ভবঘুরেকথা
দোতারা বাউল ফকির সাধু গুরু

অলসে মাকে পূজলি না কেনে

অলসে মাকে পূজলি না কেনে!
সে যে আদ্যাশক্তি, পূজো শক্তি দশভুজা
যথাশক্তি আয়োজনে।।

মাঝে মাঝে পূজা ঘটে একবার,
তৃতীয় দিবসে না হ’ল সুসার,
ষষ্ঠী আদি বোধন পূর্ব দিনে তার,
মায়ের শ্রীচরণ শ্রীফল বিনে।।

নবধা ভক্তি হয়, নব অঙ্গ-সাধন,
নব নব ভাব-রস-উদ্দীপন,
ষোড়শ শৃঙ্গারে ষোড়শ উপচারে
নৈবেদ্য আত্ম-নিবেদনে।।

সন্ধি-পূজার কথা গূঢ় অভিসন্ধি,
চতুর সাধকে জানে অভিসন্ধি,
কাম-ছাগ তারে আগে কর বন্দী,
বলিদান বলিদানে।।

নবমীর পরে বিজয়া আখ্যান,
সর্ববীজ-মধ্যে আমার গুরু বলবান;
হরগোবিন্দের মনে উদয় সমাধান,
বৃথা শ্রীগুরুর শ্রীচরণ বিনে।।

……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।

এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রচারক দুলালচাঁদ ওরফে লালশশী রচিত ‘ভাবের গীত’ নামক পুস্তক হইতে নমুনার জন্য উপরের গানটি এখানে উদ্ধুত করা গেল। এগুলি ঠিক গান নহে, দীর্ঘ কবিতা; অনেকক্ষেত্রে অবান্তর উল্লেখবহুল এবং আসল কথাটি ঢাকিতে গিয়া নানা দুর্বোধ্যতার সৃষ্টি করা হইয়াছে।

লাল শশী কে এরূপ ভণিতাই বা কেন হইল? এরূপ বোধ হয় দু-একটি পাঠক মহাশয়ের মনে উদিত হইতে পারে। কর্তা-ভজন-ধর্ম-প্রচারক স্বর্গীয় রামদুলাল যিনি দুলালচাঁদ বা শ্রীযুত বলিয়া খ্যাত, তাঁহারই রচিত। লালশশী তাঁহার নামের অপভ্রংশমাত্র। (দু) লাল+চাঁদ=শশী।

…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!