যদি নিত্যধামে যেতে কর বাসনা।
অনিত্য দেহ থাকিতে, নিত্যের করণ হবে না।।
আগে ‘লীলা’ ‘নিত্য’ দুটি শব্দের অর্থ কর
নিত্যধাম হয় পরম অংশ অনিত্য জীবন হবে ধ্বংস
মর্ম জেনে তার সার অংশ এঁটে ধর;
গুরু গঞ্জে মিলবে সেই নিত্যের খবর
মহাকাল বিষয় মায়া জাল কেটে চল ভব জঞ্জাল
জ্বালো গুরুর জ্ঞানের মশাল, যম যাতনা রবে না।।
যখন কেটে যাবে মহাকালের ঘোর বিপদ
ঘুচে যাবে ভব বন্ধন, উজ্জল হবে জ্ঞানের নয়ন
দেখবে তখন নিত্য ধামের সোজা পথ;
পিছন পানে ফিরবে না মন নেও শপথ
সেই পথে চল সামনে বারি দেখবে রসের রূপ মঞ্জুরী
যারে দেখলে জীবন হয় বলিহারী পূর্ণ হয় উপাসনা।।
যদি সেই রূপ মঞ্জুরী রূপে, রূপ মিশাতে চাও
অনুরাগ সাধনারি বলে স্থান পাবে সে হৃদ কমলে
দুগ্ধ জলে মিশে গেলে আর কি চাও;
তখন শীতল হবে তাপীত অঙ্গ লাগলে প্রেমের বাও
নিরানন্দ যাবে চলে থাকবে আনন্দময় ভূমণ্ডলে
ভেবে রজ্জব বলে তথায়, গেলে, জন্ম মরণ হবে না।।