আশ্রয় গুরুপাদশ্চ বৈষ্ণবোদ্দীপন: স্মৃত:।
প্রবর্ত্ত সাধক সিদ্ধিং ক্রমাৎ পঞ্চবিধাশ্রয়:।।
আশ্রয় নির্ণয় হয় পঞ্চম প্রকার।
শুন শুন ভক্তগণ সেই কথা সার।।
১. মন্ত্র, ২. নাম, ৩. ভাব, ৪. প্রেম আর ৫. রসাশ্রয়।
সাধন আশ্রয় এই পঞ্চরূপ হয়।।
প্রবর্ত্ত, সাধক সিদ্ধি ইহাতেই রয়।
প্রবর্ত্তের মন্ত্রাশয় আর নামাশ্রয়।।
নামাশ্রয় প্রথমেতে করিবে গ্রহণ।
কলুস নাশিয়া দেহ ক্রমেতে শোধন।।
প্রবর্ত্ত সাধক সিদ্ধি বিচার তাহাতে।
অবশ্য হইবে সিদ্ধি সংশয় কি তাতে।।
প্রবর্ত্ত হইলে সিদ্ধি সাধক তারপর।
সাধকত্ব সিদ্ধি হলে সিদ্ধে যায় নয়।।
প্রবর্ত্ত না হতে সিদ্ধ সাধক যে হয়।
বিধি প্রতিকুল তার জানিহ নিশ্চয়।।
সাধকেতে ভাবাশ্রয় গ্রহণ করিবে।
সিদ্ধিদেহে প্রেমাশ্রয় রসাশ্রয় নিবে।
শ্রীগুরু চরণাশ্রয় প্রবর্ত্তের চাই।
সখীর চরণাশ্রয় সাধকের ঠাই।।
সেবা আলম্বন তার কহিলাম এবে।
তার উদ্বীপনে রাধাকৃষ্ণ দরশিবে।।
স্মরণ মনন সিদ্ধ দেহচিন্তা আদি।
সাধকের ধর্ম্ম ইহা জেনো নিরবধি।।
শ্রীরাধা চরণদ্বয় সিদ্ধের আশ্রয়।
আলম্বন সখী সঙ্গ জানিও নিশ্চয়।।
উদ্দীপন তত্ত্ব তার শুনহ প্রচুর।
নব কাদম্বিনী ভৃঙ্গ কোকিল ময়ুর।।
এই কহিলাম উদ্দীপনের লক্ষণ।
রাগের আশ্রয় এবে করিব বর্ণন।।
সিদ্ধের সে অনুরাগ হইবে নিশ্চয়।
নিবৃত্তি হইলে তারে প্রেমরাগ কয়।।
প্রেমরাগে প্রাপ্তি হয় জানিও নিশ্চয়।
সাধকের লীলাবাগ হইবে উদয়।
প্রবর্ত্তের শ্রদ্ধারাগ হয় উদ্দীপন।
নামে রুচি হলে মন্ত্র করিও গ্রহণ।।
আশ্রয় নির্ণয় এই করিলাম সার।
দেশ-কাল-পাত্র কথা শুন কহি আর।।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস