ভবঘুরেকথা
মতুয়া সংগীত

শ্লোক
বসুদেবগৃহে জাত বাসুদেহখিলাত্মনি।
নীলনন্দসুতে রমা ঘনে সৌদামিনী যথা।।

গর্গ উবাচ
সত্যে শ্বেতবর্ণানি চ ত্রেতায়াং রক্তবর্ণানি।
পীতবর্ণ তথা কলৌ ইদানিং কৃষ্ণতাং গতঃ।।

পয়ার
পীতবর্ণ কলিকালে যখনে গৌরাঙ্গ।
দ্বাপরে নারদ কহে লীলার প্রসঙ্গে।।

নারদীয় পুরাণে
কলৌ প্রথমসন্ধ্যায়াং লক্ষ্মীকান্তো ভবিষ্যামি।
সন্ন্যাসঃ গৌরবিগ্রহঃ সান্ত্বায়পুরুষোত্তম।।

পয়ার
স্বয়ং এর কার্যে জন্মে ব্রহ্মা ইন্দ্রে ভ্রম।
কভু নাহি হয় তার গর্ভেতে জনম।।
শচীগর্ভে অবতীর্ণ হইল প্রকাশ।
ভারতীর কাছে যবে লইল সন্ন্যাস।।
হা কৃষ্ণ বলিয়া প্রেমে হইল বিভোর।
ভারতী কপিন দিল আর দিল ডোর।।
কি মন্ত্র দেবেন তাই ভারতী ভেবেছে।
বলেন গৌরাঙ্গ প্রভু ভারতীর কাছে।।
স্বপনে পেয়েছি মন্ত্র গুরু তোমা কই।
ভারতী বলেন সন্ন্যাসের মন্ত্র অই।।
সন্ন্যাস গ্রহণ হ’লে নামান্তর লাগে।
কি নাম রাখিব গুরু ভেবেছেন যোগে।।
হেনকালে শূন্যবাণী কহে থেকে শূন্য।
রাখ নিমাইর নাম শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য।।
সেই কালে নিত্যবস্তু হৈল আবির্ভূত।
নৈলে কেনে দণ্ড ভাঙ্গে নিতাই অবধূত।।
এইভাবে আবির্ভূত মিশামিশি হয়।
অবতারে নিত্যযোগ নাহিক সংশয়।।
নাটু আর বিশ্বনাথ এ লীলা দেখিয়া।
হরি বলি বাহু তুলি উঠিল নাচিয়া।।
ঠাকুর বলেন শুন ওরে ব্রজনাথ।
যাবি না থাকিবি তুই আমাদের সাথ।।
ব্রজনাথ বলে আমি আর কোথা যাব।
প্রাণ থুয়ে কোথা গিয়ে এ দেহ জুড়াব।।
রসনা বাসনা করে ব্রজনাথ সঙ্গ।
ব্রজনাথ শান্তিনাথ দোঁহে এক অঙ্গ।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!