ভবঘুরেকথা

হরি-বাসরেতে হরি কীর্ত্তন বিধান।
নৃত্য আরম্ভিল প্রভু জগতের প্রাণ।।
পুণ্যবন্ত শ্রীবাস অঙ্গনে শুভারম্ভ।
উঠিল মঙ্গল ধ্বনি গোপাল গোবিন্দ।।
সবার অঙ্গেতে শোভে শ্রীচন্দনের মালা।
আনন্দে সকল নাচে হইয়া বিহবলা।।
মৃদঙ্গ মন্দিরে বাজে শঙ্খ করতাল।
সংকীর্ত্তনের সঙ্গে নাচে হইয়া মিশাল।।

উঠিল মঙ্গল ধ্বনি জুড়িয়া আকাশ।
চৌদিকের অমঙ্গল হইল বিনাশা।
চতুর্দ্দিকে শ্রীহরি মঙ্গল সংকীর্ত্তন।
মধ্যে নাচে জগন্নাত মিশ্রের নন্দন।।
যার নামানন্দে শিব বাসন না জানে।
যার নামে শিব সে নাচে আপনে।।
যার নামে বাল্মীকি হইল তপোধন।
যার নামে অজামিল পাইল মোচন।।

যার নাম শ্রবণে সংসার বন্ধন ঘুচে।
যেন প্রভু অবতরি কলিযুগে নাচে।
যার নাম করিয়া শূক নারদ বেড়ায়।
সহস্র বদনে প্রভু যার গুণ গায়।।
সর্ব্ব মহাপ্রভু যে প্রভুর নাম।
সেই প্রভু নাচে দেখে যত ভাগ্যবান।।
হতেক পাষণ্ড জন্ম তখন না হইল।
হেন সংকীর্ত্তন তারা দেখিতে না পাইল।।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নিত্যানন্দ চাঁদ জানে।
বৃন্দাবন দাসে তছু পদযুগ গান।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!