ভবঘুরেকথা
হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি মহাবারুণী মেলা ও মহাস্নান উৎসব

পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৯তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে
মহাবারুণী মেলা ও মহাস্নান উৎসব

“চলো চলো ওড়াকান্দি প্রেম বারুণী প্রেম স্নান,
বাজাও ডংকা, উড়াও নিশান, সবাই বলো জয় হরিচাঁন।।”

জয় হরি বল

সুধি
হরিভক্ত মা বাবা ভাই বোনেরা। মতুয়াবাদ তথা মতুয়া দর্শনের প্রবর্তক, দলিত-পতিত জাতির ত্রাতা ও মুক্তিদাতা, মনুষ্যত্বের অধিকার প্রতিষ্ঠাতা, ধর্মীয় অধিকার দাতা পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার পতিত পাবন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ১৮১২ খ্রিস্টাব্দের (১২১৮ বঙ্গাব্দ) ১১ই মার্চ (ফাল্গুনী মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে) অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুর (অধুনা গোপালগঞ্জ) জেলার মুকসুদপুর (বর্তমান কাশিয়ানী) মহকুমা অন্তর্গত ওড়াকান্দির পার্শ্ববর্তী সফলাডাঙ্গা গ্রামে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

আসছে ২১-২২ মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ৭-৮ চৈত্র ১৪২৬ রোজ শনি-রবিবার পূর্ণান্দন পূর্ণাবতার ভগবান শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২০৯তম জন্মোৎসব বা আবির্ভাব দিবস, মহামেলা, পূর্ণ্যস্নান। মহাতীর্থ শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে আগত সকল হরিভক্ত মা বাবা ভাই বোন ও বন্ধুদেরকে প্রণাম, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

এতদ্বারা পূূর্ণব্রহ্ম ভগবান শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও পতিত পাবন মুক্তিবারিধি এবং শিক্ষার দিশারী ভগবান শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের সকল ভক্তদের জন্মোৎসব, মহা মেলা স্নান সুন্দর ও সার্থক করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।

এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঠাকুরবাড়ির এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মেলা বসে। মেলায় শুধু ধর্মীয় উপকরণ নয় মৎ, বেশ, বাঁশ, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় ও উপহার সামগ্রীর বিশাল সমাবেশ ঘঠে।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তকূল হাতে বিজয় ও সত্যের লাল নিশান এবং কাশি-ডাংখা বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে ‘হরি বল হরি বল’ ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতে মাইলের পর মাইল পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে আসেন তীর্থভূমি শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে।

খুলনা, যশোর, নড়াইল, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলা ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের মতুয়া ভক্তরা এ স্নানোৎসবে যোগ দিয়ে থাকে।

মহাতীর্থ শ্রীধাম ওড়াকান্দি জন্মোৎসব পূর্ণ্য স্নান:
২১-২২শে মার্চ ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
৭-৮ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
রোজ শনিবার ও রবিবার।

লগ্ন:
২১ মার্চ শনিবার সকাল ০৮:২৭ পর্যন্ত পরে কৃষ্ণ ত্রয়োদশী
২২ মার্চ রবিবার সকাল ১০:৩৯ পর্যন্ত।

স্থান:
তীর্থ সম্রাট
শ্রীধাম ওড়াকান্দি
কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশ।

সকল হরি ভক্তের আগমন শুভহোক।
হরিবোল হরিবোল হরিবোল।

: যাতায়াত :
-ঢাকা থেকে-

বাস সার্ভিস:
ঢাকার গুলিস্তান-সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়াগামী যে কোনো বাসে করে মাওয়া ঘাটে পৌঁছে যেতে পারেন। নতুন এক্সপ্রেস ওয়ে খুলে দেওয়ায় আগের তুলনায় বর্তমানে ঢাকা থেকে মাওয়া যেতে সময় লাগে ৪০মিনিটের মতো। সেখান থেকে লঞ্চ-ফেরি-স্প্রীবোর্ডের যে কোনোটাতে করে পদ্মা পাড়ি দিতে হবে। ঘাটে নেমে একটু এগুলেই পেয়ে যাবেন গোপালগঞ্জের সরাসরি বাস।

বাসের বিকল্প হিসেবে মাইক্রোবাসেও বাকিটা পথ যেতে পারেন। এতে সময় অনেকটা বাঁচলেও ভাড়া গুণতে হবে বেশি। গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি। উপজেলা সদর হতে তিলছড়া বাসস্ট্যান্ড হতে পূর্ব দিকে বাইপাস সড়ক দিয়ে খাগড়াবাড়ীয়া-আড়ুয়াকান্দি-ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়ী।

বাস বা মাইক্রোতে যেটাইতেই যান; নামতে হবে তিলছড়া বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ওড়াকান্দির সিএনজি বা মাহেন্দ্রা পাওয়া যায়। সেখানে নেমে হেঁটে ঠাকুর বাড়ি শ্রীধাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!