ভবঘুরেকথা
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে

-মূর্শেদূল মেরাজ

লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক

রাহাত আলী শাহ্ বাবার দরবার থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। রাস্তাও কম না বাকিটা। অটো তো দাঁড়িয়ে আছে সেটাই ভরসা। তাতেই চেপে বসলাম সকলে। ব্যাগপত্র বেশিরভাগ অটোর ছাদে বাঁধা হলেও আমাদের কোলেও ব্যাগের সংখ্যা কম না।

শীতের তীব্রতাটাও বাড়ছে। আমরা গুটিশুটি হয়ে অটোতে আশ্রয় নিলাম। এক অটোতে এতো ব্যাগপত্র নিয়ে সাতজন বসা সহজ নয়। তবে কয়েকদিনের চলাচলে আমরা একটা ছক করে নিয়েছি। সে ভাবেই বসে পরলাম। যার যার জায়গায়।

অন্ধকার ভেদ করে অটো চলছে বাঞ্ছারামপুরে ফেরিঘাটের দিকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাস্তাগুলো এতো বেশি সাপের মতো আঁকাবাকা আর ভাঙ্গাচোরা যে, এতে গতি তোলা যায় না ঠিক মতো। সে কারণে ঘাট পর্যন্ত আসতে আসতে অনেকটাই রাত হয়ে গেলো। ফেরিও ততক্ষণে চলতে শুরু করে দিয়েছে।

অপেক্ষা করতে হবে অনেকটা সময়। এই ঘাটে একটাই ছোট্ট ফেরি চলাচল করে। নদী এখানে অনেকটেই সরু। বেশি সময় লাগে না পারাপার হতে। তবে ফেরি বলে কথা। গাড়ি উঠা-নাম করতে কিছুটা সময় তো লেগেই যায়।

অগত্যা ব্যাগপত্র চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে রেখে যে যার মতো ছোটখাটো কেনাকাটা সারতে ছড়িয়ে পরলাম। ফেরিঘাটে বেশ কয়েকটা মাছের দোকান আছে। শুনলাম নদীর তাজা মাছ নাকি পাওয়া যায়। অনেকেই শহরে ফেরার সময় এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যায়।

তাই ঐ পাড়ে গেলেই যে গাড়ি পেয়ে যাব, সেই সম্ভবনা যে বিশেষ নেই। তা বুঝতে আমরা সকলেই পারছি। তাই আর রিয়াদের জন্য পরের ফেরির অপেক্ষায় থাকতে চাই না কেউ। আবার আমরা ঐ পাড়ে চলে গেলে পরে রিয়াদ পার হবে সেটাও চাইছি না।

সেই মাছ দেখতে গেলাম। তাজা চকচকে মাছ। তবে দাম অনেকটাই বেশি মনে হলো। দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা গেল, নির্দিষ্ট কাস্টমার আছে তাদের। তারা ভালো জিনিস বেশি দামে কিনে নিয়ে যায়। সবার কাছে মাছ বিক্রিতে তাদের আগ্রহও কম।

এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করতে করতে ফেরি চলে আসলো। আমরাও ব্যাগপত্র পিঠে চাপিয়ে ফেরিতে উঠে যাব। এমন সময় দেখি আমাদের আউলিয়া খ্যাত রিয়াদ সাথে নেই। খোঁজ খোঁজ খোঁজ। কিন্তু কোথায় সে? ফোন দেওয়া শুরু হলো। কিন্তু ফোনও বন্ধ। কে যেন বললো, ওর ফোনে চার্জ নেই। ফোন বন্ধ হয়ে গেছে।

কি করা? কি করা? এমন সময় সে কোথায় গেলো? এমনিতেই রাত বাড়ছে। যতদ্রুত ঐ পাড়ে যাওয়া যায় ততই মঙ্গল। সকলে যতই বলুক সারা রাত গাড়ি পাওয়া যাবে। সে কথার উপর ঠিক ভরসা রাখা যায় না। এটা একটা ছোট্ট ঘাট। মানুষের চলাচলও সামান্য।

