ভবঘুরেকথা

ব্রাহ্মসমাজ

১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ২০শে আগস্ট, ১৭৫০ শকাব্দের, ১২৩৫ বঙ্গাব্দের ৬ই ভাদ্র, বুধবার ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা রামমোহন রায় কলিকাতায় চিৎপুর রোডের একটি গৃহে (বর্ত্তমানে ৪৮নং আপার চিৎপুর রোড) ব্রাহ্মসমাজ সংস্থাপিত করেন। সর্ব্বপ্রকার মূর্ত্তিপূজা পরিহার করিয়া এবং জাতি ও ধর্ম্ম নির্ব্বিশেষে সকল মানুষ একত্রে হইয়া একমাত্র নিরাকার পরমেশ্বরের উপাসনা করিবে, এই উদ্দেশ্য লইয়া ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারি, ১৭৫১ শকাব্দের, ১২৩৬ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ, শনিবার, রামমোহন রায ব্রাহ্মসমাজের একটি নিজস্ব উপাসনা গৃহ প্রতিষ্ঠিত করেন। এই গৃহ এখন আদি ব্রাহ্মসমাজের মন্দির নামে প্রসিদ্ধ। ইহা ৫৫নং আপার চিৎপুর রোডে অবস্থিত। এই মন্দিরে প্রতি রবিবার প্রাত:কালে ব্রাহ্মোপসনা হইয়া থাকে।

১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২১শে ডিসেম্বর, ১৭৬৫ শকাব্দের, ১২৫০ বঙ্গাব্দের ৭ই পৌষ, বৃহস্পতিবার, ব্রাহ্মসমাজের দ্বিতীয় নেতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিজ্ঞাপূর্ব্বক ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণের প্রথা প্রবর্ত্তিত করেন। তদবধি ব্রাহ্মগণ একটি সমাজবদ্ধ হইলেন।

১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জানুয়ারি, ১৮০২ শকাব্দের, ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ১০ই মাঘ শনিবার, সাধারণ ব্রাহ্মসামজের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহা কলিকাতায় ২১১ কর্ণওয়ালিস্ স্ট্রীটে অবস্থিত। এই মন্দিরে প্রতি রবিবার প্রাত:কালে ও সায়ংকালে ঈশ্বরের উপাসনা হয়। রবিবার ব্যতীত অন্যান্য দিনে মন্দিরের পশ্চাতে ২১০/৬ কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে (সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের শিবনাথ স্মৃতিভবনে সাধনাশ্রম উপাসনাগৃহে) প্রাত:কালে এবং সায়ংকালে ঈশ্বরের উপাসনা হয়।

১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই নভেম্বর, ১৭৮৮ শকাব্দের, ১২৭৩ বঙ্গাব্দের ২৬শে কার্ত্তিক, রবিবার, ব্রাহ্মসমাজের তৃতীয় নেতা কেশবচন্দ্র সেন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত করেন। ব্রাহ্মসমাজের আদিম উদ্দেশ্যের সহিত পারিবারিক ও সামাজিক সমুদয় দৈনিক কার্য্য এবং সমুদয় নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান ব্রাহ্মধর্ম্মানুমোদিত ভাবে সম্পন্ন করিতে হইবে, এই আদর্শ যোজনা করিয়া ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২২শে আগস্ট, ১৭৯১ শকাব্দের, ১২৭৬ বঙ্গাব্দের ৭ই ভাদ্র, রবিবার, ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের তাবৎ উদ্দেশ্যের সহিত, সমাজের সমুদয় সদস্যগণের মতানুসারে এবং নিয়মতন্ত্র প্রণালী অবলম্বনে ব্রাহ্মসমাজের কার্য্য সকল নির্ব্বহ করা, এই উদ্দেশ্য যোজনা করিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৮১ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে জানুয়ারি, ১৮০২ শকাব্দের, ১২৮৭ বঙ্গাব্দের ১০ই মাঘ শনিবার, সাধারণ ব্রাহ্মসামজের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহা কলিকাতায় ২১১ কর্ণওয়ালিস্ স্ট্রীটে অবস্থিত। এই মন্দিরে প্রতি রবিবার প্রাত:কালে ও সায়ংকালে ঈশ্বরের উপাসনা হয়। রবিবার ব্যতীত অন্যান্য দিনে মন্দিরের পশ্চাতে ২১০/৬ কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে (সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের শিবনাথ স্মৃতিভবনে সাধনাশ্রম উপাসনাগৃহে) প্রাত:কালে এবং সায়ংকালে ঈশ্বরের উপাসনা হয়।

সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের গ্রন্থাগার, কার্য্যালয় ও মুদ্রাযন্ত্র মন্দিরের দক্ষিণে ২১১/১নং কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে অবস্থিত।

…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ 
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!