ- আমরা অনেকেই বলি যে- আমরা ঈশ্বরের সন্তান বা অংশ।

ঈশ্বরের সন্তান তো ঈশ্বরই হয়। আমরা কি বলি না যে আমরা ভগবানের সন্তান? আমরা কি বলি না যে- ভগবান আমাদের পিতা-মাতা?

যীশু, মোহাম্মদ, নানক, শ্রীরামকৃষ্ণ- সকল মহাত্মারাই এই কথা বলে গেছেন।

এছাড়াও দেখতে পাই- অনেক ঋষি-মুনি-সাধক ও ভক্তগণ ভগবানের সাধনা করতে করতে ভগবানের সত্তা লাভ করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে আমরাই আবার তাঁদের ভগবান রূপে পূজা করি।

এবং ভগবান অন্তর্যামী হয়ে আমাদের অন্তরে বিরাজ করেন। তিনি আমাদের পিতা-মাতা, আপনজন। আমরা তাঁকে ভালবাসি তাই তো বিপদে পড়লেই প্রথমেই পিতা-মাতা-ভগবানকে ডাকি।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা

সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?

সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?

ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!