ভবঘুরেকথা
শাহান শাহ্’র দরবারে

-মূর্শেদূল মেরাজ

শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই

দরবারের এলাকা ঘুরে দেখতে দেখতে চোখ আটকে গেলো বিভিন্ন অংশে ঝুলে থাকা বাণী সম্বলিত ব্যানারগুলোতে। ব্যানারে অনেক মহতের সুন্দর সুন্দর বাণী লেখা। যেখানে সবার উপরের বাণীটাই সাঁইজির। তা দেখে মন ভরে গেলো। সাঁইজি আছেন। সব জায়গাতেই আছেন।

অধম শুভ আমাদের বেশ আতিথেয়তা করলো। এটা সেটা খেতে দিলো। ফল-জল খাওয়ার চা খেয়ে আমরা উঠে পরলাম। বাবার উপর লেখা দুইটা বই সংগ্রহ করেই বেড়িয়ে পরলাম। উদ্দেশ্য লোকনাথ বাবার আশ্রম।

আসলে রাহাত আলী শাহ্ বাবার দারবারে অল্প সময়ে হবার নয়। বিশাল জায়গা জুড়ে দরবার প্রাঙ্গণ। মূল মাজার ছাড়াও আছে বিভিন্ন স্থাপনা। ভক্ত-আশেকানদের বসার স্থান। গাছ তলা। দোকানপাট। স্থায়ী-অস্থায়ী বিভিন্ন দোকানের পসরাও ঘুরে দেখবার সময় নেই হাতে।

ছুটতে হবে। তারই মাঝে চোখ বুলিয়ে নেয়া আর কি। সেও তো কম নয়। আসতে যে পেরেছি। বা আসা যে শুরু হয়েছে। বা আসা যে কবুল হয়েছে তাও তো দীর্ঘ কামনার ফল।

যতদূর জানতে পারলাম, রাহাত আলী শাহ্ বাবার জন্ম ১২৭২ বঙ্গাব্দ। অবশ্য তার জন্ম সালটি অনেকটাই অনুমানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। দেহত্যাগের সময় তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮০ বছর। সেই হিসেবে এই জন্ম সাল ধরা হয়।

তিনি ভক্তকুলের কাছে শাহান শাহ্ নামেই বেশি পরিচিত। তাকে ঘিরে আছে অসংখ্য কারামতের কাহিনী। সেই সব কাহিনী আজো ঘুরেফিরে ভক্তকুলের মুখে মুখে। গণি শাহ্ বাবা এই দরবারে আসতেন বলে। গণি শাহ্ বাবার ভক্তকুলের সাথেও এই দরবারের রয়েছে নিবিড় ভক্তিপূর্ণ সম্পর্ক।

রাহাত আলী শাহ্ বাবা এক রহস্যে মোড়া সাধক। যার তলানী পাওয়াও মুশকিল। আসলে যার মাঝে রহস্য আছে সে আমাকে তত আকর্ষিত করে। খোলা বই আমার আছে বেশি সময় মনে ধরে না। পড়ে ফেলা হলেই ক্রমে আবেদন হারাতে থাকে।

চিরকুমার এই সাধক তার জীবদ্দশায় বেশ কয়েকবার নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন। সে সময় তিনি কোথায় ছিলেন তা কেউ বলতে পারেন না। এই নিরুদ্দেশ নিয়ে আছে নানান জনশ্রুতি। এই সব নিরুদ্দেশ, মজ্জুব হালাত আর কারামত নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন আরো রহস্যময়।

একটা সময় গেছে যখন রাহাত আলী শাহ্ বাবা গ্রামে ফিরে মজ্জুব হালাতে ঘোরাফেরা করতেন। তখন গ্রামবাসী সোচ্চার হয়েছিল এর প্রতিবাদে। তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রও কম হয় নি। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি শেষ পর্যন্ত।

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো। যে গ্রামবাসী একদা তাকে তাড়িয়ে দিতে উদ্দ্যত হয়েছিল। তারাই এখন বাবার দরবার ঘিরে যে বাজার গড়ে উঠেছে তার উপর নির্ভরশীল হয়েছে। তাদের অনেকের সংসার চলে সেই বাজারে দোকানপাট করে।

