(তাল-যৎ)
রাধার ঋণ শোধিব ছিল বাসনা,
শ্রীধাম জান না, মনের ভাবনা,
সে অতি অসাধ্য সাধন, আমা হতে হবে না।
আমি বা কার কেবা আমার, আমার বলতে নাই যে আমার,
তবু বলি আমার আমার, আমি তাই কি জানলাম না।
আমার আমার যবে যাবে, তবে দেহ শুদ্ধ হবে,
বিশুদ্ধ প্রেম মহাভাবে, ঘটবে অকাম কামনা।
সম্বন্ধহীন প্রেম পিরীতি, কই ঘটে অবলার রীতি,
লয়েছি যার ভাবকান্তি, তারে আপন ভাবি না।
করতে যেমন ফকিরিটি, জাহির হল ফিকিরিটি,
যেমন গুপ্তি পাড়ার মাটি, শিব গঠিলে গঠে না।
আমার শ্রীরাধার তনু বাহিরে, তনু কি তাঁর নাম করে,
প্রাণ পাখী পালালে উড়ে, তনু তখন কাঁদে না।
সুখ দুঃখ ভিতরেতে, যোগ থাকে জীবাত্মার সাথে,
সমভাব পরমাত্মাতে, সে প্রেম আমার ঘটল না।
যেমন পিঞ্জিরাতে থাকে পাখী, পাখী বিনে পিঞ্জর ফাঁকি,
পিঞ্জরের আর সুখ দুঃখ কি, কোন কষ্ট লাগে না।
রাধার আনন্দ পারাবার, সার ভেবে দিয়াছি সাঁতার,
পাব কিনা আর কুল কিনার, ডুবে রই আর উঠব না।
আয় যাবি কে ত্বরায় করে, গুরুচাঁদ বসেছে তীরে,
ধরগে তোরা গুরুচাঁদেরে, নইলে রতন পাবি না।
সাগরে মকর গোলক, আর সব সিন্ধু ঘোটক,
কু-বিষয় কাম কূপে তারক, তার বিন্দু পেল না।