(তাল-একতালা)
ওগো প্রাণ সজনী, একাকিনী, কেন বা গেলাম জল আনিতে।
দেখলেম রক্ত বরণ, ভুবনমোহন, মন চলে না গৃহে যেতে।।
একাকিনী গেলাম ঘাটে, দেখলেম পুষ্করিণী তটে,
রূপ যেন বিজলী ছোটে, দেখলেম সে রূপ কটাক্ষেতে।
মন প্রাণ নিল চোরে, হরিরূপ চক্ষে হেরে,
দিবানিশি গুণ গুণ স্বরে, প্রাণ কাঁদে তার বিরহেতে।।
দেখে এলাম কি অপরূপ, ভুবনে দেখি নাই সেই রূপ,
দেখে সেই রূপের স্বরূপ, পারি না আর ভুলিতে।
যে দিকে ফিরাই আঁখি, হরিময় সেই দিকে দেখি,
ওরে ঝর ঝর ঝরে আঁখি, বুক ভাসে চোখের জলেতে।।
শুধু গৌর রূপ নয় কখন, ভিতরেতে রক্ত বরণ,
দেখে সেই রূপের কিরণ, চিক্ লেগেছে চক্ষেতে।
তাড়িত বিদ্যুতের মত, ঝলক দেয় অবিরত,
আমার প্রাণ হয়েছে ওষ্ঠাগত, দেখতে চায় সে প্রাণনাথে।।
গোঁসাই মহানন্দের এই মিনতি, করব আমরা হরিপতি,
গুরুপদে হবে আর্তি, পারবি তারে ধরিতে।
ডেকে কয় তারক চন্দ্র, অশ্বিনীর কপাল মন্দ,
হরিচাঁদের পদারবিন্দ, ভজলি না সংসারে মেতে।।
………………………………………………….
অশ্বিনী গোঁসাই