যে সময় বাবাকে এখানে সমাহিত করা হয়। তখন এই পুরো এলাকাটাই ছিল জঙ্গলময়। ধীরে ধীরে ভক্তকুলের সমাগমে আজ হয়েছে জনবহুল জনপদ। কেবল স্থানীয় লোকজনই নয়। রাহাত আলী শাহ্ বাবার ভক্তকুল ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশ।

ওরশের সময় নাকি এমন অবস্থা হয়। পা রাখবার জায়গা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। সর্বত্র লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বাবার দরবারে একবার ভক্তি দিতে দূরদূরান্ত থেকে যেমন আসে ভক্তকুল। তেমনি আসে দর্শনার্থীরা। নানান সব মানত নিয়েও আসেন অনেকে।

প্রতিবছর ১৮ শ্রাবণ বাবার ওরশ পালিত হয়। এই উপলক্ষে বসে বিশাল মেলা। বাহারি সব জিনিসের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দেখা মিলে এই মেলায়। একসময় আসতো সার্কাস, বসতো যাত্রার প্যান্ডেল। এখন হয় কবিগান, পালাগান প্রভৃতি।

মেলার অনেকদিন আগে থেকেই দোকানপাট বসে যায়। মেলা শেষে চল্লিশ দিন পরও নাকি দোকানপাট উঠবার নাম করে না। রাহাত আলী শাহ্ বাবা ১৮ শ্রাবণ ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে দেহত্যাগ করেন। তারপর থেকেই এই ওরশ পালিত হয়ে আসছে।

রাহাত আলী শাহ্ বাবা এক রহস্যে মোড়া সাধক। যার তলানী পাওয়াও মুশকিল। আসলে যার মাঝে রহস্য আছে সে আমাকে তত আকর্ষিত করে। খোলা বই আমার আছে বেশি সময় মনে ধরে না। পড়ে ফেলা হলেই ক্রমে আবেদন হারাতে থাকে।

ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার এক পরিচত জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম একটা মোটামুটি তালিকা প্রস্তুত করে দিতে। যাতে ব্রাহ্মাণবাড়িয়া জেলার কোথায় কোন সাধুগুরু আছেন। কোথায় কোন দরবার-আখড়া-আশ্রম আছে। এক জায়গায় গেলে কাছাকাছির মধ্যে আর কে কে আছেন। সেগুলো যাতে দেখে আসা যায়।

যার মাঝে যত রহস্য-সে আমাকে ততই টানে। তাই তো আমার ভক্তির পরম আরাধ্য ফকিরকুলের শিরোমণি ফকির লালন সাঁইজি। যিনি তার সকল কিছুই রহস্যে আবৃত করে রেখেছেন। এমনকি তাঁর ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দ। প্রতিটি অক্ষর। ভাব। ভাবনার সকল কিছুই রহস্য।

আর নিজেতো রহস্যের শিরোমণি। আমি তাঁকে আবিষ্কার করে চলি প্রতিনিয়ত। প্রতি পদক্ষেপে নতুন রূপে আমার কাছে তিনি ধরা দেন। তাই তাঁর প্রেমে কেবল ডুবতেই হয়। ডুবতে ডুবতে তার লীলায় লীলামৃত হয়ে উঠে। কেবল ভাবি আচ্ছা এতোটা রহস্য তিনি কি করে ধরে রাখলেন??

যার শুরু শেষ কিছুই নেই। আসলে সাধুগুরুরাপাগলরা তেমনি। রহস্যের ইতিবৃত্ত। তাই তারাই আমার ভালোবাসা। তারাই ভক্তির যোগ্য। তারাই হয়ে উঠে আলোচনা-ভাব-ভাবনার দিনলিপি। ছুটে যাই তাদের কাছেই। আশ্রয় খুঁজি তাদের মাঝেই।

রাহাত আলী শাহ্ বাবার নাম শুনে আসছি বহুদিন যাবত। আসবো আসবো করেও আসা আর হয় না। ভেবেছিলাম এই জানুয়ারি মাসে একটা লম্বা যাত্রা দিবো ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায়। যাতে এই অঞ্চলের অগনিত সাধকের মাঝে যাদের নাম শুনেছি তাদের দরবারগুলো অন্ত্যত ছুঁয়ে আসবো।

