ভবঘুরেকথা

শাস্ত্র

সত্যই ব্রাহ্মের শাস্ত্র। প্রচলিত কোন ধর্ম্মশাস্ত্রই সর্ব্বাশে সত্যে পূর্ণ নহে এবং প্রচলিত কোনও একখানি মাত্র ধর্ম্মগ্রন্থে সকল মানুষের সকল অবস্থার উপযোগী উপদেশ লাভ করা সম্ভব নহে। এজন্য প্রচলিত কোন ধর্ম্মগ্রন্থবিশেষকে ব্রাহ্মগণ অভ্রান্ত বা একমাত্র শাস্ত্র বলিয়া স্বীকার করেন না। পৃথিবলিতে যত ধর্ম্মশাস্ত্র প্রণীত হইয়াছে অথবা তাঁহার মধ্যে যাহা কিছু সত্য আছে বা থাকিবে, সে সমুদয়ই ব্রাহ্মের শাস্ত্র।

প্রচলিত কোন শাস্ত্রই অপৌরুষেল বা ঈশ্বর-লিখিত নয় ; সমুদয় শাস্ত্রই মনুষ্য-লিখিত। মনুষ্য অল্পজ্ঞান বলিয়া অল্পাধিক পরিমাণে ভ্রান্ত ; সুতরাং তাহাদের লিখিত শাস্ত্রও অল্পাধিক পরিমাণে ভ্রমযুক্ত হইবার সম্ভাবনা।

এই বিচিত্রতা যে সকল ক্ষেত্রে দোষের, তাহা নহে। কিন্তু এই বিচিত্রিতা হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে ধর্ম্মশাস্ত্রসকলে ঈশ্বরের প্রেরণা ও মানুষের ভাব (অধিকাংশ ধর্ম্মশাস্ত্রগ্রন্থে একাধিক যুগের একাধিক মানুষের ভাব) মিশ্রিত হইয়া রহিয়াছে।

প্রায় প্রত্যেক প্রাচীন ধর্ম্মসম্প্রদায়ই আপনার শাস্ত্রকে ঈশ্বর-লিখিত বা ঈশ্বর-আদেশে ঈশ্বর-প্রেরিত পুরুষের লিখিত বলিয়া থাকেন। কিন্তু দেখা যায যে তাঁহাদের লিখিত গ্রন্থসকলের পরস্পরের মধ্যে সর্ব্বাংশে ঐক্য বা সামঞ্জস্য নাই ; এমন কি, একখানি মাত্র গ্রন্থেরও সর্ব্বাংশে ঐক্য বা সামঞ্জস্য নাই।

তবে, কি প্রকারে সেই গ্রন্থসকল সমগ্রভাবে ঈশ্বর প্রদত্ত কিংবা ঈশ্বরদিষ্ট হইতে পারে? ঈশ্বর-লিখিত কিংবা পূর্ণরূপে তাঁহার আদেশের অনুগত হইয়া লিখিত হইলে সর্ব্বাংশেই ঐক্য থাকিত।

এই বিচিত্রতা যে সকল ক্ষেত্রে দোষের, তাহা নহে। কিন্তু এই বিচিত্রিতা হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে ধর্ম্মশাস্ত্রসকলে ঈশ্বরের প্রেরণা ও মানুষের ভাব (অধিকাংশ ধর্ম্মশাস্ত্রগ্রন্থে একাধিক যুগের একাধিক মানুষের ভাব) মিশ্রিত হইয়া রহিয়াছে।

…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ 
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!