ভবঘুরেকথা
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব

শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : চোদ্দ

আশ্রম মনে, না, মাটিতে

একজন ভক্ত ব্যক্তির একান্তই আকাঙ্ক্ষা যে, এই গ্রামেও একটী আশ্রম হয়।

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

আমার আশ্রম ত’ মাটিতে নয়, আমার আশ্রম তোমাদের মনে। তোমরা নিজেদের মন প্রাণকে তপস্যার বলে পবিত্র কর, সুন্দর কর, তা’ হ’লেই আমি জানব যে, আমার এক একটী ক’রে আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আদোষদর্শিনী দৃষ্টি, অনিন্দক রসনা, নির্ব্বিদ্বেষ চিত্ত, অকপট বুদ্ধি, সর্ব্ব-জন-শুভচিন্তক আবেগ এই পবিত্র পরিবেষ্টনীর সৃষ্টি করুক।

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

তাই ব’লে কি মাটীর আশ্রম প্রয়োজনীয় নয়? মাটির শরীর দিয়েই যখন পঞ্চভূতের অতীত সত্তা পরমাত্মার সাধন কত্তে হয়, তখন মনকে পবিত্র ও সুন্দর করার সহায়ক-রূপে মাটীতেও কুটীর বেঁধে আশ্রম-রচনার প্রয়োজন আছে। কিন্তু আশ্রম নাম দিয়ে যে কুটীরটী বাঁধ্ বে, তার মর্য্যাদা কখনো লঙ্ঘন ক’রো না।

যে স্থানের নাম আশ্রম, তা যেন ব্যক্তিগত কলহ-কোলাহলের রঙ্গভূমি না হয়, তা যেন তোমাদের প্রত্যেকের বিনীত সেবার কেন্দ্র হয়, তা যেন তোমাদের আমিত্ব, মমত্ব, অহমিকা ও স্পর্দ্ধাকে খর্ব্ব ক’রে নিশ্চিহ্ন ক’রে দেবার স্থান হয়। চিত্তকে বিনীত না ক’রে কখনো আশ্রমে প্রবেশ কর্ব্বে না।

নিজ বাহাদুরী, নিজ কারিকুরির গর্ব্ব, নিজ প্রভুত্বের বোধ দূরে রে’খে তবে আশ্রমে ঢুক্ বে। জুতো পায়ে দিয়ে মানুষ কত বিষ্ঠা, কত কদর্য্য বস্তু মাড়ায়। সেই জুতো নিয়ে কি কেউ কখনো মন্দিরে প্রবেশ করে? জুতোকে দূরে রেখে আসতে হয়। অহঙ্কৃত মন, উদ্ধত স্বভাব, দম্ভস্ফীত চিত্তকে অমেধ্য-স্পৃষ্ট অশুচি-দুষ্ট পাদুকার মতন জান্ বে।

অখণ্ড-সংহিতা ত্রয়োদশ খণ্ড
(পৃষ্ঠা নং ১৪২ – ১৪৩)

ভগবানে আত্ম-বিলোপের দ্বারা বিশ্বভুবন আপন হয়

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

যাঁরা সমাজের সেবা প্রভৃতি বহির্ম্মুখ জীবহিতমূলক কাজ নিয়ে ব্রতী আছেন, তারা এইরূপ আশীর্ব্বাদকে অভিসম্পাত ব’লে মনে ক’রে থাকেন। কারণ, তাঁরা তাঁদের গৃহীত কর্ম্মপন্থায় এত বিশ্বাসী যে, পন্থার দিক্ দিয়ে নিখিল জগতের মিল যে কখনো হবে না বা হ’তে পারে না, তা কখনো বুঝ্ তে রাজী নন।

