ভবঘুরেকথা
তুলসীদাস

সাধক তুলসীদাস: এক

প্রয়াগের নিকট বান্দা জেলার অন্তর্গত রামপুর গ্রামে পণ্ডিত আত্মারাম নামে পরাশর গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন। ধর্মপ্রাণ ও সুপণ্ডিত হিসাবে সে অঞ্চলে খ্যাতি ছিল তাঁর। ১৬৪৬ খ্রীস্টাব্দে রামপুর গ্রামে পণ্ডিত আত্মারামের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন তুলসীদাস। মাতার নাম হুলসী দেবী।

তুলসীদাস তাঁর গানে ও কবিতায় লিখে গেছেন, তাঁর জন্মের কিছুকাল পরেই তাঁর পিতামাতার মৃত্যু ঘটে। ফলে প্রধানতঃ দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে তাঁর শৈশবকাল অতিবাহিত হয়।

পিতামাতার মৃত্যুর পর তাঁর পিতার গুরুদেব নরসিংদাসের আশ্রমে প্রতিপালিত হতে থাকেন তুলসীদাস। নরসিংদাস ছিলেন বয়সে বৃদ্ধ। ধর্মসাধনার জন্য সংসার ত্যাগ করে আশ্রমজীবন যাপন করতেন তিনি। তথাপি বালক তুলসীদাসকে পুত্রজ্ঞানে স্নেহ করতেন।

যথাসম্ভব আদরযত্নে তাঁকে পালন করতেন। তাঁর শিক্ষাদীক্ষা ও শাস্ত্রাধ্যয়নের যথাযথ ব্যবস্থা করেন তিনি। ছাত্র হিসাবে তুলসীদাসও ছিলেন খুবই মেধাবী। সংস্কৃত ভাষার ব্যুৎপত্তি লাভ করে তিনি কাব্য, দর্শন, পুরাণ ও ধর্মশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।

তুলসীদাস তখনও বয়সে তরুণ হলেও নরসিংদাসের একান্ত ইচ্ছা, তিনি এখনই সংসারাশ্রমে প্রবেশ করুন। তাই তিনি তাঁর বিবাহের জন্য উপযুক্ত কন্যার সন্ধান করছিলেন।

অবশেষে পাত্রী সন্ধান মিলল। কিছুদূরে এক গ্রামে দীনবন্ধু পাঠক নামে এক সৎ ও ধার্মিক ব্রাহ্মণ ছিলেন। ঐ ব্রাহ্মণের রূপে গুণে অতুলনীয়া রত্নাবলী নামে এক কন্যা ছিল। এই কন্যার সঙ্গে তুলসীদাসের বিবাহ দিলেন নরসিংদাস।

সংসারজীবনে প্রবেশ করলেন তুলসীদাস। সংসারযাত্রা নির্বাহে যজন যাজন কাজে মন দিলেন। সংস্কৃত ভাষা ও শাস্ত্রে অভিজ্ঞ তুলসীদাস অল্পদিনের মধ্যে সে কাজে পারদর্শী হয়ে উঠলেন। যজমানেরা তাঁকে শ্রদ্ধা করত বিশেষভাবে। সুতরাং সংসার বেশ ভালভাবেই চলতে লাগল। অভাব অনটন বলতে কিছু ছিল না।

নারী হিসেবে রত্নাবলী শুধু রূপলাবণ্যবতী ছিলেন না, তাঁর স্বভাবটিও ছিল বড় মধুর। স্বামীর প্রতি ভালোবাসার অন্ত নেই তাঁর। স্বামীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিধানে সর্বদাই তৎপর তিনি। ছেলেবেলা হতেই তুলসীদাস ছিলেন বড় ভাবপ্রবণ। তার উপর কাব্যের প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল অসাধারণ।

তুলসীদাসের ভাবুক কবি মন তাই স্ত্রীর রূপে ও ভালোবাসায় সহজেই মোহমুগ্ধ হয়ে পড়ল। এমন রূপগুণসম্পন্না স্ত্রীকে পেয়ে পিতামাতাকে অকালে হারানোর বেদনা সহজেই ভুলে গেলেন তিনি। বাড়িতে যতক্ষণ থাকেন, স্ত্রীকে একটিবারের জন্য চোখের আড়াল করতে পারেন না।

