ভবঘুরেকথা
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু চৈতন্য নিমাই বৈষ্ণব

চতুর্ম্মস্য ব্রত
শয়ন একাদশী বা কর্কট সংক্রান্তি (আষাঢ় সংক্রান্তি) কিংবা আষাঢ়ী পৌর্ণমাসীতে ভক্তি সহকারে এই ব্রত হইতে হয়।

মন্ত্র- “হে অচ্যুত! সংবৎসরের উত্থাননৈকাদশী পর্যন্ত মাস চতুষ্টয় এই নিয়ম করিয়া আপনি আমার বিঘ্ন দূর করুন।”

(হরিভক্তি বিলাসাদি ব্রতে বিধি) মাটিতে শয়ন, লবণ তৈল ও ষড়রস বর্জ্জন তাম্বুল মধু দধি দুগ্ধ তক্র অগ্নিপক্ক দ্রব্য ও ভোজনপাত্র ত্যাগ ও ক্ষৌরকার্য ত্যাগ, এক ভক্ত বা অযাচিত ব্রত বা নক্তব্রত ধারণ, শিম, বরবটি, শাক পটোল বার্ত্তাকু ও মদ্যাদি ভক্ষণ বর্জণ, শ্রাবণে শাক, ভাদ্রে দধি, আশ্বিনে দুগ্ধ, কার্ত্তিকে আমিষ বর্জ্জন। নিরন্তর হরিনাম পূজন ভক্তিসম্বন্ধীয় কার্যাদিকরণ, এই নিয়মে চাতুর্ষ্মস্য ব্রত করিলে জনার্দ্দন সন্তুষ্ট হন।

নির্ম্মাল্য ধারণ
শ্রীবিগ্রহস্থিত তুলসী ভক্তিপূর্ব্বক মস্তকে ধারণ করিলে গঙ্গাস্নানের প্রয়োজন হয় না। পরন্তু চারি যুগের পাপনাশ ও কোটিতীর্থ ফললাভ হয়।

শঙ্খজল ধারণ
শঙ্খে করিয়া যে জল শ্রীহরির মস্তকের উপরে ভ্রমণে করানো হইয়াছে, তাহা ধারণ করিলেও গঙ্গাস্নানের প্রয়োজন হয় না।

……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!