কিন্তু ভগবানে যে আত্মবিলোপ ক’রেছে, তার কাছে গতির চেয়ে গন্তব্যের ঐক্যের দাম বেশী, পথের চেয়ে লক্ষ্যের একতানতা অধিকতর কাম্য। জগতের যত জন যত কাজ কচ্ছে,-তিনি দেখেন, সবাই কচ্ছে ভগবানের কাজ। জগতের যত জন যত পথে চলেছে,-তিনি দেখেন, সবাই চলেছে ভগবানের পানে।

কাউকে তিনি কারো চাইতে শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট দেখেন না, তিনি দেখেন, সবাই নিজ নিজ অধিষ্ঠানভূমিতে শ্রেষ্ঠ, সবাই নিজ নিজ আবেষ্টনীর মধ্যে কর্ম্মী, কাউকে প্রশংসা, কাউকে নিন্দা তার উপলব্ধির বাইরে। তিনি জানেন, জগতের যত ভিন্ন ভিন্ন মত, সব একটী আর একটীর অনুপূরণ কচ্ছে,

দেখ্ তে যারা পরস্পর-বিরোধী, তারাও একটা আর একটার মাধুর্য্য ও সৌন্দর্য্যকে আস্বাদ-যোগ্য কর্ বার জন্য চিরকাল বেঁচে রয়েছে, চিরকাল বেঁচে থাক্ বে। শত দ্বন্দ্বে, শত দ্বিধায় চিত্ত তাঁর আর পীড়িত হয় না, ভগবানকে আপন জেনে সবাইকে তিনি আপন জেনেছেন যে! আপনজনের আচরণ কখনো মন্দও হয় না, দোষেরও হয় না।

অখণ্ড-সংহিতা সপ্তম খণ্ড
(পৃষ্ঠা নং ২০ – ২১)

কেন গ্রামে গ্রামে যাই

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

কেন যে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরে বেড়াচ্ছি, কেন যে মাঠের পর মাঠ চষে দিচ্ছি, কেন যে সৎকথার বীজ তালে বেতালে হাটে মাঠে ঘাটে নির্ব্বিচারে ছড়িয়ে যাচ্ছি, তা’ কি কেউ জানো? আজ এখানে এসেছি, কাল, পরশু বা অনন্ত ভবিষ্যতে দ্বিতীয় বার হয়ত আসব না।

আজ তোমরা দলে দলে মানুষ সমাদর ক’রে কথা শুনছ, কাল বা পরশু হয় ত’ মনের কোণেও আমাকে এককণা স্থান দেবে না। আজ হয়ত হুজুগে প’ড়ে শিষ্য হচ্ছ, ভক্ত হচ্ছ, দুদিন পরে হয়ত গড্ডালিকা-প্রবাহে ভাস্ তে ভাস্ তে কোন্ সাগরের কোন্ সুদূর দ্বীপে চ’লে যাবে, দূরবীক্ষণ দিয়েও একবার তাকিয়ে আমার পানে দেখবে না; তবু এসেছি, তবু কথা বলছি, তবু পরমায়ু ক্ষয় কচ্ছি।

কেন বল্ তে পার? বোকা চাষারাই প্রত্যাশা করে যে, বপন করা প্রত্যেকটা বীজই অঙ্কুরিত হবে, অঙ্কুরিত প্রত্যেকটা গাছ সত্য সত্য ফসল দেবে, ফসলের প্রত্যেকটী দানা সুপক্ক হবে, সুপুষ্ট হবে, সুপুষ্ট ফসলের প্রত্যেকটী কণা গোলায় উঠ্ বে। মূর্খেরাই এত বেশী আশা করে।

আশা কুহকিনী। তার মায়ায় ভুলে মানুষ অন্ধের মত শ্রম করে। আমি কিন্তু কোনো আশা নিয়ে তোমাদের মাঝে এসে দাঁড়াইনি। আমি কিন্তু তোমাদের কাছে কোনো কিছু পাব ব’লে পথশ্রম সহ্য ক’রে এখানে আসিনি। আমি তোমাদের ধন চাই না, আমি তোমাদের ভক্তি-ভালবাসা-সেবা কিছুই চাই না।

