ভবঘুরেকথা
শ্রীরূপ ক্ষেপা

যে পথে এসেছে সে পথে যেয়ো না
বাবার মাথায় বাড়ি দিয়ে, দিয়ে বে মেয়াদী কয়াদি হয়োনা।।

বাবা মারার দুই সন্ধান, একটি কর্ম একটি জ্ঞান
দুই ঢেঁকির পাড় পড়ে এক নোটে, সমান সমান ধান কুটা কুটা
সমান সমান যুত আর বে-যুত, সিদ্ধি প্রাপ্তি দুই জনে এক সমান
যেমন দু’মুখো এক অজগর
দুইটা ইঁদুর ধরলে পরে, এক পেটে যায় দুজনা।।

আশার পথে দিয়ে পিঠ, বাসাবাড়ির কর ঠিক
দুর্লভ জনম হারালে কি পাবি, পদ্মার ধারে বেঁধে ঘর, গুমান কর।।

ওরে বর্বর, এক চাপেতে যাবেরে ভেঙ্গে,
ভাঙ্গা বাড়ির আশা ছাড়, অভাঙ্গা এক মানুষ ধর,
কায়েমী বাড়ির কর বায়না।।

কায়েমী বাড়ির কথা শুন, গুরু দিল যেই ধন
নাম আছে বস্তু কি তার নাই, বস্তু তত্ত্ব বর্তমান
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নাম, সোনার বরণ নবীন এক সন্ন্যাসী
সে চন্দ্রবদন যে করে দর্শন, এ ভবে জনম আর হয় না।।

গৌরাঙ্গ মণ্ডল ভূমি, যে জন জানে চিন্তামণি,
তারই যে হয় ব্রজভূমে বাস, ময়ুরের নৃত্য দেখে,
পেখম ধরে পেচকেতে, আত্মসুখে ইন্দ্রিয় চারায়
গোঁসাই বলাই চাঁদ কয় শ্রী রূপ আয়,
ভবের খেলা বোঝা দায়, কু-সঙ্গ শ্মশানে মজিও না।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!