দিনের বেলায় লোকজন বেশি পারপার হলেও; সন্ধ্যার পরই তা কমতে থাকে। বেশি ভাগ মানুষই এই পাড়ে আসছে। ঐ পাড়ে যাওয়ার লোক খুবই কম। তাও যা যাচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে বেশিভাগই স্থানীয়। আর যারা যাচ্ছে তাদের প্রায় সকলেই গাড়ি হাঁকিয়ে এসেছে।

তাই ঐ পাড়ে গেলেই যে গাড়ি পেয়ে যাব, সেই সম্ভবনা যে বিশেষ নেই। তা বুঝতে আমরা সকলেই পারছি। তাই আর রিয়াদের জন্য পরের ফেরির অপেক্ষায় থাকতে চাই না কেউ। আবার আমরা ঐ পাড়ে চলে গেলে পরে রিয়াদ পার হবে সেটাও চাইছি না।

প্রথমে পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে, এই পাড়ে এসে প্রথমে আমরা মহারাজের আশ্রমে যাব। সেখানে কিছু সময় থেকে তবে বাবার আশ্রমের দিকে রওনা দিবো। কিন্তু সময়ের হিসেবে উলোট-পালোট হয়ে যাওয়ায় মহারাজের আশ্রমের যাওয়া এই যাত্রায় বাতিল করে বারদীর দিকেই রওনা হতে হলো।

এদিক সেদিক খুঁজেও যখন রিয়াদের কোনো পাত্তা পাওয়া গেলো না। তখন রিয়াদের ব্যাগ আমরাই বহন করে এগুতে লাগলাম ফেরির দিকে। গাড়ি উঠতে শুরু করে দিয়েছে ফেরিতে। ফেরির কাছাকাছি যেতেই দেখি রিয়াদ দৌড়ে দৌড়ে আসছে।

সকলেই তার উপর বিরক্ত। এই সময় কেউ দূরে যায়? বকাঝকা দিতে যাওয়ার আগেই রিয়াদ আর বিখ্যাত হাসি দিয়ে বললো, “ভাই টয়লেট গিয়েছিলাম। যায়া চাবি আর পাই না। বেগতিক অবস্থা।” আমরাও আর রাগ করে থাকতে পারলাম না।

যতক্ষণে ফেরি পার হলাম ততক্ষণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অটো-সিএনজি ভাড়াও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তারউপর বারদী লোকনাথ বাবার মন্দির পর্যন্ত যেতেও কেউ রাজি না।

রাস্তাটা ভালো না। এতো রাতে যাবো না। গেলে আর গাড়ি নিয়ে ফিরতে হবে না। পথে ছিনতাইকারীর দল থাকে। একা পেলে গাড়ি রেখে দেয়। এরূপ নানান কথায় সময়ই কাটতে লাগলো। অটো-সিএনজি কোনোটাকেই আমরা ঠিকঠাক মতো রাজি করিয়ে উঠতে পারছিলাম না।

শেষে বাড়তি ভাড়ায় রাজি করিয়ে দুইখানা সিএনজি নিয়ে আমরা চললাম সোনারগাঁয়ের বারদীতে। বাবার আশ্রমে। লোকনাথ বাবার প্রতি আমার একটা বিশেষ টান আছে। তাই তাঁর কথা উঠলে না গিয়ে থাকতে পারি না। যদি যথাযথ সঙ্গ পাই।

প্রথমে পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে, এই পাড়ে এসে প্রথমে আমরা মহারাজের আশ্রমে যাব। সেখানে কিছু সময় থেকে তবে বাবার আশ্রমের দিকে রওনা দিবো। কিন্তু সময়ের হিসেবে উলোট-পালোট হয়ে যাওয়ায় মহারাজের আশ্রমের যাওয়া এই যাত্রায় বাতিল করে বারদীর দিকেই রওনা হতে হলো।