আমি চাই তোমাদের ভবিষ্যদ্ বংশীয়েরা যেন ক্লীব, কাপুরুষ, পঙ্গু, দুর্ব্বল, অনাথ ও পরমুখাপেক্ষী হ’য়ে না জন্মায়, তার জন্য দুটী সতর্কতার বাণী তোমাদের শুনিয়ে যেতে। আমাকে কেউ পাত্তা দাও আর না দাও আমি আমার কাজ আজীবন নিঃসঙ্কোচে ক’রে যাব। তোমরা যদি নিন্দাবাদ কর, তবু আমি থাম্ ব না।

তোমরা যদি পুষ্পবৃষ্টি কর, তবু আমি উল্লসিত অহঙ্কৃত হ’য়ে থেমে যাব না। তোমরা কর্ণ-কুহরের মধ্য দিয়ে আমি তোমার ভবিষ্যদ্ বংশীয়দের কাছে পৌছুতে চাই। আমি চাই ভাবী ভারতের অত্যাশ্চর্য্য নবমূর্তিতে আত্মপ্রকাশ, আমি চাই সমগ্র মানবজাতির অপরূপ দিব্যায়ন। তাই আমি এসেছি।

আমার ভাষণ শোনার পরে ঘরে গিয়ে কুম্ভকর্ণের ঘুমও যদি দাও, তবু তোমার শরীর ও মনের পরতে পরতে, অনুপরমাণুতে আমার এই অভীপ্সা সূক্ষ্মভাবে কাজ ক’রে যাব। তুমি আমাকে অনাদর করো, অবহেলা করো, গায়ে মাখ্ ব না। কারণ তোমাকে দিয়ে আমার কাজ নয়, আমার কাজ তোমার ভবিষ্যদ্ বংশীয়কে দিয়ে।

অখণ্ড-সংহিতা ত্রয়োবিংশ খণ্ড
(পৃষ্ঠা নং ২৭ – ২৮)

মন্ত্রজাগরণ ও মন্ত্রচৈতন্য

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

মন্ত্রজাগরণ? নামের চৈতন্য সম্পাদন? নামের রুচি থেকেই তা’ আপনা আপনি হয়। তার জন্য আলাদা কোনো অনুষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না। নাম যে সত্য, নাম যে নিত্য, নাম যে অমূল্য ধন, এই কথা নিরন্তর স্মরণে রাখারই অন্য সংজ্ঞা হচ্ছে মন্ত্রজাগরণ।

এ নাম যে তাঁরই নাম, এই নাম আর তিনি যে অভেদ, এই স্মৃতিতে, এই অভিজ্ঞানে, এই বোধে অবিচল থাকারই নাম মন্ত্রচৈতন্য। ক্ষণে ক্ষণে হয়, আর ক্ষণে ক্ষণে লয়, এরূপ নয়। সর্ব্বসময় এই বোধটী জাগ্রত রইল। তার নাম মন্ত্রজাগরণ। শোক-দুঃখে যতই ব্যাকুল হও, কেবলি নাম ক’রে যাও।

অখণ্ড-সংহিতা একবিংশ খণ্ড
(পৃষ্ঠা নং ৩৬৮)

শরণাগতি লাভের উপায়

একজন জিজ্ঞাসা করলেন,-ভগবানের চরণে শরণাগতি আসে কি করলে?

