ভবঘুরেকথা
মতুয়া সংগীত

শ্রীশ্রীপ্রমথ রঞ্জনের ব্যবস্থা -পরিষদে প্রবেশ

উনিশ শ’ পঁয়ত্রিশ অব্দে “ভারত আইন”!
“পার্লামেন্টে” পাশ করে ইংরাজ প্রবীণ।।
তার পরিচয় পূর্বে হইয়াছে লেখা।
তপশীলী জাতি পক্ষে সু-উজ্জ্বল রেখা।।
“পূণা-চুক্তি” অনুসারে তপশীলী জাতি।
অধিক আসন পেয়ে অতি হৃষ্ট মতি।।
তিরিশ আসন পেল এই বঙ্গ দেশে।
দখল করিয়া সব তপশীলী বসে।।
তপশীলী মধ্যে যত জাতি দেখা যায়।
সর্বশ্রেষ্ঠ নমশূদ্র নাহিক সংশয়।।
প্রমাণ হইল তাহা নির্বাচন কালে।
ত্রয়োদশ জন হ’ল নমশূদ্র দলে।।
তের শত বিয়াল্লিশ ভোট-যুদ্ধ হয়।
প্রমথ রঞ্জন আসি ভোটেতে দাঁড়ায়।।
বহু জন পদপ্রার্থী সে ফরিদপুরে।
দুইবারে ভোট তাই হ’ল তথাকারে।।
ইহার কারণ শুন আইনে বিধান।
তপশীলী জাতি পক্ষে বটে এ প্রমাণ।।
যতেক আসন সংখ্যা রয়েছে বণ্টন।
প্রতি আসনের জন্য প্রার্থী চারিজন।।
ইহার অধিক প্রার্থী হলে কোন ঠাই।
দুইবার নির্বাচন সেথা করা চাই।।
প্রাথমিক নির্বাচনে প্রতি আসনেতে।
চারিজন নির্বাচিত হবে বিধি মতে।।
এই ভোট দিবে মাত্র তপশীলী যারা।
শেষ ভোটে হিন্দু মাত্র অধিকারী তারা।।
ফরিদপুরেতে ভোট হ’ল দুইবারে।
প্রমথ রঞ্জন শ্রেষ্ঠ তাহার ভিতরে।।
প্রমথ রঞ্জন আর বিরাট মণ্ডল।
দুইজনে হন সভ্য নহে গণ্ডগোল।।
মুকুন্দ বিহারী হ’ন খুলনা জিলায়।
পুলিন নামেতে ভ্রাতা হন হাওড়ায়।।
শ্রীউপেন্দ্র এবদর বরিশাল বাসী।
যোগেন্দ্র মণ্ডল সভ্য বর্ণ-হিন্দু শাসি।।
ঢাকায় শ্রীধনঞ্জয়, মধু পাবনায়।
লক্ষ্মীনারায়ণ হন জিলা নদীয়ায়।।
মনমোহন, অমৃত, জগত মণ্ডল।
রসিক বিশ্বাস সহ এই নমঃ দল।।
এ যাবৎ তিন জন মন্ত্রী হইয়াছে।
পুলিন, যোগেন্দ্র বাবু হইলেন পাছে।।
অগ্রে হ’ল শ্রীমুকুন্দ আদি পদধারী।
শ্রীপ্রমথ হবে পরে সেই বাঞ্ছা করি।।
নমশূদ্র কুলে ধন্য এরা মহাশয়।
দিনে দিনে সকলের যেন শুভ হয়।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!