(তাল – গড়খেমটা)
আমি কি আমাতে আছি;
হরিচাঁদের রূপে নয়ন দিয়ে (হারে) ঘরের বাহিরে হয়েছি।।
আমার মন পোড়া এক রোগ হয়েছে সখি, সেই জ্বালায় জ্বলে ম’রতেছি।।
মন পোড়া রোগের রীতি, (হারে) সদয়া জ্বলে বিষের বাতি;
আমার মন হয়েছে ছন্নমতি, কি করতে কিনা করতেছি;
হয়ে পাগল পারা, মাতোয়ারা, সখি কুলের ভয় ভুলে গিয়াছি।।
এ বড় কঠিন ব্যারাম, কিছুতে না হয় গো আরাম,
কেবল বলি মলেম মরমে মরে রয়েছি।
হরি চিন্তামণি ঔষধ দে গো এনে তবে সই পরাণে বাঁচি।।
(কেউ যদি বান্ধব থাক গো)
হরি প্রেম বিচ্ছেদ রোগে, আমি বাঁচিনা তার ভাব উদ্বেগে,
আমার মন লাগেনা ভোগে যোগে, যে রোগে রোগী হয়েছি।
আমি ক্ষনেক হাসি ক্ষনেক কাঁদি সখি, মন পোড়া বাউরি সেজেছি।।
লেগে সেই রূপের ছটা, আমার খসে প’ল পঞ্চ কাঁটা,
জাত কুলের পর দিয়ে বাটা, তরঙ্গে সাঁতার খেলতেছি;
যেদিক ফিরাই আঁছি, সেই দিক দেখি সখি, হরিময় জগৎ দেখিতেছি।।
তারক চাঁদ ডেকে বলে, স্বামী মহানন্দের সঙ্গ নিলে,
তার এই দশা ঘটে কপালে, স্বচক্ষে কত দেখেছি;
এবার অশ্বিনী ঐ রোগে মরুক জ্বলে, তা হলে আনন্দে নাচি!