ভবঘুরেকথা
সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেব

সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: তিন

৬১.
আপনি যা, তা আপনার নিজেরই রচনা। এটা বুঝতে পারলে, তারপর অন্তত আপনার নিজের পছন্দমত নিজেকে তৈরি করা উচিত।

৬২.
ভক্তি এমন জায়গা যেখানে আপনার কোন অস্তিত্ব নেই; কেবল রয়েছে আপনার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা জীবনের প্রবাহ, মধুর ও সুন্দর।

৬৩.
যদি তুমি তোমার সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখতে চাও তাহলে সবসময় নিজেকে মনে করাও অন্যরা তোমার নিজের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৬৪.
নিজেকে চমৎকার এক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। আপনার আশপাশের সকলের বা সবকিছুর প্রতি এটাই হবে আপনার শ্রেষ্ঠ অবদান।

৬৫.
জগতের ভালো-মন্দ নিয়ে যদি আপনার চিন্তা থাকে, তাহলে সবার আগে আপনার নিজেকে এক আনন্দময় সত্তায় রূপান্তরিত করা প্রয়োজন।

৬৬.
যদি আপনি যোগের জন্য উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে সবচেয়ে আগে আপনার নিজেকে এক আনন্দময় মানুষে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন।

৬৭.
ভরসা মানে এই নয় যে তুমি যেমন প্রত্যাশা কর, অন্যদেরও সেরকমই কিছু করতে হবে। ভরসা মানে হল নিজে নিরাপত্তাহীন হয়ে যাওয়া।

৬৮.
যাকে তুমি সাফল্য মনে কর, তার তুলনায় যাকে সাধারণভাবে ব্যর্থতা ভাবা হয় তা তোমার জীবনের অনুভবকে অনেক বেশি গভীরতা দেয়।

৬৯.
তোমার অধিকাংশ ইচ্ছাই বাস্তবে তোমার নিজের ইচ্ছা নয়। তুমি শুধু সেইসব ইচ্ছাকে তোমার সামাজিক পরিবেশ থেকে নিয়ে থাকো।

৭০.
প্রতিদিন না হলেও মাসে অন্তত একবার হলেও খতিয়ে দেখুন আপনি কি আরো বেশি ভালো মানুষ হিসেবে বিকশিত হয়ে উঠেছেন কিনা।

৭১.
সবসময় দেখো চারপাশের সকলের জন্য তুমি সবচেয়ে ভালো কী করতে পারো। নিবেদনের এই বোধই তোমাকে উদ্দীপ্ত করে তুলবে।

৭২.
সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে আছে একত্ব, আর প্রতিটা অস্তিত্বেই আছে অনন্যতা। এটা উপলব্ধি-উপভোগ করতে পারাই হলো আধ্যাত্মিকতার সারকথা।

৭৩.
জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারসাম্য। যদি ভারসাম্যই না থাকে তাহলে নিজের শরীর ও মন আপনারই বিরুদ্ধে কাজ করবে।

৭৪.
সাধনার উদ্দেশ্য অন্তরে এমন এক ধরনের পূর্ণতা সৃষ্টি করা, যেখানে কোনো ব্যক্তি বা কোনো জিনিসের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন থাকে না।

৭৫.
চমৎকার কিছু সৃষ্টি করার জন্য অসাধারণ বুদ্ধি বা যোগ্যতার প্রয়োজন পরে না। যেটা প্রয়োজন সেটা হল যা করতে চান তার প্রতি পরম নিষ্ঠা।

৭৬.
আপনার ভালোবাসার-সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়ার এবং জীবনকে অনুভব করার ক্ষমতা অসীম। সীমাবদ্ধতা কেবল দেহ ও মনের কৃতকর্মেই হয়।

৭৭.
যদি আপনি না জানেন যে কী বেছে নেওয়া উচিত তখন সবকিছুতেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। তখন জীবনই বেছে নেবে, আর এটি কখনো ভুল করে না।

৭৮.
যিনি তীব্র সাধনা করবেন তিনি দেখতে পাবেন, ধীরে ধীরে তার শক্তিগুলো যত ঊর্ধ্বগামী হয়ে উঠবে, ততই তার শরীরের সঙ্গে একাত্মতা কমতে থাকবে।

