ভবঘুরেকথা
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা

-মূর্শেদূল মেরাজ

সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই

যখন ভক্তি দিচ্ছিলাম। তখনো রওজায় কেবল আমরা কয়জনই। খাদেমের পুত্র জানালো দোল হবে কিনা তা নিয়ে তিনিও শঙ্কিত। কথা অবশ্য খুব বেশি কানে যাচ্ছিল না। সাঁইজিকে ভক্তি দিতে গিয়ে শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলো দেখে দীর্ঘদিনের বাসনাটা চাগাড় দিয়ে উঠলো।

সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম সাঁইজি কৃপা করলে আজ রওজায় ফুল দিবো। আশিককে জানতেই সেও রাজী হয়ে গেলো। তৎক্ষণাত অটো নিয়ে ছুটলাম মজমপুরের দিকে। পথে দেখা হলো সাধুগুরুভক্তপাগলদের সাথে। ভক্তি দিতে দিতে মজমপুর পৌঁছালাম।

ফুল কিনার ফাঁকে স্থানীয় সাংবাদিক বন্ধু মানুষ রুশদীর সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলো। সময়ক্ষেপণ না করে ফিরে আসলাম ধামে। তখন রওজার সামনে খাদেমের সহধর্মীনি রয়েছেন। মা খুশি মনে বললো, যাও সাজায়া দাও। সত্যি বলছি জীবনে বহু ফুল কিনেছি।

বহুজনের জন্য বহুভাবে ফুল সাজিয়েছি। বহু দামী দামী ফুল কিনেছি। কিন্তু সস্তাদরের এক বস্তা এই ফুল কিনে যে আনন্দ পেয়েছি; জীবনে এতো আনন্দ খুব কমই পেয়েছি। সাজাবো কি সর্বাঙ্গ ততক্ষণে কাঁপছে। সাঁইজির রওজা সাজাবো ভাবতেই কেঁপে কেঁপে উঠছিল দেহ।

একটা ঘোরের মাঝে সাজিয়ে গেলাম সাঁইজির রওজা। সাজানো শেষে নিরার আশ্রম থেকে আনা মিষ্টি বিলিয়ে দিলাম উপস্থিত সাধুগুরুভক্তপাগলদের মাঝে। ওহ্ মিষ্টির কথা বলতে গেলে আরেকটা কথা মনে পড়ে গেলে। যখন আমরা বেড়িয়ে পরবো খুলনার উদ্দেশ্যে।

তখন নিরার উৎসবের আনন্দবাজার থেকে ভরপেট সেবা নিয়ে বের হয়েছি। বের হতেই পথের পাশে দেখলাম মোমবাতি বিক্রি হচ্ছে। তখন মাথায় ঘুরছিল একটু পরেই সাঁইজির ধামে যাব। ঠিক তক্ষুণি মনে হলো নিরার আশ্রমের মেলা থেকে এই বার মোমবাতি আগরবাতি নিয়ে যাব সাঁইজির আখড়ায়।

এতোটা খেয়ে নিয়েছি যে নেশা ধরে গেছে। এখন আর দাঁড়াতে ইচ্ছে করলো না। ভাবলাম যাওয়ার পথে মোমবাতি কিনে নেব। আগে ব্যাগপত্র নিয়ে বেড়িয়ে পরতে হবে। হাতে কিছুটা সময় এখনো আছে। আনন্দবাজার থেকে আমাদের আস্তানার দিকে হাঁটছি। একটু রেস্ট নেওয়াও দরকার।

আশিক কি যেন কিনতে মাঠের দিকে হাঁটা দিলো। তার পিছু পিছু ফয়েজ। রকিব। আমি আর দাঁড়ালাম না। হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যেতে যেতে মনে হলো। চলেই যাচ্ছি এখনই গোঁসাইয়ের আশ্রম থেকে বিদায়টা নিয়ে নেই। ভক্তিটা দিয়ে যাই।

