পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব পনের
-মূর্শেদূল মেরাজ
তার নাভি থেকে বের হল আরও একটি পা। এই পা তিনি রাখলেন রাজা বলির মাথায়। এতে বলি ঢুকে গেল পাতালে। জেনে বুঝেও জমি দান করেছিল বলে বিষ্ণু রাজা বলির নরকাসুর রূপের পুজোর প্রবর্তন করেন মর্ত্যলোকে। সেই থেকে ভূতচতুর্দশীতে বলির পুজোর প্রচলন ঘটে।
সেই থেকে নরকাসুর রূপে বলি মর্ত্যে আসে পুজো নিতে। সঙ্গে থাকে তার অসংখ্য অনুচর ভূত-প্রেত। তাদের দূরে রাখার জন্যই এই চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো হয়।
পাগল বিজয় বলেছেন-
তুমি জানো নারে প্রিয়
তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি
মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না।।
ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায়
মৃদু মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুয়া মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু যামিনী যাপনা।।
(তুমি) আমায় ফেলে চলে গেলে
কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও দেখতে তুমি এলে না
যদি পেতাম দুঃখিনীর কুটিরে
দেখাইতাম অন্তর চিঁড়ে
বুকের ব্যথা মুখে বলা চলে না।।
কাষ্ঠ-নলে দাবানল
পুড়ে যায় বন জঙ্গল
মন পোড়া পিরিত বন্ধু তাহা নয়
কত বিরহীনির তুমি অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জলে গেলে জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না– না নিভে না।।
খুঁজিলাম জনম জনম
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম
কোনখানে পাইনে তোমার ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
ফিরবে কি জীবনে মোর
মনে রইলে ব্যথা ভরা বাসনা।।
পঞ্চভূতের পরিণতি –
সৃষ্ট জীব ধ্বংস হয়ে মহাশূন্যে বিলীন বা স্ব স্ব উপাদানে মিশে যাবে। অর্থাৎ ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম এই পঞ্চভূতের ভূমিকাই চিরন্তন সত্য অর্থাৎ সনাতন। এই সৃষ্টিতত্ত্বে এবং বিনাশতত্ত্বে পঞ্চভূতের বাইরে কিছু নেই।
পঞ্চভূতের মধ্যে বিপরীত দু শক্তি ঋণাত্মাক ও ধনাত্মাক শক্তি। অর্থাৎ পিতৃশক্তি ও মাতৃশক্তির সমন্বয়ে জীবজগতের সৃষ্টি। প্রকৃতির নিয়মে সৃষ্টি, প্রকৃতির নিয়মে বিনাশ; এটাই সূক্ষ্ম সনাতন (চিরন্তন সত্য) দর্শন। যাকে বলে চিরন্তন সত্য।
শ্রবণ, স্পর্শন, দর্শন, রসন এবং ঘ্রাণ এই পাঁচটি কর্মই ইন্দ্রিয়ের পঞ্চতত্ত্ব আর এই সকল ইন্দ্রিয়ের কর্ম পরিচালিত করে মন(প্রধান)। এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল প্রকার লক্ষণ আমাদের এই দেহের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয়।
‘সাকারাশ্চ বিনশ্যন্তি নিরাকারো ন নশ্যতে’ অর্থাৎ যেগুলি সাকার সেই গুলির বিনাশ হয় এবং যেগুলি নিরাকার (আকার শূন্য) সেগুলি হয় অবিনাশী। জীবাত্মা, প্রকৃতি ও পুরুষ বা ঈশ্বর বা ব্রহ্ম, এই তিনটি নিত্য, বাকি সব অনিত্য। প্রকৃতিতেই এই জগৎ রচিত পুরুষ বা ঈশ্বর কর্তৃক।
তাই দাহ করে দ্রুত দেহকে ন্যাশ করার বিধি দেখা যায় বৈদিকতায়। আবার মুসলমানদের মধ্যে সরাসরি মাটিতে সমাহিত করা হয় বলে। সেক্ষেত্রেও দেহ দ্রুতই মিশে যায়। কিন্তু অনেক বিশ্বাসে দেহ সংরক্ষণ না করলেও এমন সব পদ্ধতিতে দেহকে সমাহিত করা হয় যে। তা প্রকৃতিতে মিশে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
এই পঞ্চতত্ত্বের পরে যে তত্ত্ব তাকেই বলে তত্ত্বাতীত বা নিরঞ্জন। অর্থাৎ পঞ্চতত্ত্বের ঊর্ধ্বে তত্ত্বাতীত তত্ত্বই হলো পরমতত্ত্ব! শাস্ত্রে বলে, দেহের পঞ্চতত্ত্বের পরিধি বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারলে, একসময়ে ব্রহ্মাণ্ডের পঞ্চতত্ত্বের পরিধি স্পর্শ করা যায়! আর তা করা গেলে একসময় স্পর্শ করা যায় পরমের পঞ্চতত্ত্বের পরিধি!
বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি-ধ্বংস, সব কিছু এই পঞ্চভূতের মধ্যে বিরাজ মান। শক্তির মূল উৎস সূর্য। পঞ্চভূতের তিনটি ভূতকে গ্রহণ না করলে আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এই দেহের চেতনা কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে। তখন দেহের জন্য আর শক্তির প্রয়োজন হয় না।
তাই মৃতদেহকে দ্রুত সৎকার করা হয়। পঞ্চভূতের পঞ্চ উপাদানকে সম্মানপূর্বক দ্রুত ফিরিয়ে দেয়ার রীতিতে নানা আচার যুক্ত আছে বৈদিক মতে। বৈদিকতায় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মৃতের দেহের পঞ্চভূতকে ব্রহ্মাণ্ডের পঞ্চভূতে ফিরিয়ে দেয়াই রীতি।
বেশিরভাগ ধর্ম-মত-বিশ্বাসেও একই রীতি প্রচলিত। তা মাটিতে সমাহিতই করা হোক, দাহ করা হোক বা জলেই ভাসিয়ে দেয়া হোক। তবে কিছু কিছু বিশ্বাসে পঞ্চভূতের দেহকে সংরক্ষণ করা হয়। এই ভাবনা থেকে সংরক্ষণ করা হয় যে আত্মা এই দেহের মায়া ছাড়তে পারে না। সে দেহের আশপাশেই ঘোরাফেরা করে।
প্রাচীন অনেক মতে অবশ্য শেষ বিচারের সময় আত্মা দেহে প্রবেশ করবে তার জন্যও পঞ্চভূতের দেহকে সংরক্ষণ করা হয়। আবার প্রকৃতির জলবায়ুর নিয়মে অনেক স্থানে পঞ্চভূতের দেহ বিলীন হয় না সহজে। এমনিতেই টিকে থাকে বহু বহু কাল।
অন্যদিকে অনেক মতাদর্শ বিশ্বাস করে। যে দেহ প্রজ্ঞা প্রাপ্ত হয় তার আর ব্রহ্মাণ্ডে মিশে যাওয়ার কোনো দায় থাকে না। তাই ভক্তকুল প্রজ্ঞা প্রাপ্ত দেহকে সমাহিত করে সংরক্ষণ করে। তাকে ঘিরে হয় নানা আয়োজন। অনুষ্ঠিত হয় ভক্তিপর্ব।
তাই দাহ করে দ্রুত দেহকে ন্যাশ করার বিধি দেখা যায় বৈদিকতায়। আবার মুসলমানদের মধ্যে সরাসরি মাটিতে সমাহিত করা হয় বলে। সেক্ষেত্রেও দেহ দ্রুতই মিশে যায়। কিন্তু অনেক বিশ্বাসে দেহ সংরক্ষণ না করলেও এমন সব পদ্ধতিতে দেহকে সমাহিত করা হয় যে। তা প্রকৃতিতে মিশে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
অনেক মতাদর্শে আবার দেহের পঞ্চভূত নির্দিষ্ট করা হয় দেহের পঞ্চ পদার্থকে। যা দেহে থেকে নির্গত হয়। তাদের মতে, মল হলো দেহের ক্ষিতি। মূত্র হলো অপ। তেজ হলো রজ, মরুৎ হলো শুক্র আর বম হলো লালা। তাই পঞ্চভূতকে জানতে গিয়ে তারা দেহের এই পঞ্চভূতকে গভীরভাবে জানার চেষ্টায় নানা ক্রিয়া করে থাকেন।
অন্যদিকে জরোথ্রুস্টীয়রা শকুনকে তাঁরা মনে করতেন ‘পঞ্চভূত’। সেকারণে তারা মৃতদেহকে খোলা আকাশের নীচে ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্সে’ রেখে দেয়। যেন শকুনদের আহার হয়ে মৃতদেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়।
চিশতিয়া তরিকায় পঞ্চভূতের মাটি, জল, আগুন, বায়ু ও আকাশেকে বলা হয়- খাক, আব, আতশ, বাদ ও নুর। এর প্রথম চারটি অর্থাৎ ‘আনাসিরে আরবায়া’ দিয়ে দেহের গঠন। আর এই চার উপাদানের মূলে আছে নুর বা জ্যোতির্ময় সত্তা।
ভারতীয় দর্শনের চার্বাকের মতো জরথুস্ত্রবাদীরা শেষ বা প্রথম ভূত নুরকে বাদ দিয়ে বাকি চারটিকে বিশ্বাস করে সৃষ্টির মৌলিক উপাদান হিসেবে। অবশ্য রাশিয়ার কেমিস্ট মেন্দেলেফের পিরিয়ডিক টেব্যল অফ এলিমেন্টস বলে, “পঞ্চভূত নয় আসল মৌল হলো- হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন ইত্যাদি।”
