আষাঢ়ের কোন্ ভেজা পথে এলো এই এলো রে
এলো আবার দূরন্ত শ্রাবণ,
আমার এমনি দিনে মনের কূলে
লেগেছে ভাঙন।।
চূর্ণি নদীর ঘূর্ণি পাকে যেথা পলো চর
সেই চরেতে বেধেছিলাম বসতি এক ঘর;
শেষে ভেঙ্গে গেলো দিন কয়েক পর
এসে এক প্লাবন।।
ছাড়া ভিটের হিজল গাছে জলপরি কন্যা
উদাস চোখে চেয়ে দেখে শ্রাবণের বন্যা;
আমি কাঁদি তাহার কান্না
তার কি নাই কাঁদন।।
মেঠো আগুন নেভেরে জলের ছিটা লেগে
রাবণের চিতা নেভে না শ্রাবণের মেঘে;
ও সেই আগুন জ্বলে দ্বিগুণ বেগে
দুর্সহ দাহন।।
প্রাবণ আসিলো ফিরে একটি বছর পর
ফিরে আসার আশা নাই আর জলে ভাষা ঘর;
পাগল বিজয় বলে, এমন তরো
বিধাতার বাঁধন।।