৭৯.
জগতে যা কিছু ঘটছে তা যদি আপনার মনের মতো নাও হয়, অন্তর আপনার হৃদয়ে যা ঘটছে সেটা অবশ্যই তেমন হওয়া উচিত যেমনটি আপনি চান।

৮০.
প্রতিটি জীবন একটি সম্ভবনা। যদি আপনি সেই সম্ভবনাকে উন্মুক্ত রাখতে চান তাহলে কখনোই কারো সম্পর্কে কোনো রকমের মতামত তৈরি করবেন না।

৮১.
সাফল্য সম্বন্ধে তোমার ধারণা যদি শুধুমাত্র অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকা হয়, তাহলে তুমি নিশ্চিতভাবে তোমার সম্পূর্ণ সম্ভাব্যকে খুঁজে বের করতে পারবে না।

৮২.
জীবন আপনার ভেতর থেকেই ঘটে। জীবনের উৎসটি যদি আপনার জীবনে সবচেয়ে কর্তৃত্ব করে তাহলে প্রশংসা আর উপহাসের মতামত কোনো মূল্য রাখে না।

৮৩.
সম্পদকে নিজের ভালোর জন্য ব্যবহার করতে হলে তোমার আধ্যাত্মিক উপাদানের প্রয়োজন। সেটা ছাড়া তোমার সাফল্য তোমার বিরুদ্ধেই কাজ করবে।

৮৪.
বয়সের সাথে সাথে আপনার মস্তিষ্কের অবনতি হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরঞ্চ সহজ কিছু যোগাভ্যাসের দ্বারা এর উন্নতি করা যেতে পারে।

৮৫.
চৈতন্যকে ছুঁতে, অনভব করতে আর সেটাকে জানার ক্ষেত্রে যেই সবচেয়ে বড় বাঁধার মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় তা হলো তার তর্কের থেকে উপরে ওঠার অনিচ্ছা।

৮৬.
জীবনে যা কিছু লক্ষ্য থাকুক না কেন, সেটাকে অর্জন করার জন্য যতক্ষণ না তাড়াহুড়ো করবে। তাহলে যেটা তোমার কাছে ছিল সেটাও অনেক দূরে চলে যাবে।

৮৭.
যদি সৃষ্টির দিকে তাকান, যেভাবে এটা রয়েছে, এটা সাঙ্ঘাতিক সুন্দর। আপনাকে এতে আর কোনো কিছু জুড়তে হবে না-না আপনার নিজের জীবনে না অন্য কিছুতে।

৮৮.
আমার নিজের কোনো মতামত নেই। যখন কোনো কাজ ভীষণ প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে তখন আমি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেই। মতামত আমাদের বুদ্ধির সবচেয়ে বড় শিকল।

৮৯.
যদি তোমার কাছে বৃহত্তর, আরও বেশি নিজের মধ্যে সকলকে গ্রহণ করার মত এবং অফুরন্ত উদ্দেশ্য থাকে, তবে তুমি প্রতিদিন সাফল্যের মধুর স্বাদ উপভোগ করবে।

৯০.
আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া মনোভাব বা আচরণ পরিবর্তন নয়, কিন্তু আপনি যেভাবে ভাবেন, অনুভব করেন আর জীবনে উপলব্ধি করেন তার মৌলিক বা ভিত্তিগত পরিবর্তন।

সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: চার>>

………………………….
আরো পড়ুন:
সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: এক
সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: দুই
সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: তিন
সদগুরু জাগ্গি‌ বাসুদেবের বাণী: চার

……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার

গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: এক
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: এক
স্বামী পরমানন্দের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: তিন
স্বামী পরমানন্দের বাণী: চার
স্বামী পরমানন্দের বাণী: পাঁচ
স্বামী পরমানন্দের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: এক
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: দুই
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: তিন
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: চার
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: পাঁচ
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: সাত
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: আট
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: নয়
শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম সম্পর্কে
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ১ম খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ২য় খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ৩য় খন্ড

…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!