ভবঘুরেকথা

জাত মৃতপুত্রের জীবন দান।
পয়ার

যবে আনন্দের বংশে পুত্র নাহি হয়।
মেঝো ভ্রাতা হীরামন নামে যেই রয়।।
তার গৃহে জনমিল একটি নন্দন।
গর্ভস্রাব যন্ত্রণাতে ত্যজিল জীবন।।
সে আনন্দ নিরানন্দ শুনে শ্রুতি মূলে।
দিয়ে পুত্র ওহে হরি কেন হরি নিলে।।
আনন্দের মাতা সতী আয়ুবতী নামে।
খোলায় ভাজিল নাড়ী জীব দিব কামে।।
শুনিয়া আনন্দ ওঢ়াকাঁদি মুখ হ’য়ে।
উচ্চৈঃস্বরে হরিচাঁদে শুধায় ডাকিয়ে।।
ওরে বাবা হরিচাঁদ ওঢ়াকাঁদি বাসী।
দুর্গতি বিনাশ কর দুর্গাপুর আসি।।
এক ডাক দুই ডাক তিন ডাক দিল।
ওঢ়াকাঁদি থেকে হরি কর্ণেতে শুনিল।।
ভক্ত বাক্য রাখিবারে আসিলেন আশু।
চেঁচায়ে উঠিল সদ্যজাত মৃত শিশু।।
অপার মহিমা প্রভু পূর্ণ অবতার।
প্রশস্থ গার্হস্থ্য ধর্ম এল শিখাবার।।
অবনীতে অবতীর্ণ ভব কর্ণধার।
করিলেন শেষ লীলা অতি চমৎকার।।
হরিবর আনন্দের হয় জ্যেষ্ঠ পুত্র।
অতঃপর তারকের হ’ল শিষ্য পুত্র।।
আনন্দ বলিল তারকের বরাবর।
তোমারে দিলাম মম পুত্র হরিবর।।
ভক্তিভাবে যেই করে এ লীলা শ্রবণ।
ধন ধান্য বিদ্যালাভ পায় পুত্র ধন।।
তারকের শিষ্য হরিবর তাহে হ’ল।
হরিচাঁদ প্রীতে সবে হরি হরি বল।।
মহানন্দ মহানন্দ এ গ্রন্থ রচনে।
দশরথ রসনা, রসনা ইহা ভনে।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!