পায়ের স্যান্ডেলখানা খুলে ঢুকে পরলাম আশ্রমে। এখন মানুষ কিছুটা কম। গতরাতে এই পথে আশা যাওয়াই করা যায়নি। এখন সেই অনুযায়ী অনেকটাই ফাঁকা। মানুষজন আবার বিকালের পর জড়ো হবে। হাঁটতে হাঁটতে হরি মন্দিরের কাছে গেলাম।

বাকিটা বেলা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে বিকেল বিকেল বেড়িয়ে পরলাম সাত্তার বাজানের বাড়ির উদ্দেশ্যে। শাওতায়। মায়ের শরীর খারাপ। সে জন্য বাজানের মনও খারাপ। তবে আমাদের দেখে পুলকিত হয়ে উঠলেন বাজান।

বিদায় নেবো এমন সময় মন্দিরের সেবাইতের দায়িত্বে থাকা ছেলেটা বললো। দাদা এখনি চলে যাবেন কেনো থেকে জান। উৎসব তো আজ-কাল দুই দিনই হবে। বুঝিয়ে বললাম। তারপরও চোখ ছলছল করে বললো, দাদা দাঁড়াও একটু।

বলেই মন্দিরের চারপাশে রাখা ভক্তদের দেয়া উপহার সামগ্রীর দিকে চোখ বুলাতে লাগলো। বুঝলাম আবারো অনেক কিছু দিয়ে দিবে। ফল-মিষ্টি আরো কত কি থরে থরে সাজানো। আমি বললাম, দাদা ফলমূল না দিয়ে আমাকে একটা মোমবাতি আর আগরবাতি দেও। সাঁইজির ধামে জ্বালাবো।

মনে মনে ভাবনাটা আসছিল। মোমবাতি দেখে কেনার আগ্রহ করেছিলাম। সেই মোমবাতি চলে আসছে। আসলে সাধুগুরুদের দরবারে এমনটাই হয়। কেউ খালি হাতে ফেরে না। যা চায় তা কোন না কোনো ভাবে পেয়েই যায়। এমনটাই রীতি।

সেবায়েত ছেলেটা অনেকগুলো মোমবাতি আগরবাতির সাথে এক বাক্স মিষ্টিও ধরিয়ে দিলো হাতে। নিয়ত করে ফেললাম, এই মিষ্টিও সাঁইজির ধামেই যাবে। সেখানেই খোলা হবে। আশিক অবশ্য মিষ্টির প্যাকেট দেখে খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।

যখন বললাম, সাঁইজি ধামে খুলবো। তখন সেও রাজি হয়ে গেলো। এভাবেই আমরা মিষ্টি বয়ে এনেছি নিরার আশ্রম থেকে সাঁইজির ধাম পর্যন্ত। অবশ্য ফুল দিয়ে রওজা সাজানোর আগে আশিক আরেকটা প্রস্তাব দিয়েছিল। বলেছিল, চলেন আগে গোসল করে তারপর ফুল দিয়ে সাজাতে যাই।

কথাটা খুব মনে ধরলো। তাই এক কথায় রাজি হয়ে রাজঘাটের দিকে রওনা দিলাম। ডোলে ডোলে গোসল দিয়ে নতুন কেনা গামজা দিয়ে শরীর মুছে। তারপর তৈরি হয়েছিলাম সাজানোর জন্য।

বাকিটা বেলা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করে বিকেল বিকেল বেড়িয়ে পরলাম সাত্তার বাজানের বাড়ির উদ্দেশ্যে। শাওতায়। মায়ের শরীর খারাপ। সে জন্য বাজানের মনও খারাপ। তবে আমাদের দেখে পুলকিত হয়ে উঠলেন বাজান।

আসলে আমার আর আশিকের ভাবনাগুলো অনেক সময়ই এক হয়ে যায়। যদিও আমরা শত্রুপক্ষ। সে আর তার সকল ছোটভাই মিলে হলো ভাই পরিষদ। আর আমি আর সুমন হলাম দুই এতিম ভাই। আমাদের আর কোনো ভাই গ্রুপ নেই। বাড়বার সম্ভাবনাও নেই।

