ভবঘুরেকথা

(তাল-যৎ)
সখী এল এক সোনার মানুষ কাটোয়ায়
ও তার রাঙ্গা পায় কোটি চাঁদ উদয়
হবে এই মানুষ সন্ন্যাসী নাকি, সখী তোরা দেখসে আয়।

আমি গিয়াছিলাম জল আনিতে, ঘোমটা খুলে যায় দৈবেতে,
দেখে সে রূপ কটাক্ষেতে, স্পর্শিল আমার হৃদয়,
আর পারিনে ঘোমটা দিতে, মন সরে না গৃহে যেতে,
মনে গেছে তার রূপের সাথে, ফিরান হয়েছে দায়।।

তার কিসের অভাব ছিল ঘরে, সন্ন্যাসী হয় তারই তরে,
কোন প্রাণে ভারতী তারে, সন্ন্যাসী বা করে দেয়,
কোন অভাগীর হৃদয়ের ধন, সে কি বেঁচে আছে এখন,
ছেড়ে দিল কিসের কারণ, কেমনে তার কঠিন হৃদয়।।

না হয় আমরা তারে লয়ে আসি, শ্রীচরণে হব দাসী,
ঘরে বসে দিবানিশি, রাখব হৃদি পিঞ্জিরায়,
যদি না ফিরাতে পারি, তার সঙ্গে সহচরী,
হব না হয় বনচারী, নাই আর গুরু জনার ভয়।।

কাঁদে হা কৃষ্ণ! হা কৃষ্ণ বলে, বক্ষ ভাসে নয়ন জলে,
এ নবীন বয়সের কালে, কেন এ ভাবের উদয়,
কান্না দেখে কেঁদে মরি, বনে কাঁদে করী হরি,
হরির গলা ধরে করী, ধুলায় গড়াগড়ি যায়।।

সখী এ মানুষ যে দেশে ছিল, সে দেশের মানুষ কি বল,
কেমনে গৃহেতে রল, পাষাণ বিদরে যায়।
আমার গোলকচাঁদ না সইতে পেরে, প্রাণ দিল হরিচাঁদেরে,
মহানন্দ কেঁদে ফেরে, তারকের আর নাই উপায়।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!