এতো রাতে আশ্রমে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে কিঞ্চিৎ ভাবনা হচ্ছিল। তাছাড়া আশ্রমটাও কতটা দূরে তার সঠিক আন্তাজ নেই আমাদের। কেবল জানি গোপালদী বাজারের পাশে। এতটুকুই।

যাক, সাঁইজির নামে আমরা বেড়িয়ে পরেছি। সাঁই কোথাও ঠেকাবেন না, সেটা আমরা মানি। তবে সেই মত স্থির হওয়ার জন্য যে পরিমাণ ভক্তি লাগে। তা কি আর অর্জন করতে পেরেছি। তাই হয়তো এখনো স্বভাবে রয়ে গেছে একটু মাথা খাটাবার।

আমরা এই কয়দিন গ্রামে গ্রামেই ঘুরে বেড়িয়েছি মূলত। এখন শহরে ঢুকছি। সেখানে করোনার অতিমারির বিষয়াদি আছে। আশ্রম-আখড়া-দরবার এখনো পুরোপুরি খোলেনি। বাবার আশ্রম খুলেছে জানি। কিন্তু এতো রাতে গিয়ে পৌঁছালে কি প্রবেশ করা যাবে? এটা নিয়ে একটু ভাবনা তো হচ্ছিলই।

আশিক একে তাকে ফোন করতে লাগলো। আমার মোবাইল চার্জ শেষ হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। সেটা খোলা থাকলে খবর সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু কি আর করা। শেষে আশিক লোক মারফত জানতে পারলো, আশ্রম স্বল্প পরিসরে খোলা থাকে এই করোনা প্রথম মৌসুমের শেষ লগ্নে।

একজনের নাম-নাম্বার পাওয়া গেলো। সময়ের মধ্যে যাওয়া গেলে রুম পাওয়া যাবে; এমন আশ্বাসও পাওয়া গেল। আমাদের অবশ্য সময় বলতে কিছু নেই। সিএনজির যেতে যতটা সময় লাগবে ততটা তো লাগবেই। সাই সাই করে শীতের বাতাস ঢুকছে সিএজির পর্দার ফাঁক গলে।

ঠাণ্ডায় জমতে জমতে আমরা চলছি। ভাবছি সাঁইয়ের কৃপায় সাধুগুরুদের দরবারে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। যাত্রা শুরুর আগে মনে মনে অনেকদিন ধরেই একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেশ কিছু দরবার ছিল তালিকায়। যাত্রার শুরুর আগেই কাটছাট করতে হয়েছে অনেকটাই।

এর একটা বড় কারণ দরবার থেকে দরবারের দূরত্বের পরিমাপ ও ভাড়ার পরিমাণ কি হবে তা নিশ্চিত না হতে পারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনে দূরত্ব বোঝাটা মুশকিল। তারা তিন ঘণ্টা দূরের রাস্তাকেও বলে কাছেই আধ ঘণ্টার মতো লাগবে। আবার আধ ঘণ্টা দূরত্বের রাস্তা সম্পর্কেও একই কথা বলে।

অনেকবারই তাদের হিসেবে টাইমটেবল ঠিক করে পরে ধরা খেতে হয়েছে। ভেবেছি দিনে দিনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যাবে। শেষে দেখা গেছে প্রথম জায়গায় যেতে যেতেই সন্ধ্যা পার।

যাক, সাঁইজির নামে আমরা বেড়িয়ে পরেছি। সাঁই কোথাও ঠেকাবেন না, সেটা আমরা মানি। তবে সেই মত স্থির হওয়ার জন্য যে পরিমাণ ভক্তি লাগে। তা কি আর অর্জন করতে পেরেছি। তাই হয়তো এখনো স্বভাবে রয়ে গেছে একটু মাথা খাটাবার।

কোথায় কি করতে হবে। কিভাবে যাওয়া হবে। কয়দিন থাকা হবে। এইসব একটু আধটু এখনো ভাবনাতে এসেই যায়। আশা করি এটিও আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো। সাঁই ভরসা। তিনি দয়াবান-কৃপাসিন্ধু।

