ভবঘুরেকথা

দীয়ন্তে জ্ঞঅনমত্যন্তং ক্ষীয়তে পাপসঞ্চয়:।
তন্মাদ দীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ত্বদর্শিভি:।।
দিব্যজ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কৃত্যা পাপস্য সংক্ষয়ম্।
তম্মাদীক্ষেতি সা প্রোক্তা মুনির্ভিস্তত্ববেদির্ভি:।।
(রুদ্রযামাল ও যোগিনী তন্ত্রে)

যে কার্য্য পাপক্ষয় করিয়া দিব্যজ্ঞান প্রকাশ করে, তাহাই দীক্ষা।
প্রকৃতপক্ষে দীক্ষার অর্থ- বর্ণ বা শব্দ বিশেষ, শ্রবণ করা নহে।
বর্ণ বা বর্ণগুলি শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বলিয়া পরিকীর্ত্তিত আছে।
সেই শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম বর্ণ। সেই বর্ণই ভগবানের নাম এবং নামী অভেদ কিছুই প্রভেদ নাই।

এইভাবে যেই নাম বা মন্ত্র গ্রহণ করা হয়, তাহাই দীক্ষা।
যিনি নামে এবং মন্ত্র ও মন্ত্রের অভীষ্ট দেবতাকে এক ভাবেন, তিনি প্রকৃত দীক্ষিত।
দীক্ষামন্ত্র গ্রহণ করিলে শব্দব্রহ্ম বা নাদব্রহ্ম অভীষ্ট দেবতার জোনিতষ্মায় মূর্তি অন্ত:করণে প্রবেশ করিয়া যাহাদের হৃদয়ের অন্ধকার দূর না হয় এবং হৃদয়ের নিজ ইষ্ট দেবতার ভাব উদ্দীপন না হয়, তবে সেইরূপ মন্ত্র বা দীক্ষা গ্রহণ করিয়া দীক্ষা বা মন্ত্র গ্রহণ শব্দ প্রয়োগ না করাই শ্রেয়:। দৃঢ় বিশ্বাস বা ভক্তিই মূল।

গুরু বীজ মন্ত্র: – ওঁ শ্রীগুরবে নম:।

গুরু গায়ত্রী: ঐ গুরুদেবায় বিদ্মাহে চৈতন্যরূপায় ধীমহি তন্নোগুরু প্রচোদয়াৎ।
গুরুপূজা কথন: এতৎ পাদ্যং ঐং শ্রীগুরবে নম: ইদমর্ঘ্যং ঐং শ্রীগুরবে নম:। এষ গন্ধ এতৎ পুষ্পং এতেষ ধূপ: এতৎ নৈবেদ্যং, এতৎ পানীয় জলং ইদমাচনীয়ং এতৎ তাম্বুলং। এতৎ গন্ধমাল্য এতৎ পুষ্পাঞ্জলি ঐং শ্রীগুরবে নম:।

গুরু জপ সমর্পণ
গুহ্যাতিগুহ্য গোপ্তাত্বং গৃহাণাস্মংকৃতং জপং।
সিদ্ধির্ভবতু মে দেব তৎ প্রসাদাত্বয়ি স্থিরে।।

……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!