অন্যদিকে অনেক মতাদর্শ বিশ্বাস করে। যে দেহ প্রজ্ঞা প্রাপ্ত হয় তার আর ব্রহ্মাণ্ডে মিশে যাওয়ার কোনো দায় থাকে না। তাই ভক্তকুল প্রজ্ঞা প্রাপ্ত দেহকে সমাহিত করে সংরক্ষণ করে। তাকে ঘিরে হয় নানা আয়োজন। অনুষ্ঠিত হয় ভক্তিপর্ব।
তবে সাধারণভাবে মৃত্যুর পর দেহ থেকে পঞ্চভূত প্রকৃতির পঞ্চভূতেই ফিরে যায়। মাটির অংশ যায় মাটিতে, জলাংশ যায় জলে, অগ্নি যায় তেজে, বায়ু মিশে যায় বাতাসে আর আকাশ মিশে যায় শূন্যতায়। সনাতন ধর্মানুসারে- মৃত্যুর পর জীবদেহের ৫টি উপাদান প্রকৃতিস্থিত ৫টি উপাদানের সাথে মিশে একীভূত হয়ে যায়-
- দেহের অস্থি, মাংস, নখ, ত্বক ও পশম মাটির সাথে মিশে যায়।
- দেহের জলীয় অংশ জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে যায়।
- দেহের তেজ প্রকৃতির তেজ রোদের সাথে মিশে যায়।
- প্রাণবায়ু প্রকৃতির বাতাসের সাথে মিশে যায়।
- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও লজ্জা মহাশূন্যে মিশে যায়।
সাধুগুরুরা বলেন, ব্রহ্মাণ্ডের মৌলিক পঞ্চ উপাদানেই দেহের গঠন। তাই দেহকে যন্ত্র নাও। কিন্তু তা নিয়ে অহঙ্কার করো না। অহঙ্কারে সকল কিছুই পতন ডেকে আনে। তাই সাধনায় দেহকে প্রস্তুত করা হয় বটে। পাশাপাশি দেহকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয় না। যাকে করে অহংকে সংযম করা যায় অনেক খানিই।
ফকির লালন সাঁইজি বলেছেন-
“মরিলে সব হবে মাটি
ত্বরায় এই ভেদ লও জেনে।।”
সাধনায় দেহকে প্রস্তুত করবার জন্য অনেক ক্রিয়া যেমন করা হয়। তেমনি নানারূপ বাহ্যিক উপাদানও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তার কোনোটাই সৌন্দর্য বর্ধন করে লোককে দেখাবার জন্য নয়। তা দেহকে সাধনায় প্রস্তুতের জন্য কেবল।
স্বামী বিবেকানন্দ তার চিকাগো বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন- “বেদ শিক্ষা দেন : আত্মা ব্রহ্মস্বরূপ, কেবল জড় পঞ্চভূতে বদ্ধ হইয়া আছেন; এই বন্ধনের শৃঙ্খল চূর্ণ হইলেই আত্মা পূর্ণত্ব উপলব্ধি করেন। অতএব এই পরিত্রাণের অবস্থা বুঝাইবার জন্য ঋষিদের ব্যবহৃত শব্দ ‘মুক্তি’! মুক্তি, মুক্তি-অপূর্ণতা হইতে মুক্তি-মৃত্যু ও দুঃখ হইতে মুক্তি।
ঈশ্বরের কৃপা হইলেই এই বন্ধন ঘুচিয়া যাইতে পারে এবং পবিত্র-হূদয় মানুষের উপরই তাঁহার কৃপা হয়। অতএব পবিত্রতাই তাঁহার কৃপালাভের উপায়। কিভাবে তাঁহার করুণা কাজ করে? শুদ্ধ বা পবিত্র হূদয়েই তিনি নিজেকে প্রকাশিত করেন।
তারপরও কিছু তথ্য-উপাত্য ও নিজস্ব কিছু ভাবনা জুড়ে বিষয়টার যৎকিঞ্চিৎ উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম মাত্র। যাতে চট করে কোনো কিছুর বিরোধীতা করার চেয়ে গভীরে ভাবতে পারার যে সক্ষমতা তা যেন বিরাজ করে। সাধুগুরুপাগলগোঁসাই সকলের চরণে ভক্তি ও ক্ষমা ভিক্ষা করে শেষ করছি। জয়গুরু।।
নির্মল বিশুদ্ধ মানুষ ইহজীবনেই ঈশ্বরের দর্শনলাভ করেন। ‘তখনই-কেবল তখনই হৃদয়ের সকল কুটিলতা সরল হইয়া যায়, সকল সন্দেহ বিদূরিত হয়।”
অন্যদিকে কাশেম বাবা বলেছেন, ‘একাত্ম না করলে, পঞ্চাত্মা পঞ্চভূতে বিলীন হইয়া যাইব।’
