ভক্ত-কন্ঠহার
আর এক সুবিচার অন্তরে জাগিল
দণ্ড ভাঙ্গি কমণ্ডলু কেন না ভাঙ্গিল।।
উভয়ের ভাব তাহা উভয়ে জানিলা।
শেষ লীলা কমণ্ডলু ভেঙ্গে হ’বে মালা।।
লক্ষ্মীকে করিয়া ত্যাগ কমণ্ডলুধারী।
কমণ্ডলু ভেঙ্গে লক্ষ্মী বলাইবে হরি।।
প্রভুর হাতের কড়া মান্য রাখি তার।
কমণ্ডলু হ’বে তার ভক্ত-কণ্ঠহার।।
সে কারণ অবতার হৈল প্রয়োজন।
শুদ্ধ প্রেম বিতরণ জীবের কারণ।।
সু-বিশুদ্ধ প্রেম দান গৌরাঙ্গ লীলায়।
সে প্রেম শোষিল প্রায় কলির মায়ায়।।
আদেশে গোলোকচন্দ্র নরহরি কায়।
রচিল তারকচন্দ্র ভেবে মৃত্যুঞ্জয়।।