ভবঘুরেকথা
মতুয়া সংগীত

নিঃস্বার্থ অর্থ দান
পয়ার

চাকুরী করিয়া ত্যাগ রসিক আসিল।
হরিচাঁদ চিন্তা করি গৃহেতে রহিল।।
তিলছড়া গ্রামে তাঁর সম্পত্তি যা ছিল।
মালেকের রাজকর বাকী পড়ে গেল।।
বিষয় বিক্রয় হয়, না রহে সম্পত্তি।
জমিদার সঙ্গে নাহি হইল নিষ্পত্তি।।
মালেকের টাকা বাকী সাড়ে সাত শত।
তার মধ্যে অভাব হইল দুই শত।।
সপ্তাহ মধ্যেতে অই টাকা হবে দিতে।
দুই শত টাকা না পারিল মিলাইতে।।
রসিক বিপদাপন্ন তুচ্ছ অর্থ দায়।
প্রভু হরিচাঁদ তাহা জানিল হৃদয়।।
গোলোকে বলেন প্রভু হ’য়ে অবসন্ন।
রসিক বিপদাপন্ন তুচ্ছ অর্থ জন্য।।
গুরুচরণকে বল একথা আমার।
টাকা দিয়া দায়মুক্ত করহ তাহার।।
পাগল বলিল বড় কর্তার নিকটে।
রসিকেরে টাকা দিয়া বাঁচাও সংকটে।।
গুরুচাঁদ চলিল দু’শত টাকা ল’য়ে।
গোলোক পাগল টাকা সঙ্গে নিল ব’য়ে।।
টাকা দিয়া এল সেই রসিকের ঠাই।
দেখিয়া আশ্চর্য কার্য বিস্মিত সবাই।।
রসিক বলেন মহাপ্রভু অন্তর্যামী।
তাঁর কৃপাবলে এ বিপদমুক্ত আমি।।
ক্ষণমাত্র করিলেন প্রেম আলাপন।
টাকা দিয়ে গৃহেতে আসিল দুইজন।।
এই টাকা নেয়া দেয়া অর্থ বোঝা ভার।
দিলেও না নিলেও না চাহিল না আর।।
গোলোক নাথের মন বুঝিল গোলোক।
শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত রচিল তারক।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!