সেই রাতটা বাজানের বাসায় কাটিয়ে দিলাম। রাতে তেমন গান-বাজনা হলো না। আমরাও রাতের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পরলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিদায় নেবো। এমন সময় বাজানের আসলো ভাব। ভাব কি সেই ভাব। একেবারে মহাভাব। ভাবে ভাব দিতে দিতে প্রেমে ডুবিয়ে তবে ছাড়লো আমাদের।

বুড়ি মা জানিয়েছে সেখানে দুপুরের সেবা নিতে হবে। তাই আর দেরি না করে বেড়িয়ে পরলাম সাঁইজির ধামের উদ্দেশ্যে। ভক্তি দিয়ে রানার বাসা থেকে ব্যাগপত্র নিয়ে বেড়িয়ে পরতে হবে। তবে আমার মনে ছোট্ট একটা ইচ্ছা ঘোরপাক খাচ্ছিল।

আসলাম কিন্তু রবিউল সাধুর সাথে এক ঝলক দেখা হবে না সেটা হয়? গতদিনও খোঁজ করেছি মেলাক্ষণ। উনি সন্ধ্যার আগে আসবেন না। জেনে সাত্তার বাজানের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আজও বুড়িমার বাসায় যেতে হবে। তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করি।

কিন্তু একবার রবিউল সাধুর সাথে দেখা না করে গেলে মনে শান্তি পাবো না কিছুতেই; সেটাও ভালো করে জানি। আখড়ার গেটে নেমেই আশিককে বললাম আপনাদের প্ল্যান কি? কি করবেন?? দেরি করবেন??? আশিক বললো না। দেরি করবো কেনো? ভক্তি দিয়ে বেড়িয়ে যাবো।

রানার বাসায় গিয়ে গোসল করে সোজা বুড়ি মার আখড়ায়। কেনো আপনি কি করতে চান?

আমি নিচু স্বরে বললাম, আমি একটু রবিউল সাধুর বাড়িতে যেতে চাই।

আশিক হেসে বললো, আমিও যেতে চাই। চলেন সাঁইজিকে ভক্তি দিয়ে রবিউল সাধুর ঘরে যাই। সেখানেই গোসল সেরে নিবো নে। রানার বাসায় পানি তো টাইমে টাইমে আসে।

আসলে আমার আর আশিকের ভাবনাগুলো অনেক সময়ই এক হয়ে যায়। যদিও আমরা শত্রুপক্ষ। সে আর তার সকল ছোটভাই মিলে হলো ভাই পরিষদ। আর আমি আর সুমন হলাম দুই এতিম ভাই। আমাদের আর কোনো ভাই গ্রুপ নেই। বাড়বার সম্ভাবনাও নেই।

আর আশিক যেখানেই যায় সেখানেই ভাই বানিয়ে ভাই পরিষদ দিন দিন বাড়িয়েই চলছে। তাদের ভাই ব্রাদারের সংখ্যায় বেশি হলেও আমাদের দাপটও কম না। যাক সে কথা। এভাবেই মিলে যায় আমাদের পারস্পরিক ভাবনাগুলো।

বুড়িমার হাতের রান্না অস্বাধারণ। যে একবার খেয়েছে সে মনে রাখবে। তিনি যা রান্না করেন সবই মজাদার হয়ে উঠে। তিনিও রসিয়ে রসিয়ে প্রতি বেলায় আমাদের পরম যত্নে খাওয়ালেন। আমার আর আশিকের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল আনন্দ ধাম থেকে বুড়িমা-সামসুল ফকির যে ফেসবুক লাইভ করে প্রতি সপ্তাহে।

তাই ভক্তি শেষে কিছু কেনাকাটার পর সোজা রবিউল সাধুর ঘরে। বড় স্টেশনের পাশে রবিউল সাধুর ঘর আমরা আগেও এসেছি। সাধু আমাদের দেখে খুশি হয়ে গেলো। তাকে না পেয়ে সাধুর হাটবাজার দোকানে জানিয়ে গিয়েছিলাম আসলে যেন আমাকে ফোন করে।

