ভবঘুরেকথা

শয়তান

-লুৎফর রহমান

প্রভু! বীভৎস ঘৃণিত কুৎসিত মুখ আমি দেখতে চাই। আমার হাত তুমি ধর, আমি শয়তানের মুখ দেখবো- খুব ভালো করে তাকে দেখবো। শয়তান কেমন করে আমাকে মুগ্ধ করে, আমার শিরায় শিরায় প্রবেশ করে, আমাকে উদভ্রান্ত করে, আমাকে তোমার স্নেহ-মধুর পূত-নির্মল সহবাস হতে ইঙ্গিতে বিভ্রান্ত করে।

সমস্ত অন্তর দিয়ে তাকে ঘৃণা করতে চাই। তাকে দেখি নাই বললে চলবে না। তার ঘৃণিত, পৈশাচিক মুখ আমায় দেখাও, আমার দেহের অনুপরমাণু ঘৃণায় বিদ্রোহী হয়ে উঠুক, সমস্ত অন্তর দিয়ে আমি শয়তানকে ঘৃণা করতে চাই।

আমি অনেক সাধনা করেছি, অনেক রাত্রি তোমার ধ্যানে কাটিয়েছি আমার সমস্ত শরীর তোমার পরশ-পুলকে অবশ হয়ে উঠেছে; আমাতে আমি নাই- আমার নয়ন দিয়ে তোমার প্রেমের অশ্রু ঝরছে। পৃথিবীর সমস্ত আবিলতা মুক্ত হয়ে তোমার প্রেমে ধন্য হয়েছি; অকস্মাৎ চোখের নিমিষে শয়তান এসে আমার সর্বনাশ করে গেল,-

আমাকে এক মুহূর্তে, পাতালের গভীরতম কূপে ফেলে গেল, ক্ষণিকের লোভে মানুষের মাথায় বজ্রাঘাত করলাম, অন্ধকার নিশীথে পশুর নেশায় বারবণিতার সৌন্দর্যশ্রীতে ডুবে মরলাম, গোপনে লোকচক্ষুর অগোচরে কুকার্যে আসক্ত হলাম, মানুষের বৃদ্ধি-অনুভূতির অন্তরালে প্রতারণায় আত্মনিয়োগ করলাম।

প্রভু, কে আমায় রক্ষা করবে? মানুষ আমার পাপ দেখে নাই, আমি একাকী দেখেছি, আমাকে শয়তান আমার সর্বনাশ করেছে। প্রভু,মানুষের অগোচরে আমায় দুর্জয় কর; শয়তানের কুৎসিত মুখশ্রী আমায় দেখাও।

পৃথিবীর যত পাপ- পৃথিবীর যত প্রতারণা, নীচাশয়তা, হীনতা, কাপুরুষতা তাই তো শয়তানের মুখ। সাধু সঙ্গ ত্যাগ করে শয়তানের মুখ ভালো করে দেখবার জন্য, পৃথিবীর সমস্ত কাপুরুষতা, সমস্ত মূঢ়তা, গোপন পাপ, নারী ব্যভিচার আজ আমি ভালো করে দেখতে চাই।

শয়তান! আমি তোমার মুখ আরও ভালো করে দেখতে চাই- প্রভুকে যেমন করে দেখছি, তোমাকেও তেমন করে দেখতে চাই- অনন্তভাবে আমি তোমার ঘৃণিত কুৎসিত নগ্ন ছবি দেখতে চাই। আমি সমস্ত প্রাণ দিয়ে তোমাকে ঘৃণা করতে চাই। ভালো করে তোমার মুখ আমায় দেখাও, আমি দুই হাত দিয়ে ভালো করে স্পর্শ করে তোমায় দেখতে চাই।