সেদিন দূরবর্তী গ্রামে এক যজমানের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তুলসীদাস। ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে গেল। তার উপর কালো মেঘে সমস্ত আকাশ ঢেকে গেছে। আকাশজোড়া মেঘের অন্ধকারের সঙ্গে সঙ্গে ঘন হয়ে উঠেছে সন্ধ্যার অন্ধকার। আসন্ন ঝড় জল এড়াবার জন্য ছুটতে লাগলেন তুলসীদাস।

কিন্তু ঘরে ফিরে দেখলেন স্ত্রী নেই। প্রতিবেশীদের কাছে গিয়ে স্ত্রীর খোঁজ করতে শুনলেন রত্নাবলী তাঁর বাবার অন্তিম অবস্থার কথা শুনেই কালবিলম্ব না করে বাপের বাড়ি চলে গেছেন। তাঁর প্রাণসর্বস্ব প্রিয়তমা রত্নাবলী ঘরে না থাকায় ঘরবাড়ি সব শুন্য মনে হলো তুলসীদাসের কাছে।

ক্ষণকালের বিরহও দুঃসহ হয়ে উঠল তাঁর কাছে। এই জন্যই বিবাহের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে অনেকবার রত্নাবলীকে নিতে এলেও কখনো পাঠাননি তাঁকে।

যাই হোক, শ্বশুরের অবস্থা এখন সংকটজনক। স্ত্রীকে কতদিন বাপের বাড়িতে থাকতে হবে তার কিছু ঠিক নেই। এইসব ভেবে অধৈর্য হয়ে উঠলেন তুলসীদাস। এদিকে তখন ঝড় জল শুরু হয়ে গেছে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। তবু সেই ঝড়জল মাথায় নিয়ে এককাপড়ে বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির পথে রওনা হয়ে পড়লেন।

জলে ভিজে ছেঁড়া কাপড়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছাতেই এ অবস্থায় তাঁকে দেখেই আশ্চর্য হয়ে গেল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁকে ঘিরে একযোগে বিদ্রুপের বাণ বর্ষণ করতে লাগল কুটুম্বের দল। সবাই ভাবল, স্ত্রৈণ তুলসী স্ত্রীকে ছেড়ে একমুহূর্ত থাকতে পারে না বলেই পাগলের মত এই অবস্থায় ছুটে এসেছে।

স্ত্রী না এলে কিছুতেই একবারও দেখতে আসত না শ্বশুরকে। স্বামীর কাণ্ড দেখে স্ত্রী রত্নাবলীও লজ্জায় ও অপমানে যেন মাটিতে মিশে গেলেন। স্বভাবতঃ শান্ত ও ধীর প্রকৃতির হলেও স্বামীর এই পাগলামি আর সহ্য করতে পারলেন না তিনি।

ইষ্টদেবের কৃপায় বিনা আয়াসে আশ্রয় মিলে গেল। ভক্তিমান সর্বত্যাগী যুবক তুলসীকে দেখে করুণা হওয়ায় বিখ্যাত পণ্ডিত সনাতন দাস তাঁর টোলে আশ্রয় দিলেন। শাস্ত্র অধ্যয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইষ্টদেব শ্রীরামের নামকীর্তন ও লীলা বিবরণ পাঠ করে যেতে লাগলেন। কিন্তু টোলে ছাত্রদের ভিড়ের মাঝে সাধন ভজনের জন্য কোন নিভৃত অবকাশ নেই।

প্রচণ্ড ক্রোধে ফেটে পড়লেন। তীব্র ভৎসনার সুরে স্বামীকে বললেন, আজ বুঝতে পেরেছি, আমার প্রতি তোমার আকর্ষণ প্রেমের নয়, মোহের।

এই রক্তমাংসের দেহটার পিছনে যে আসক্তি যে অনুরাগ দেখিয়েছ, তা যদি রামচন্দ্রের চরণে নিবেদন করতে, তাহলে বেঁচে যেতে, সর্বসিদ্ধি লাভ করতে। আজ থেকে তোমার এই উন্মত্ততার হাত হতে আমায় মুক্তি দাও। আমাকে বাঁচাও। কথাটা শেলের মত বিঁধল তুলসীদাসের বুকে।