কিন্তু এই দেশে ঘুরে বেড়াতে ব্যাপক খরচের ব্যাপার। যা কুলিয়ে উঠা আমাদের মতো নগন্য মানুষের পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়ে উঠে। তাই সবসময়ই যাত্রার পরিকল্পনা থেকে অনেকটাই কাটছাট করতে হয়। তবে আনন্দ-উপভোগে কখনো কাপণ্য করা হয় না তেমন।

ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার এক পরিচত জনকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম একটা মোটামুটি তালিকা প্রস্তুত করে দিতে। যাতে ব্রাহ্মাণবাড়িয়া জেলার কোথায় কোন সাধুগুরু আছেন। কোথায় কোন দরবার-আখড়া-আশ্রম আছে। এক জায়গায় গেলে কাছাকাছির মধ্যে আর কে কে আছেন। সেগুলো যাতে দেখে আসা যায়।

তিনি মহা উৎসাহে বললেন। সবই নাকি তার পরিচিত। এই দরবারে অমুক আছে। ঐ দরবারে তুমুক আছে। বললেন- “এমন একটা তালিকা করে দিবো ভাই আপনার কোনো সমস্যা হবে না। আমি ফোন নাম্বার। দূরত্ব। সব দিয়ে দিবো। আপনার সুবিধা হবে।”

তবে এসব কেবল কথার কথাই থেকে গেলো। ভদ্রলোক আশা দিয়েই গেলেন। শেষ পর্যন্ত সেই তালিকা আর হাতে আসলো না। আসলে কিছু মানুষ থাকেই। যারা কথা বলবার সময় কতটা করে উঠতে পারবে, সেই হিসেব করে না। মানুষকে গাছে তুলে দিয়ে তার পর মই নিয়ে হাঁটা দিতে দিতে ভাবে বেশি বলে ফেলেছিলাম কি?

কিন্তু যারা সবকিছু ছেড়ে দিতে পারে। তাদেরকে ধরতেই লোকের এতো আনাগোনা। আজ তেমন কোনো দিন-কাল-লগ্ন নয়। তারপরও রাহাত শাহ্ বাবার দরবারে লোকের যাতায়াত আছে ভালোই। যদিও অধম শুভ জানালো, মাত্রই তারা তাদের দরবারের একজনের একটা অনুষ্ঠান করে ফিরলো।

তবে সাধুগুরুরা কারো আশা-বাসনা অপূর্ণ রাখেন না। কোনো না কোনো ভাবে ব্যবস্থা করেই দেন। এই তো সাধুগুরুপাগলের গুণ। তারা জানেন- নাই থেকে কি করে আছেতে রূপান্তরিত করতে হয়। শূন্যতাই যে আসলে পূর্ণতা। বা পূর্ণতা যে কেবলই শূন্যতা। সেই বিদ্যা তাদের আত্মস্থ।

আমরা তো কেবল অভিনয় করি জানবার-বুঝবার-শোনবার। রূপগঞ্জের আমার রিক্তা মা বলে, “মেরাজ! তোরা তো কেবল অভিনয় করতে আসোস। মায়ের কষ্ট কি তা তোরা বুঝবি না। তোরা হইলি অভিনেতা। বলতে বলতে যখন দুই চোখের পানি ছেড়ে দেয়।”

তখন পায়ের তলার মাটি আর থাকে না। সব শূন্যকার হয়ে যায়। চরণে আশ্রয় চাওয়া ছাড়া আর কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আসলে সমর্পনই জীবের মনে সর্বোচ্চ বিনীত হতে শেখায়। সমর্পিত না হলে প্রকৃত বিনয় শেখা বেশ কষ্টকর।

কিন্তু আমার আর সমর্পিত হওয়া হইলো কই? আমি তো কেবল যাত্রী। যাত্রা করে বেড়াই। যে যাত্রায় বিবেকের তাড়ানায় এই সব ছাইপাশ লিখি। লিখতে লিখতে ভাবি। কি লিখছি? যা লিখতে চাইছি তার কতটা লিখতে পারছি। যা বলে যাচ্ছি তার কতটা লোকে বুঝতে পারছে!!!