একটা দরিদ্র লোক জীবনভর কিছু টাকা উপায় করেছিল। একদিন এক নামাজিকে তার বাড়িতে গিয়ে গভীর রাত্রে পঞ্চাশটি টাকা হাওলাত করে আনতে দেখেছিলাম। নামাজি বিয়ে করতে যাচ্ছিল, খুব বিপদে পড়েই তাকে সেখানে টাকার জন্য যেতে হয়েছিল।

পঞ্চাশটি টাকা সে চাওয়া মাত্র পেয়েছিল- কোনো সাক্ষী ছিল না, কোনো লেখা-পড়া দলিলপত্র হয় নাই। এই ঘটনা দেখেছিলেন শুধু আল্লাহ্ আর নামাজির অন্তর মানুষ। তারপর দশ বৎসর অতীত হয়ে গেছে। লোকটি মারা গেছে।

তার বিধবা পত্নী নামাজির বাড়িতে হেঁটে হেঁটে হয়রান হয়ে এখন আর হাঁটে না। এই ব্যক্তিকে লোকে মুসলমান বলে, মানুষ তাকে ঘৃণা করে। তাকে অমানুষ বলে ধরবার কোনো পথ নাই। সে পাঁচটি ফরজই আদায় করেছে। কে তাকে কাফের বলবে? কিন্তু আমি দেখেছি তার মুখে শয়তানের বিশ্রী মুখ।

একজন কেরানি তার পত্নীকে খুব ভালোবাসতো। সারাদিন সে পোস্ট অফিসে গাধার খাটুনি খাটতো, আর তার মাঝে তার পত্নীর মুখোনি বুকে জেগে উঠতো। মাতাল যেমন মদ খেয়ে দুর্বল দেহটিকে সবল করে নেয়, সেও তার দুর্বল দেহটাকে পত্নীর মুখোনির কথা মনে করে সবল শক্ত করে নিত। পোস্ট অফিসের ভারী ব্যাগগুলি ধাক্কা মেরে সে দশ হাত দূরে ফেলে দিত।

সে যখন বাসায় ফিরতো বাজার থেকে এক গোছা গলদা চিংড়ি মাছ কিনে শিস দিতে দিতে বাড়ি আসত, পত্নীর হাতে সেগুলি দিয়ে প্রেমে তার মুখের পানে চেয়ে থাকত।

এক ছোঁকরা ঐ বাড়িতে আসত। কেরানি তাকে পুত্রের মতো স্নেহ করতো। তার বয়স আঠার বৎসর হবে। একদিন ছোঁকরার সঙ্গে ঘরখানি খালি করে পত্নীটি চলে এসেছিল- সে এখন পতিতা। রাস্তার পার্শ্বে দাঁড়িয়ে হাসে। একদিন ঝগড়া করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম।

হঠাৎ দেখলাম- সেই পতিতার উজ্জ্বল দীপ্ত লোহিত মুখ। সেই মুখে দেখেছিলাম শয়তানের কুৎসিত মুখ-বীভৎস দৃষ্টি। হৃদপিণ্ডে আগুন জ্বলে উঠেছিল, আন্তরিক ঘৃণায় সেই স্থান ত্যাগ করলাম। আমার পাপচিত্ত ক্রুদ্ধ ঘৃণায় জ্বলে উঠেছিল। মহাপাপের মুখ দেখে আমি শিউরে উঠেছিলাম।

শয়তান! আমি তোমার মুখ আরও ভালো করে দেখতে চাই- প্রভুকে যেমন করে দেখছি, তোমাকেও তেমন করে দেখতে চাই- অনন্তভাবে আমি তোমার ঘৃণিত কুৎসিত নগ্ন ছবি দেখতে চাই। আমি সমস্ত প্রাণ দিয়ে তোমাকে ঘৃণা করতে চাই। ভালো করে তোমার মুখ আমায় দেখাও, আমি দুই হাত দিয়ে ভালো করে স্পর্শ করে তোমায় দেখতে চাই।

এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির গৃহে তার সেয়ানা মেয়েটি থাকতো। মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে। ভদ্রলোকের বাড়িতে তার এক দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয়ও থাকত। দেখলাম, একদিন সেই আদরের মেয়েটি সেই যুবকটির সঙ্গে গোপনে গোপনে আলাপ করছে। মেয়েটির মা বোনেরা তা জানে, জাতি যাবার ভয়ে কথা বলে না। নির্জন কক্ষে এই দুটি বিশ্বাসঘাতক নর-নারী কথা বলে, এক সঙ্গে খায়।

শমসের এবং হাসান দুই ব্যক্তি কথা বলছিলেন। শমসের বললেন- আপনি মহামানুষ, দেশসেবক, আপনার কাছে আমি চিরঋণী।, হাসান- জনাব, জীবন অনিত্য, কোনো সময় যাই, তার ঠিক নাই, আমার কাছে কৃতজ্ঞ হবার দরকার নাই।

শমসের বললেন- আপনার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ, আপনি মহামানুষ।

অতঃপর হাসান সে স্থান থেকে চলে গেলেন। তার স্থান ত্যাগ করা মাত্র শমসের বললেন- এই ব্যক্তিকে আমি চিনিভারি শয়তান’। শমসেরের মুখে দেখলাম, কাপুরুষ নিন্দাকারী শয়তানের বীভৎস ছবি। শয়তানের হাত থেকে রক্ষা চাই। আমাদের এই সুপবিত্র মুখশ্রীতে শয়তানের মুখ ফুটে না উঠুক।

একটি বন্ধু আর একটি বন্ধুকে ভালোবাসতো। প্রথম বন্ধুটির গৃহে দ্বিতীয় বন্ধুটি প্রায়ই যেত। প্রথম বন্ধু দ্বিতীয় বন্ধুকে বিশ্বাস করতো, ভালোবাসতো। একদিন দেখলাম দ্বিতীয় বন্ধু প্রথম বন্ধুর অনুপস্থিতিতে প্রথম বন্ধুর পত্নীর সঙ্গে অবৈধ প্রেমালাপে মত্ত। শয়তানের মুখ দেখতে বাকি রইল না। শয়তানকে ভালো করেই চোখের সামনে দেখলুম।

একটি যুবক, সে বক্তৃতা করতো, এক সংবাদ-পত্রিকার সম্পাদক সে। এক বুড়ির বাড়িতে সে যেত। বুড়ি তাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসত- স্নেহ করতো; এতটুকু অবিশ্বাস করতো না। বুড়ি উচ্চ-হৃদয় যুবককে গৃহে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করতো।

বুড়ির একটি মাত্র অবলম্বন ছিল তার বার বৎসরের প্রিয় সন্তানটি, দেখতে বেহেশতের পরীবালকের মতো। এই যুবক বালকটিকে ভালোবাসতো; বুড়ি প্রাণ ভরে দেখতো তার পিতৃহীন সন্তানকে যুবক ভালোবাসে, স্নেহ করে। প্রাণভরে সে যুবককে আশীর্বাদ করতো। একদিন যুবক এই শিশুর পবিত্র মুখে গোপনে চুম্বন করলো।

সুকুমার স্বর্গের শিশুটি যুবকের মুখের দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল। তারপর ধীরে ধীরে শিশুকে যুবক পাপের পথে আকর্ষণ করলো। তার সোনার হৃদয়-কুসুমে পাপের হলাহল ঢেলে দিল। বুড়ির নয়ন-পুত্তলির সর্বনাশ হয়ে গেল। বুড়ি তা জানতে পারলে না। তার সাজান বাগানে যুবক আগুন ধরিয়ে দিল।

এখন দেখি বুড়ি অন্ধ, রাস্তায় রাস্তায় সে ভিক্ষা করে। তার সোনার যাদুটি মারা গেছে। শিশুটি ধীরে ধীরে পাপের পথে অগ্রসর হতে থাকে, তার স্বাস্থ্য নষ্ট হয়, বিবিধ রোগে সে ভেঙ্গে পড়ে, সে মদ, গাঁজা, ভাঙ্গ খায়, পরে সে জেলে যায়, সেখানেই মরে।

