ভবঘুরেকথা

(তাল-একতালা)
গৌর রিপুর বশে কর্মদোষে ডুবিল মানব তরী
দয়া হল না চরণ দিলে না হে গৌরহরি, চেয়ে দেখ আমি প্রাণে মরি।

সহজ পাল থাকিলে যানে, কি করত বিষম তুফানে,
পাক চড়া কি উজান পানে, ফিরেও চাইতাম না।
কাল হয় মদন চড়নদার, হিংসা মাঝি সহকারী তার,
দিল পাল মেরে জোয়ার (গৌরচাঁদ হে)
একি কুব্যাভার (স্বার্থের) দাড়িগণ সবে বাধ্য তারি।

চারিযুগে সঙ্গোপন করে, মাল রেখেছে বাক্স পুরে,
কলিতে দীন দুরাচার করিতে প্রদান।
আমি যদি ম’লেম ডুবে, আর দুরাচার কোথায় পাবে,
আমি তাই ভাবি হে মনে (গৌরচাঁদ হে)
মাল র’ল গোপনে, কই বিলালে হে গৌরহরি।।

ভেবে দেখেছি দয়া বিনে, ডুবিল তরণী তুফানে,
একবার কৃপা নয়ন কোণে, ফিরে চাইলে না,
নাম ধরেছে দীন দয়াময়, তবে কেন কঠিন হৃদয়,
ওহে হরি জগন্নাথ (দয়া কর হে, দয়া কর হে)
ডাকিছে অনাথ নামেতে হল কলঙ্ক ভারী।।

সিন্ধু দিলে বিন্দু বারি, কি ক্ষতি হে দুঃখ নিবারী,
বরং উপকার তারি রয় না পিপাসা,
বাঁচে সিন্ধু বিন্দু পানে, না দিলে পর মরে প্রাণে,
এখন কি করবে হে হরি,
দিবে কিনা বারি, বল বল ওহে দুঃখ নিবারী।।

(গোলক) পাগলচাঁদ কয় পাবার ফিকিরি, এ ধর্ম চাতক চাতকীর,
কূপ দেখে হসনে নত শির, উর্দ্ধেনে এই জল-
উর্দ্ধমুখে থাকরে হ’রে ডাক দেখিরে উচ্চৈঃস্বরে,
ও সে জলদ বরণে চাইলে সিন্ধু পানে,
প্রাণে মারিব তোর বজ্র মারি।
(অন্য বারি পান করিলে রক্ষা নাইরে)

……………………………………………………..
হরিবর সরকার

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!