আসলে কথার আড়ালে থেকে যায় মূল কথা। রশিক যারা-প্রেমিক যারা তারাই লেহাজ করে তা জেনে নেয়। আর তা জানার জন্য ছাড়তে হয় অনেক কিছু। বা সব কিছু। না ছাড়লে ধরা যায় না। ধরাও দেয় না। আমরা অবোধ মানুষ ছাড়তেই ভয় পাই।

কিন্তু যারা সবকিছু ছেড়ে দিতে পারে। তাদেরকে ধরতেই লোকের এতো আনাগোনা। আজ তেমন কোনো দিন-কাল-লগ্ন নয়। তারপরও রাহাত শাহ্ বাবার দরবারে লোকের যাতায়াত আছে ভালোই। যদিও অধম শুভ জানালো, মাত্রই তারা তাদের দরবারের একজনের একটা অনুষ্ঠান করে ফিরলো।

বিশাল বিশাল গাছের গুড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে ধুনিস্থানের পাশে। একটা ফুরাতে লাগলে আরেকটা তুলে দেয়া হয়। ভক্তরাই নাকি পাঠিয়ে দেয় ধুনির জন্য। এই ইতিহাস পড়েছিলাম। কিন্তু মাথায় ছিল না। দেখবার অনেকটা পরে মনে পরতে লাগলো সেই সব কথা।

সকলেই ক্লান্ত। অনেকেই ফিরেই ঘুমাতে গেছে। কিন্তু সে জেনেছে আমরা আসছি। তাই অপেক্ষায় ছিল। নইলে সেও তার ভক্ত ছেলেদের এতোক্ষণে অনেকটা ঘুম হয়ে যেত। তবে এও বারবার বলছিল, জেগে ছিল বলেই আমাদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। এটাও ঘুম থেকেও বেশি আনন্দের।

ফল-জল খেয়ে আমরা যখন বিদায় নিবো তখন চোখে পরলো দরবারের সামনে বেশ আয়োজন করে ঘুমনি বিক্রি চলছে। আমরাও কিনে নিলাম। মজাদার ঘুমনির জ্বাল বেশি হওয়ার পরও সকলেই হাত লাগালো। এক ফাঁকে আমরা ধুনির জায়গাটাও দেখতে গিয়েছিলাম।

ভক্তির পরপরই আমরা জড়ো হয়েছিলাম ধুনি ঘরে। নিশান দিয়ে ঘেরা পাকা ধুনি ঘরে ধুনি জ্বলছে। ভক্তকুল চারপাশে বসে ভক্তিভরে ধুনির তাপ নিচ্ছে। আমরাও তাতে সামিল হলাম। মেহমান বলে আমাদের জায়গা করে দিলো সকলে।

আমরাও সুযোগ পেয়ে ধুনির কাছাকাছি গিয়ে তাপ নিতে লাগলাম। শীতটা তখনো জাকিয়ে না বসলেও তাপটা বেশ আনন্দদায়ক হলো। রাহাত আলী শাহ্ বাবার জীবনী পড়বার সময় জেনেছিলাম এই ধুনির কথা। বলা হয় এই ধুনি নাকি বাবা থাকাকালীন সময় থেকেই জ্বলছে।

বিশাল বিশাল গাছের গুড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে ধুনিস্থানের পাশে। একটা ফুরাতে লাগলে আরেকটা তুলে দেয়া হয়। ভক্তরাই নাকি পাঠিয়ে দেয় ধুনির জন্য। এই ইতিহাস পড়েছিলাম। কিন্তু মাথায় ছিল না। দেখবার অনেকটা পরে মনে পরতে লাগলো সেই সব কথা।

তারপরও শুভর কাছে জানতে চাইলের ধুনি ঘর আসলে কি? শুভ অনেকটা সময় মিটিমিটি হেসে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললো, ‘দাদা এইটা হলো ভক্তের হাসপাতাল।’

ও আসলে এককথাতেই শেষ করে দিল। আসলে এরপরে আর কোনো কথা থাকে না। থাকতে পারে না।

(চলবে…)

<<শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক ।। লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক>>

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………………..
আরও পড়ুন-
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!