সেই সম্পাদক যুবককে কেউ জানে না, তাকে মানুষ নমস্কার করে। নিকটে এলে আসন এগিয়ে দেয়। অনেক টাকা তার। আমি তার মুখ দেখলে ভয় পাই। সম্মুখে সাক্ষাৎ শয়তান দেখে শিউরে উঠি।

এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির গৃহে তার সেয়ানা মেয়েটি থাকতো। মেয়েটির স্বামী বিদেশে থাকে। ভদ্রলোকের বাড়িতে তার এক দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয়ও থাকত। দেখলাম, একদিন সেই আদরের মেয়েটি সেই যুবকটির সঙ্গে গোপনে গোপনে আলাপ করছে। মেয়েটির মা বোনেরা তা জানে, জাতি যাবার ভয়ে কথা বলে না। নির্জন কক্ষে এই দুটি বিশ্বাসঘাতক নর-নারী কথা বলে, এক সঙ্গে খায়।

তার এখন কত সম্মান, মানুষ তার নামে দোহাই দেয়, কত ইট পাথর তার বাড়িতে। কত বড় বড় প্রতিমা তার ঘরে উঠে। আমি তার বাড়ির সামনে গেলেই হাসি-শয়তানের ভণ্ডামি দেখে জ্বলে উঠি, শয়তান মানুষকে কত রকমেই না প্রতারণা করে। কে তার মুখ মানুষের মুখে দেখতে সাহস পায়?

যুবকটি ভয় করে, অনিচ্ছা প্রকাশ করে; বিবাহিতা অবিশ্বাসিনী যুবতীটি তাকে বলে- কোনো ভয় নাই।

দুই বৎসর পরে দেখলাম, এক জায়গায় এক বাবুর গৃহিণীরূপে এই বালিকাটিকে। বাবু পরম বিশ্বাসে পত্নীর সঙ্গে প্রেমালাপ করছেন, পত্নীও স্বামীর সঙ্গে আনন্দে কথা বলছে।

এই দৃশ্য দেখে শোকে আমার চোখ জলে ভরে উঠলো। শয়তানের এই অভূতপূর্ব কীর্তির ছবি চোখ দিয়ে দেখলাম। অসহ্য দুঃখে ভাবলাম, মানুষের অত্যাচার এবং মূর্খতা-অবিচার আর শয়তানের প্রাণঘাতী কীর্তি!

এক মহাজন এক ব্যক্তিকে বিশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। লোকটি একদিন মহাজনের সর্বনাশ করার জন্যে চালাকি করে ঘরে সিঁদ কেটে দুপুর রাতে কাঁদতে আরম্ভ করলো। লোকজন যখন জমা হল, সে কেঁদে বলল, তার সর্বনাশ হয়েছে- চোর তাকে সর্বস্বান্ত করে গেছে, কী করে সে মহাজনকে মুখ দেখাবে?’

প্রাতঃকালে সে মহাজনকে টেলিগ্রাম করল। থানার কর্মচারীর সঙ্গে রাত্রে গোপনে সে দেখা করল। চুরি যে ঠিক হয়েছে এবং সে যে নিঃস্ব হয়ে গেছে, তা প্রমাণ হয়ে গেল। তার মিছে সর্বনাশের কেউ প্রতিবাদ করলো না। করতে কেউ সাহস পেল না।

এই নিমকহারাম বিশ্বাসঘাতক লোকটি সেই টাকা নিয়ে এসে বাটীতে মসজিদ-ঘর তুলো। সেই ঘরে বসে সে বন্দেগী করে। মানুষের মুখে তার প্রশংসা ধরে না; কত মানুষ তার গৌরব করে, কত মৌলবীর মুরুব্বি সে, কত ভদ্রলোকের বন্ধু সে। আমি তার মুখ দেখলেই ভয় পাই, তার মুখে কার বীভৎস মুখ দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠি। ঘৃণায় সে স্থান ত্যাগ করি।