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

নিজেকে একেবারে নিরাশ্রয় ব’লে জ্ঞান না কত্তে পার্ল্লে ভগবানের চরণে শরণাগতি আসে না। যতক্ষণ তোমার পার্থিব সম্বলের প্রতি আস্থা আছে, ততক্ষণ সত্যি সত্যি ভগবানের আশ্রয় গ্রহণ হয় কি ক’রে? এই জগতের ধন-জন, এই জগতের বন্ধু-বান্ধব, এদের উপরে যতক্ষণ নির্ভর, ততক্ষণ তাঁর চরণকে ঐকান্তিক আশ্রয়-রূপে গ্রহণ করা যায় না। সুতরাং সর্ব্বাগ্রে এই ধন-জনকে অবিশ্বাস কর, সর্ব্বাগ্রে এই বন্ধু-

বান্ধবের উপর থেকে নির্ভর তুলে আন, তোমার যে কত প্রভাব, কত প্রতিপত্তি, কত প্রভুত্ব আর কত প্রাধান্য এসব
সম্পূর্ণরূপে বিস্মৃত হ’য়ে নিজেকে একেবারে নিঃস্ব, নির্ব্বান্ধব, অসহায় ও অনাশ্রিত ব’লে জ্ঞান ক’রে ভগবানের চরণ সজোরে আঁক্ ড়ে ধর। শরণাগতি এভাবেই আসে।

শ্রীশ্রীবাবামণি বলিলেন,-

ঈশ্বরে শরণাগতির মানে কিন্তু মানুষের প্রতি দম্ভভাব নয়। পৃথিবীর সকল মানুষের উপর থেকে নির্ভর তুলে এনে শ্রীভগবানে সম্পূর্ণ নির্ভর অর্পণ করার মানে এই নয় যে, মানুষকে অবজ্ঞা কত্তে হবে। মানুষের ভিতর দিয়েই ত’ ভগবান্ তোমাকে শত-সহস্র প্রকারে উন্নতির পথে সহায়তা কচ্ছেন।

সে উন্নতি শুধু ঐহিক উন্নতিই নয়, আধ্যাত্মিক উন্নতিও বটে। শুধু মানুষের মধ্য দিয়েই নয়, কত ইতর জীবজন্তুর মধ্য দিয়েও তিনি তোমাকে সাহায্য কচ্ছেন। সুতরাং তোমার ঈশ্বরে শরণাগতি হয়েছে ব’লে বা তুমি অন্যের উপর থেকে নির্ভর তুলে এনেছ ব’লে এঁদের কাউকে অবজ্ঞা তুমি কত্তে পার না।

প্রকৃতই যার ঈশ্বরে শরণাগতি আসে, তার দেহ-মন-প্রাণ বিনয়ে ভ’রে যায়, তার মধ্যে কারো প্রতি অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যের ভাব থাক্ তে পারে না। এটা মনে রাখতে হবে।

অখণ্ড-সংহিতা ত্রয়োদশ খণ্ড
(পৃষ্ঠা নং ১৪০ – ১৪২)

শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : পনেরো>>

……………..
আরও পড়ুন-
স্বামী স্বরূপানন্দের বাণী
স্বামী স্বরূপানন্দ : গুরু-শিষ্য 
স্বামী স্বরূপানন্দ : সরল ব্রহ্মচর্য্য
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ : চিঠিপত্র
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ : উপাসনা
স্বামী স্বরূপানন্দ : কবিতা/গান
স্বামী স্বরূপানন্দ : উপদেশ
স্বামী স্বরূপানন্দ : উপদেশ  দুই

শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : এক
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : দুই
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : তিন
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : চার
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : পাঁচ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : ছয়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : সাত
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : আট
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : নয়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : দশ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : এগারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : বারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : তেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : চোদ্দ
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : পনেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : ষোল
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : সতেরো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : আঠারো
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের বাণী : উনিশ

…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার

গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: এক
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: দুই
শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম সম্পর্কে
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ১ম খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ২য় খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ৩য় খন্ড
স্বামী পরমানন্দের বাণী: এক
স্বামী পরমানন্দের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: তিন
স্বামী পরমানন্দের বাণী: চার
স্বামী পরমানন্দের বাণী: পাঁচ
স্বামী পরমানন্দের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: এক
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: দুই
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: তিন
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: চার
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: পাঁচ
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: সাত
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: আট
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: নয়

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!