(তাল-যৎ )
তোরা কে যাবি গৌরঘাটে আয় চলে।
সখী সকলে যাই সবে মিলে, আমার মন ডুবেছে
গৌর ঘাটে প্রেম বন্যার কল্লোলে।
যে দিন গৌরচাঁদ উদয় দেশে, গৌর প্রেমের বন্যা এসে,
সুরধনী যায় গো ভেসে, অদ্বৈত প্রেম হিল্লোলে।
নিত্যানন্দ প্রেমের স্রোতে, বহিতেছে অবিরত,
দুঃখী তাপী ছিল যত, ভাসাইল এককালে।
যে দিন শান্তিপুরের ঘাটে বসে, সীতা মা নেয় কলসে কলসে,
অচ্যুতানন্দ খায় এসে, সীতা মার কোলে।।
ডুবু ডুবু হয় অম্বিকা, নবদ্বীপ আদি এক চাকা,
আর কার নাই লেখা জোকা, পাথারে সাঁতার খেলে।।
একদিন ঢেউ লেগে শ্রীবাসের বাড়ি, উঠল তুফান মটকা ফুঁড়ি,
শ্রীবাসের শাশুড়ি বুড়ি, তরাসে পলায় ডোলে।
পলায়ে কি বাঁচিতে পারে, ডুবাল জগা মাধারে,
বুড়ি লাগে কোথাকারে, প্রেম বন্যায় ভাসালে।।
একদিন পাক পড়ে কাটোয়ার ঘাটে, প্রেম বন্যা উথলে উঠে,
ঠেকে গোদাবরী তটে, বিদ্যানগর ঢেউ খেলে।
বান ডেকে রসরাজ সিন্ধু, জোয়ার দিল রামানন্দ,
ষাঠি বর্ষে মকরন্দ, ভাঙন লাগিল উৎকলে।।
আমার গোঁসাই গুরুচাঁদের বাণী, সেই মানুষ এল এদানী,
প্রেম বন্যায় ভাসায় অবনী, হীরামন তায় ঝাঁপ দিলে।
ডুবিল গোলকচাঁদের তরী, তারকের বিলম্বভারী,
মহানন্দ কয় আয় ডুবে মরি, সবে হরিচাঁদ বলে।।