আমায় পাগল করেছে রে কালার বাঁশিতে।
আমি কি ক্ষণে গিয়েছিলাম সই
যমুনায় জল আনিতে।।
মোহনমুরলী করে ঈষৎ বাঁকা বায়
ইশারাতে কথা বলে ভাবে বোঝা যায়;
সে-যে মন মজানো বাঁশি বাজায়
কুলজার কুল নাশিতে।।
হাসি মাখা মুখে যখন ওঠে বাঁশির তান
সেই হাসি মাখিয়া বুকে হাসে ফুলবাগান;
আমার কেড়ে নিয়েছে মন-প্রাণ
বঁধুর মধুর হাসিতে।।
না-জানি কেমনে আমার গোপন হিয়া
কোন শুভ লগনে তারে ফেলেছি দিয়া;
এখন বাড়ির পথে বারি নিয়া
পাপরি না সই আসিতে।।
পাগল বিজয় কয়, সেই সুরে মুদ্ধ দেবত্রিদিবের
কি সাধ্য আছে তাই বুঝবে আবদ্ধ জীবের;
কালার বাঁশির গান শুনিয়া শিবের
মন টিকলো না কাশিতে।।