এই পঞ্চভূতের পাঁচ গুণই মূলত আমাদের পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়। অর্থাৎ শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ। এই পঞ্চভূত দিয়ে যেমন ব্রহ্মাণ্ড ও দেহভণ্ড গড়া। তেমনি এই পঞ্চভূতের পঞ্চগুণেই আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয় সচকিত। আসলে পঞ্চ বা পাঁচ এমনই এক রহস্যময় সংখ্যা যা না বুঝতে পারলে সৃষ্টিকে বোঝা মুশকিল।
আর সৃষ্টিকে বুঝতে না পারলে স্রষ্টা সম্পর্কে বিন্দু মাত্র ধারণা করাও দূরহ ব্যাপার। আসলে এই রহস্যে ঘেরা জগতের সকল কিছুই একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এর যে কোনো একটাকে বুঝতে গেলে অন্যগুলোও উপস্থিত হয়।
তাই সাধুগুরুরা এতোশত কিছু ছিন্নভিন্নভাবে না বুঝে নিজ দেহকে বুঝবার কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। কারণ আবারো সেই একই কথা, “যা আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে তা আছে এই দেহভাণ্ডে।” তাই এই পঞ্চভূতের আলাপটা কোথাও ইতি টাকা সহজ নয়।
তারপরও কিছু তথ্য-উপাত্য ও নিজস্ব কিছু ভাবনা জুড়ে বিষয়টার যৎকিঞ্চিৎ উপস্থাপনের চেষ্টা করলাম মাত্র। যাতে চট করে কোনো কিছুর বিরোধীতা করার চেয়ে গভীরে ভাবতে পারার যে সক্ষমতা তা যেন বিরাজ করে। সাধুগুরুপাগলগোঁসাই সকলের চরণে ভক্তি ও ক্ষমা ভিক্ষা করে শেষ করছি। জয়গুরু।।
সবশেষে ফকির লালন সাঁইজির প্রশ্ন রেখেই শেষ করছি-
মলে ঈশ্বর প্রাপ্ত হবে কেন বলে।
সেই যে কথার পাই নে বিচার
কারো কাছে শুধালে।।
মলে যদি হয় ঈশ্বরপ্রাপ্ত
সাধু অসাধু সমন্ত,
তবে কেনে তপজপ এত
করবে জলে স্থলে।।
যে পঞ্চে পঞ্চভূত হয়
ম‘লে তা যদি তাতে মিশায়,
ঈশ্বর অংশ ঈশ্বরে যায়
স্বর্গ-নরক কার মেলে।।
জীবের এই শরীরে
ঈশ্বর অংশ বলি কারে,
লালন বলে চিনলে তাঁরে
মরার ফল তাজায় ফলে।।
(সমাপ্ত)
<<পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব এক
………………….
কৃতজ্ঞতা স্বীকার-
পুরোহিত দর্পন।
উইকিপিডিয়া।
বাংলাপিডিয়া।
শশাঙ্ক শেখর পিস ফাউন্ডেশন।
পঞ্চভূত – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বাতাসের শেষ কোথায় : ইমরুল ইউসুফ।
ন্যায় পরিচয় -মহামহোপাধ্যায় ফনিভূষণ তর্কবাগীশ।
পঞ্চভূত স্থলম ও পঞ্চভূত লিঙ্গম- দেবাদিদেব শিবঠাকুরের খোঁজে: আশিস কুমার চট্টোপাধ্যায়ের।
…………………………..
আরো পড়ুন-
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব এক
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব দুই
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব তিন
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব চার
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব পাঁচ
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব ছয়
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব সাত
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব আট
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব নয়
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব দশ
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব এগারো
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব বারো
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব তেরো
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব চোদ্দ
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব : পর্ব পনের