যে স্ত্রীর কাছ থেকে এতদিন কত ভালোবাসা পেয়ে এসেছেন, সেই স্ত্রীর মুখে এই ঘৃণামিশ্রিত প্রত্যাখ্যানের কথা অসহ্য তাঁর কাছে। তাই কোন প্রত্যুত্তর না করে সেই ঝড় জলের মধ্যেই পথে বেরিয়ে পড়লেন তুলসীদাস। এদিকে রত্নাবলীও সশব্দে দরজা বন্ধ করে দিলেন।

বাইরে ঘরের দুয়ার বন্ধ হলেও তাঁর জীবনের মোহান্ধকার ভেদ করে এক নূতন দিগন্ত উন্মোচিত হয়ে গেল এক চকিত আলোকোদ্ভাসে। আর সেই আলোকিত দিগন্তে সহসা ভেসে উঠল নবদুর্বাদলশ্যাম শ্রীরামের দিব্য মূর্তি। সে মূর্তি যেন তাঁকে ঘরছাড়া করে কোন অজানার দিকে টেনে নিতে চায়।

শ্বশুরবাড়ি হতে বেরিয়ে দ্রুতপায়ে এগিয়ে চলতে লাগলেন তুলসীদাস। পিছন থেকে অনুতপ্ত স্ত্রী ডাকতে লাগলেন। পিছন ফিরে একবার তাকালেনও না। অন্তরে আজ দৈব আহ্বান শুনেছেন, সে আহ্বানের কাছে স্ত্রীর আহ্বান তুচ্ছ।

ক্রমে গ্রামের বাইরে এসে দাঁড়ালেন। তারপর অন্ধকারেই পথ চলতে লাগলেন। ততক্ষণে ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব শেষ হয়ে এসেছে। বাইরের শান্ত প্রকৃতির মত তুলসীদাসের অন্তঃপ্রকৃতিও এক তুমুল বিক্ষোভের শেষে শান্ত হয়ে উঠেছে।

নিরাশ্রয়ের একমাত্র আশ্রয় শ্রীরামের প্রেমঘন মূর্তিকে অবলম্বন করে রামনাম জপ করতে করতে কত বন পাহাড় প্রান্তরসমন্বিত দীর্ঘপথ অতিক্রম করে যেতে লাগলেন। অবশেষে কাশীধামে এসে পৌঁছলেন। অবিরাম কণ্ঠে ধ্বনিত হতে লাগল ইষ্টদেবতা রামের নাম।

ইষ্টদেবের কৃপায় বিনা আয়াসে আশ্রয় মিলে গেল। ভক্তিমান সর্বত্যাগী যুবক তুলসীকে দেখে করুণা হওয়ায় বিখ্যাত পণ্ডিত সনাতন দাস তাঁর টোলে আশ্রয় দিলেন। শাস্ত্র অধ্যয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইষ্টদেব শ্রীরামের নামকীর্তন ও লীলা বিবরণ পাঠ করে যেতে লাগলেন। কিন্তু টোলে ছাত্রদের ভিড়ের মাঝে সাধন ভজনের জন্য কোন নিভৃত অবকাশ নেই।

ব্রহ্মদৈত্য বলল, কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটের কিছুটা উত্তরে রোজ রামায়ণপাঠ হয়‌। সেই পাঠাগারের এক কোণে দেখবে, এক জরাজীর্ণ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ নীরবে বসে আছেন। রোজ সভায় সবার আগে তিনি আসেন এবং পরম নিষ্ঠা ও ভক্তিসহকারে নামগান শোনার পর সবার শেষে সভা থেকে চলে যান। তোমার ইষ্টদেবের সন্ধান তিনিই দিতে পারবেন।

তুলসী তাই নগরের বাইরে এক বনের মাঝে এসে আশ্রয় নিলেন। নির্জনে নিভৃতে নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করে যেতে লাগলেন। কিন্তু ঠিকমত পথ খুঁজে পেলেন না। তাঁর প্রাণপ্রভুর দর্শন কি করে মিলবে তা বুঝতে পারলেন না। সে দর্শনের ব্যাকুলতায় ক্রমে অধীর হয়ে উঠলেন তিনি।