রবিউল সাধু মোবাইল ব্যবহার করে না। তবে আখড়ার পাশের সাধুর হাটবাজার দোকানটায় তার খোঁজ পাওয়া যায়। সাধু রাতে আমাকে ফোন দিয়েছিল। যাত্রা কেমন হয় তা বুঝতে না পেরে বলেছিলাম। সময় সুযোগ হলে বাসায় এসে দেখা করে যাব। কিন্তু সময় বলতে পারি নাই।

তবে সাধু ঠিকঠিকই ধরেছিলেন আমরা এমন সময়ই আসবো। সেখানে ছানা দই খেয়ে গোসল সেরে তেল জল নিয়ে তবে বের হলাম। এবারের যাত্রা সোজা কুষ্টিয়া মিরপুরের পাককোলা। প্রথমে মজমপুর। সেখান থেকে সিএনজিতে আমলা বাজার।

আমলা বাজার থেকে ভ্যানে করে পাককোলা। রাস্তায় এটা সেটা খেতে খেতে আমরা এগোতে লাগলাম। বুড়িমার আখড়ায় যখন পৌঁছালাম তখন দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল। সামসুল ফকির আর বুড়িমার আনন্দ ধাম আশ্রম বেশ পরিপাটি।

সদর দরজার ডান পাশে আখড়া। বারান্দা বিশিষ্ট আখড়া ঘর। ডান পাশে স্থায়ী মঞ্চ। মাঝে বেশ ছড়ানো উঠান। ডান পাশে অনেকটা জায়গা ছেড়ে বসতবাটি। বাম পাশের এক পাশের এক কোণে রান্নাঘর। আর উঠনের উল্টো পাশে নতুন বানানো ঘর আর ওয়াশরুম।

আশিক সেই নিরা গোঁসাইয়ের বাড়ি থেকে বলছিল এইবার বুড়িমার হাতের পোলাও আর বেগুনভাজা খাওয়াবে। আমরাও সেই তালে আছি। দুপুরে বেশ কয়েক পদের সবজি-ডাল খেয়ে আমরা রান্নাঘরের পাশটায় কোনাকুনি ত্রিভুজ করে তিনটা হ্যামক ঝুলিয়ে ফেললাম।

আমি আশিক আর রকিব ঝুলে পরলাম হ্যামকে। ফয়েজ আখড়া ঘরে। দুলতে দুলতে ভাত ঘুমটা দিয়ে দিলাম সক্কলে। আসলে এর পরের পুরোটা সময় আমরা ঘুমিয়ে আর খেয়ে কাটিয়েছি। পরদিন দুপুরে বুড়িমা অপূর্ব রান্নার পোলাও সহ নানারূপ সবজি খেয়েছি।

বুড়িমার হাতের রান্না অস্বাধারণ। যে একবার খেয়েছে সে মনে রাখবে। তিনি যা রান্না করেন সবই মজাদার হয়ে উঠে। তিনিও রসিয়ে রসিয়ে প্রতি বেলায় আমাদের পরম যত্নে খাওয়ালেন। আমার আর আশিকের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল আনন্দ ধাম থেকে বুড়িমা-সামসুল ফকির যে ফেসবুক লাইভ করে প্রতি সপ্তাহে।

সেই সব গল্প সময় করে অন্য সময় লিখতে হবে। সেই সব না লিখলেই নয়। এমন সব কাহিনী না শোনালে কি হয়। কিন্তু আমাদের বেড়িয়ে পরতে হবে। রাতের ট্রেন ধরতে হবে। পোড়াদহ্ থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত দেড়টায়। এতো রাতে যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যাবে না।

সেটা একবার স্বচোক্ষে দেখবো। তাই দিনক্ষণ হিসেব করে বৃহস্পতিবারই আমরা উপস্থিত হয়েছি। রাতে সেই লাইভ অনুষ্ঠান দেখলাম। সবচেয়ে মজার লেগেছে। বুড়িমার বাসায় গান শিখে ছোট্ট ছোট্ট দুই পাখি। লামিয়া আর শোভা।