ক্ষিদেও লেগেছে ততক্ষণে মারাত্মক। তাই ফ্রেস হয়েই আমি আর আশিক বেড়িয়ে পরলাম খাবারের সন্ধানে। ঘড়ির কাটায় রাত তখন একটা প্রায়। তার মাঝেও মোড়ে বেশ কয়েকটা দোকান খোলা পাওয়া গেলো। আশ্রমের গার্ডরা বলে দিয়েছে মোড়ে সরিষার তেল দিয়ে ভাজা পরোটার দোকান আছে।

আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে নরসিংদী জেলায়। নরসিংদী থেকে গিয়েছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। এখন ঢুকে গেছি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। ভাবনা আছে আজ রাতটা বাবার আশ্রমে থেকে কাল ঢাকায় ফিরে আশিকের আস্তানা সদরকোঠায় উঠবো সকলে।

রাস্তার কুয়াশাময় আঁকাবাঁকা সর্পিল রাস্তা ধরে পাশাপাশি দুটি সিএনজি ঝড়ের বেগে ছুটে চলেছে। ঠাণ্ডায় জমে যাওয়াতে কারো মুখে কোনো কথা নেই। সকলে নিরব হয়ে বসে আছি। এই কয়দিন অটোতে আটোসাটো হয়ে বসতে বসতে অভ্যাস হয়ে গেছে। সিএনজিতে ছড়িয়ে বসে মনে হচ্ছে শীতটা বেশিই লাগছে।

বাবার আশ্রমের সদর দরজা বন্ধ থাকলেও। পাশের সরু গেটখানায় তখনো তালা পরেনি। গেটের পাশেই কাউন্টারে গার্ডরা বসে আগুন পোহাচ্ছেন। লোকজন খুঁজে পাওয়া গেলো। রাত্রি যাপনের কামরা পাওয়া গেলো। বালিশ পাওয়া গেলো।

জানা গেলো, দুইশ টাকা দিতে হবে। একশ টাকা হলো রুম ভাড়া। আরেক’শ টাকা অন্যান্য যা কিছু কাউন্টার থেকে নেয়া হবে রুমের জন্য; তার জমা। সেই সব জিনিস ফেরত দেয়ার সময় সেই একশত টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে।

চাবি নিয়ে ছুটলাম কামরার দিকে। প্রথম আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায় আমাদের কামরা বরাদ্দ হয়েছে। আটজন থাকবার জন্য একটা ঘর দেয়া হয়েছে।

ক্ষিদেও লেগেছে ততক্ষণে মারাত্মক। তাই ফ্রেস হয়েই আমি আর আশিক বেড়িয়ে পরলাম খাবারের সন্ধানে। ঘড়ির কাটায় রাত তখন একটা প্রায়। তার মাঝেও মোড়ে বেশ কয়েকটা দোকান খোলা পাওয়া গেলো। আশ্রমের গার্ডরা বলে দিয়েছে মোড়ে সরিষার তেল দিয়ে ভাজা পরোটার দোকান আছে।

সেটা নাকি খুবই সুস্বাদু। আমি অবশ্য খাবার-দাবার পছন্দের ক্ষেত্রে আশিকের উপরই বেশি ভরসা রাখি। তারপরও সেই দোকানে গেলাম। মুরগি ভাজা আর ডুবা তেলে ভাজা আলু পরাটা পাওয়া গেলো বটে। তবে আমাদের দুইজনের করোরই বিশেষ পছন্দ হলো না।

তবে কিছু একটা খেতে হবে। তাই খাওয়া যেতে পারে। দোকানটাকে আপাতত মাথায় রেখে বেড়িয়ে পরলাম অন্য কিছু পাওয়া যায় কিনা তাই খুঁজতে। মোড়ের বাম পাশটা ধরে একটু এগুতেই প্রায় বন্ধ হয় হয় ভাবের একটা হোটেল পাওয়া গেলো।

(চলবে…)

<<শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই ।। লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই>>

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………………..
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!