সাধনার জন্য লতাপাতা দিয়ে এক কুটির নির্মাণ করেছেন তুলসী। প্রতিদিন ভোরবেলায় কুটিরের অদূরে এক ঝোপে এক ঘটি জল নিয়ে শৌচকার্য করতেন। তারপর সামনের এক গাছের নীচে ঘটির অবশিষ্ট জলটুকু ঢেলে দিতেন।

সেই গাছে এক ব্রহ্মদৈত্য বাস করত। রোজ তুলসীর দেওয়া জলে তার পিপাসা মিটত।একদিন গভীররাতে ব্রহ্মদৈত্যটি সহসা তুলসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলে, তুলসী, আমি তোমার উপর প্রসন্ন হয়েছি। তুমি রোজ গাছের গোড়ায় যে জল সিঞ্চন করো তাতে আমি তৃপ্ত হই। তোমার কি উপকার করতে পারি বল।

তুলসী তখন সবিনয় বললেন, হে সূক্ষ্মলোকচারী! আপনি যেই হোন, আপনাকে প্রণাম নিবেদন করছি। সত্যিই যদি আপনি আমার উপকার করতে চান, তবে বর দিন, যেন আমার ইষ্টলাভ হয়।

ব্রহ্মদৈত্য হেসে বলল, এত শক্তি যদি আমার থাকবে, তাহলে এত দুর্ভোগ সহ্য করব কেন? আমি ও বর দিতে পারব না। তবে তোমার ইষ্টদেব রঘুনাথজীর সত্যিকারের পথপ্রদর্শকের সন্ধান দিতে পারি।

তুলসীদাস আগ্রহের সঙ্গে বললেন, তাহলে সেই সন্ধানই দিন।

ব্রহ্মদৈত্য বলল, কাশীর দশাশ্বমেধ ঘাটের কিছুটা উত্তরে রোজ রামায়ণপাঠ হয়‌। সেই পাঠাগারের এক কোণে দেখবে, এক জরাজীর্ণ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ নীরবে বসে আছেন। রোজ সভায় সবার আগে তিনি আসেন এবং পরম নিষ্ঠা ও ভক্তিসহকারে নামগান শোনার পর সবার শেষে সভা থেকে চলে যান। তোমার ইষ্টদেবের সন্ধান তিনিই দিতে পারবেন।

হঠাৎ কুটিরের বাইরে কোলাহল শুনে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দেখলেন, এক বেদে ও বেদেনী বাঁদর নাচ দেখাতে এসেছে এবং তাদের পিছনে এক সুদর্শন তরুণ যুবক ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে দাঁড়িয়ে আছে। তারা গোস্বামী তুলসীকে নাচ না দেখিয়ে ছাড়বে না।

তুলসীদাস বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে ব্রহ্মদৈত্য বলল, তবে শোন! এই ছদ্মবেশী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণই হলো ভক্তপ্রবর পবননন্দন হনুমান। তাঁর শরণাপন্ন হও। তাঁর কৃপায় প্রভু শ্রীরামচন্দ্র অচিরে তোমায় দর্শন দেবেন।

রামায়ণের আসরে গিয়ে তুলসী দেখলেন, একজন বৃদ্ধ ভক্তিভরে বসে একমনে পাঠ শুনছেন। পাঠ ও ভজন শেষ হলে সকলে চলে গেলে বৃদ্ধ বেরিয়ে গেলেন। তুলসী তাঁর সঙ্গে পথে গিয়ে দেখা করলেন। ইষ্টদেব দর্শনের ব্যাকুলতায় কাঁদতে লাগলেন।

চরণে প্রণত হয়ে বারবার বললেন, রঘুনাথজীর দর্শন তাঁকে করিয়ে দিতে হবেই। তা না হলে কিছুতেই ছাড়বেন না তিনি। বৃদ্ধ তাঁকে আশীর্বাদ করলেন। তুলসীর মনে হলো স্বয়ং পবনপুত্র হনুমান নবরূপ ধারণ করে তাঁকে সাধনমার্গের নির্দেশ দিতে এসেছেন।