চল্লিশ বৎসর পূর্বে এক ব্যক্তি রেঙ্গুনে গিয়েছিল; সেখানে গিয়ে সে একটি বালিকাকে বিবাহ করেছিল। সেই বালিকাটি এখন যুবতী। যৌবনের রূপ-ঐশ্বর্য দেখে তাকে ভোগ করার লোভ সংবরণ করতে না পেরে, সে প্রতারণা করে তাকে বিয়ে করেছিল। যখন তার পিপাসা মিটে গেল।

তখন একদিন আসি’ বলে ঐ যে পালিয়ে এল, আর কোনোদিন সেখানে গেল না। সেই বালিকা যে কত বৎসর ধরে পথের পানে তার প্রিয়তমের আশায় চেয়েছিল, তা কে জানে? এই যুবক একজন ধার্মিক ভদ্রলোক। সমস্ত ধর্ম সাধনাই তার ব্যর্থ হয়েছে। প্রভু আর আমি জেনেছি সে কে!

এক ব্যক্তি মরে গেছে। সে যে বিপুল সম্পত্তি রেখে গেছে তার জন্য তার বংশের মর্যাদা দেশ জোড়া। সে ছিল এক জমিদারের নায়েব। জমিদার বিশ্বাস করে তার সম্পত্তি নায়েবের হাতে দিয়ে আনন্দ করে বেড়াতো। ধীরে ধীরে জমিদারের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রয় করে বিশ্বাসঘাতক নায়েব নিজেই জমিদার হল।

তার এখন কত সম্মান, মানুষ তার নামে দোহাই দেয়, কত ইট পাথর তার বাড়িতে। কত বড় বড় প্রতিমা তার ঘরে উঠে। আমি তার বাড়ির সামনে গেলেই হাসি-শয়তানের ভণ্ডামি দেখে জ্বলে উঠি, শয়তান মানুষকে কত রকমেই না প্রতারণা করে। কে তার মুখ মানুষের মুখে দেখতে সাহস পায়?

সৌরভ, সমস্ত পরিচ্ছদ, সমস্ত সৌন্দর্যের সাধ্য নাই শয়তানের কুৎসিত মুখচ্ছবি ঢাকে। যে তা দেখেছে, সেই ভয় পেয়েছে।

(চলবে…)

<<আল্লাহ্ ।। দৈনন্দিন জীবন>>

………………..
মহৎ জীবন -লুৎফর রহমান।

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………….
আরও পড়ুন-
মানব-চিত্তের তৃপ্তি
আল্লাহ্
শয়তান
দৈনন্দিন জীবন
সংস্কার মানুষের অন্তরে
জীবনের মহত্ত্ব
স্বভাব-গঠন
জীবন সাধনা
বিবেকের বাণী
মিথ্যাচার
পরিবার
প্রেম
সেবা
এবাদত

………………….
আরও পড়ুন-
মহৎ জীবন : পর্ব এক
মহৎ জীবন : পর্ব দুই
মহৎ জীবন : পর্ব তিন
কাজ : পর্ব এক
কাজ : পর্ব দুই
কাজ : পর্ব তিন
কাজ : পর্ব চার
ভদ্রতা : এক
ভদ্রতা : দুই

……………………
আরও পড়ুন-
মহামানুষ … মহামানুষ কোথায়
মহিমান্বিত জীবন
মহামানুষ
যুদ্ধ
স্বাধীন গ্রাম্যজীবন
আত্মীয়-বান্ধব
সত্য প্রচার
নিষ্পাপ জীবন
উপাসনা
নমস্কার
তপস্যা
তীর্থ-মঙ্গল
আত্মার স্বাধীনতার মূল্যবোধ
মনুষ্য পূজা
মন্দতাকে ঘৃণা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!