(তাল-দশকুশী)
আমার গোঁসাইর কি ভাব, ভাবেই অন্ত কেবা পায়।
রাধা ঋণ শোধিত কি এত দায়।।
চৌদ্দ ভুবনেশ্বর, কে আপন তার কেবা পর
কার জন্যে কাঁদেরে সে নিরন্তর।
চৌদ্দ ভুবন হয় যার ঋণী, সে আবার কার ঋণী, এসব ভাব ঋণী।
ও এমন কে আছে তার ঋণের ভার কুলায়।।
রাধার ভাব ত’ বড়, এ বড় পদ কেবা দেয়,
যে বড় সে কত বড় ছোট হয়।
হ’ল দুই অঙ্গে এক অঙ্গ, শ্যামাঙ্গে পীতাংগ, শোভা করে অঙ্গ।
ও সে যার অঙ্গ তারই অঙ্গেতে মিশায়।।
মহাভাব শ্রীরাধার এ মহাভাব কেবা দেয়,
যে গোপীর উৎপত্তি হয় যার ইচ্ছায়।
ও তার ঋণ শোধিতে কতক্ষণ, যে দিন হয় মুক্ত বন জানি বিবরণ,
মায়াপুরীতে কত রাধা তার দ্বারী হয়।।
রাধার অন্তকারী কোটি রাধা যার দ্বারী,
সে কি হয় একটা রাধার দেনাদারী।
ও তার ফিকির বুঝিবে কে, রাধাকে ব্রহ্মাকে শুক শিব বাল্মীকে
ও সেই কৃষ্ণদাস কি লিখে তার সাধ্য হয়।।
গোঁসাই গোলকচাঁদ কয়, ও তার ভাব জেনে আর কার্য নাই
আয় সবে হরিচাঁদের গুণ গাই।
যদি তরবি এই ভবশমন, ভজ তার শ্রীচরণ, পাবি নিত্য ধন
সে ধন না পেয়ে, তারকের দিন বৃথা যায়।।