তাঁর মতে স্বয়ং মহাদেবই রামনাম কীর্তনের জন্য মহাভক্তবীর হনুমানের রূপ পরিগ্রহ করেন। আবার সেই বৃদ্ধ ব্রাহ্মণরূপী হনুমানকে পেয়ে কৃতার্থ হয়ে তাকেই গুরুরূপে বরণ করলেন।

গুরুর নির্দেশিত পথে এগিয়ে যেতে লাগলেন তুলসীদাস। নিয়মিত সাধনভজন করে যেতে লাগলেন তাঁর সেই বনমধ্যস্থিত নির্জন কুটিরে। সাধনমার্গে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই গুরু তা সমাধান করে দিতেন।

এইভাবে কয়েক মাস কেটে গেল। কিন্তু এত সব সাধনভজন সত্ত্বেও ইষ্ট দর্শন হলো না। ক্রমেই আরো ব্যাকুল ও ব্যগ্র হয়ে উঠলেন। একদিন সেই রামায়ণ পাঠের আসর ভঙ্গ হওয়ার পর তাঁর গুরু সেই ছদ্মবেশী মহাবীরজীর সঙ্গে সঙ্গে পথ চলতে লাগলেন। রঘুনাথজীর দর্শন করিয়ে না দিলে আজ কিছুতেই ছাড়বেন না।

এক রহস্যময় হাসি ফুটে উঠল মহাবীরজীর মুখে। তিনি বললেন, এখন ফিরে যাও। আগামী পরশুদিন রামনবমী তিথি। তুমি নিজের কুটিরে বসেই প্রভু রামচন্দ্রজীর দর্শন পাবে।

রামনবমীর দিন সকাল হতেই ইষ্টদেবের আবির্ভাবের প্রতীক্ষায় প্রতিটি মুহূর্ত গণনা করে যেতে লাগলেন তুলসীদাস। প্রভু এলেন না। কিন্তু মহাবীরজী স্বয়ং তা বলেছেন। তাঁর বাণী ত ব্যর্থ হবার নয়।

হঠাৎ কুটিরের বাইরে কোলাহল শুনে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে দেখলেন, এক বেদে ও বেদেনী বাঁদর নাচ দেখাতে এসেছে এবং তাদের পিছনে এক সুদর্শন তরুণ যুবক ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে দাঁড়িয়ে আছে। তারা গোস্বামী তুলসীকে নাচ না দেখিয়ে ছাড়বে না।

(চলবে…)

……………..
আরো পড়ুন:
সাধক তুলসীদাস: এক
সাধক তুলসীদাস: দুই
সাধক তুলসীদাস: তিন

………………………..
ভারতের সাধক ও সাধিকা সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ
পুনপ্রচারে বিনীত: প্রণয় সেন

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………….
আরও পড়ুন-
স্বামী অড়গড়ানন্দজী
ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব
শিরডি সাই বাবা
পণ্ডিত মিশ্রীলাল মিশ্র
নীলাচলে মহাপ্রভুর অন্ত্যলীলার অন্যতম পার্ষদ ছিলেন রায় রামানন্দ
ভক্তজ্ঞানী ধর্মপ্রচারক দার্শনিক রামানুজ
সাধক ভোলানন্দ গিরি
ভক্ত লালাবাবু
লাটু মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সৃষ্টি
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন
পরিব্রাজকাচার্য্যবর শ্রীশ্রীমৎ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব
আর্যভট্ট কাহিনী – এক অজানা কথা
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
কঠিয়াবাবা রামদাস
সাধু নাগ মহাশয়
লঘিমাসিদ্ধ সাধু’র কথা
ঋষি অরবিন্দ’র কথা
অরবিন্দ ঘোষ
মহাত্মাজির পুণ্যব্রত
দুই দেহধারী সাধু
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর
বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে
মুসলমানে রহিম বলে হিন্দু পড়ে রামনাম
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : প্রথম খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব: দ্বিতীয় খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : অন্তিম খণ্ড
মহামহোপাধ্যায় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ
শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
শ্রীশ্রী ঠাকুর সত্যানন্দদেব
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: এক
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: দুই
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: তিন
সাধক তুকারাম
সাধক তুলসীদাস: এক
সাধক তুলসীদাস: দুই
সাধক তুলসীদাস: তিন
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: এক
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: দুই
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: তিন

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!