দুইজন সারাদিন রিহার্সেল করছিল। গান গাইছিল নিজেদের মধ্যে। রাতে লাইভের সময় কি অভিনয় করে করে ছোট্ট দুইজন গাইছিল দেখে তো আমরা মুগ্ধ। ওরা বৃহস্পতিবার সকালে চলে আসে। অনুষ্ঠান করে রাতে থেকে পরদিন বাড়ি ফেরে।

দুইজনের মধ্যে শোভা ছোট্ট। কিন্তু ওর গান গাওয়ার সাথে অভিনয় দেখলে আর ছোট্ট মনে হয় না। মনে হয় সে ভাবের পুরোটা বুঝে গেছে। ডুবে গেছে। নান্টু মামার তত্ত্বাবধানে চলে লাইভ।

আমরা এক ফাঁকে সামসুল ফকিরের বড় ভাই শাহ্ আলম ফকিরের বাড়িতেও গেলাম। উনার সাথে মায়ের সাথে গল্পগুজব করলাম। চা বিস্কুট চানাচুর খেলাম।

সামসুল ফকির বিশাল দেহী মানুষ। মানুষটাকে দেখলে মনে হয় ক্রোধী। এক্ষুণী তুলে আছাড় মারবে। কিন্তু কথা বলতে গেলে বোঝা যায় কতটা নরম তিনি। হাসি দিলেই পরান ঠাণ্ডা হয়ে যায়। শীতল হয় ধারিত্রী। তার সাথে আমাদের দীর্ঘ আলাপ হলো।

কি করে তিনি এই পথে আসলেন। কতো সংগ্রম করে গ্রামে-পরিবারে টিকে থাকতে হয়েছে। কি করে গুরুর দেখা পেলেন। গুরুর কথায় কি কর এক যুগ কথা বন্ধ রেখেছিলেন। সেই সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ভ্রমণ করেছেন। আরো কত কি।

সেই সব গল্প সময় করে অন্য সময় লিখতে হবে। সেই সব না লিখলেই নয়। এমন সব কাহিনী না শোনালে কি হয়। কিন্তু আমাদের বেড়িয়ে পরতে হবে। রাতের ট্রেন ধরতে হবে। পোড়াদহ্ থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত দেড়টায়। এতো রাতে যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যাবে না।

আমাদের সন্ধ্যা সন্ধ্যাই পাককোলা থেকে পোড়াদহের উদ্দেশ্য্যে বেড়িয়ে পরতে হবে। তারপর সেই যান্ত্রিক শহর ঢাকায়।

(চলবে…)

<<সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক ।। টকিমোল্লায় গানে আসর>>

………………………..
আরও পড়ুন-
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব এক
ভবঘুরে খেরোখাতা: পর্ব দুই
মনোমোহনের পথে : প্রথম কিস্তি
মনোমোহনের পথে : দ্বিতীয় কিস্তি
মনোমোহনের পথে : তৃতীয় কিস্তি
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি এক
দয়াময় থেকে দয়ালের দরবারে : কিস্তি দুই
শাহান শাহ্’র দরবারে : পর্ব এক
শাহান শাহ্’র দরবারে – পর্ব দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : এক
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : দুই
লোকনাথ বাবার আশ্রম হয়ে মহারাজের আশ্রমে : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- এক
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি- দুই
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : তিন
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : চার
সীতাকুণ্ডের ঝড়ঝড়িতে গড়াগড়ি : পাঁচ
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- এক
নিরা গোঁসাইয়ের মতুয়া মহাসম্মেলন- দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- এক
সাঁইজির ধাম হয়ে পাককোলা- দুই
টকিমোল্লায় গানে আসর
ফর্সা হাজীতে আরেক দফা
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-এক
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-দুই
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-তিন
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-চার
সাঁইজির ধাম হয়ে নহির সাইজির হেমাশ্রমে-পাঁচ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!