ওড়াকান্দী হাইস্কুল স্থাপন
উনিশ শ আট অব্দে আছে নিরূপণ।
ওড়াকান্দী হাইস্কুল হইল গঠন।।
প্রভুর জমির পরে ঘর তুলি দিল।
সেই ঘরে প্রথমেতে স্কুল হইল।।
হইল অষ্টম শ্রেণী শ্রেণীর নিশানা।
সেইভাবে হাইস্কুল হইল গঠনা।।
সরকারী সাহায্যাদি পাইবার আশে।
দরখাস্ত করে মীড ডিরেক্টর পাশে।।
কমিশনারের তাতে সুপারিশ ছিল।
অনায়াসে সরকারী সাহায্য মিলিল।।
প্রতিমাসে পচাত্তর টাকার প্রমাণ।
সরকার হতে করে সেই স্কুলে দান।।
এইভাবে চারিবর্ষ ক্রমে গত হয়।
মঞ্জুর হইল স্কুল প্রভু কৃপায়।।
স্কুলের অর্থ লাগি আপনি ঠাকুর।
মীড সহ ঘুরিলেন বহু বহু দুর।।
নিজ ভক্ত হতে প্রভু অর্থ চাহি লয়।
বারশত টাকা প্রভু এইভাবে দেয়।।
এইত নমঃর মধ্যে আদি বিদ্যালয়।
ওড়াকান্দী শীর্ষস্থাপন তাতে সবে কয়।।
এই বিদ্যালয় হতে শিক্ষা পেল যারা।
অনুন্নতজাতির মধ্যে মান্যবান তারা।।
উকিল মোক্তার কত ডাক্তার হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কত চাকুরী পেয়েছে।।
ব্যারিষ্টার হল কেহ হল ইঞ্জিনিয়ার।
কেহ হন মুনসেফ, কেহবা পেস্কার।।
কাউন্সিল, য়্যাসেমব্লীর মেম্বর হয়েছে।
এম,এ,বি,এ পাশ করা কতই রয়েছে।।
সবের মূলেতে দেখি শ্রীগুরুর দয়া।
তাঁর দয়া-বৃক্ষ-তলে পেল সবে ছায়া।।
যে কার্য করেন প্রভু জীবে তাই ধরে।
এ-আদর্শ দেখে স্কুল আজ ঘরে ঘরে।।
প্রভুর কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীসুরেন্দ্র নাথ।
এই স্কুলে পাঠ করে সহপাঠী সাথ।।
ঊনিশ শ বার অব্দে পাঠ সাঙ্গ করি।
প্রবেশিকা পাঠ করে বলে হরি হরি।।
প্রভু সঙ্গে পূর্ব্বে মীড অঙ্গীকার কৈল।
যেমন করিল মীড তেমনি হইল।।
প্রতি ক্লাশে এক ঘন্টা বাইবেল পড়ে।
দেখিয়া মীডের প্রাণ আনন্দেতে নড়ে।।
কল্পনাতে মীড স্বপ্ন করয় রচন।
অবশ্য খৃষ্ঠান হবে এর কতজন।।
মনে মনে প্রবু তাতে নহে কিন্তু বাধ্য।
চক্রীর চক্রান্ত-ভেদ নরে নহে সাধ্য।।
সে সব বৃত্তান্ত পরে করিব লিখন।
এবে বলি অন্য যাহা আছে বিবরণ।।
স্কুলের জন্যেতে মীড বহু চেষ্টা করে।
প্রভু বলে ধন্য মীড তুমি এ সংসারে।।
যে কার্য করিলে তুমি দয়ার সাগর।
এই কার্যে নাম তব হইবে অমর।।
প্রভুর বচন সত্য হল পরে পরে।
বৃদ্ধাকালে মীড গেল আপনার ঘরে।।
অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশে আপন আলয়।
কর্ম্ম শেষে যীশু-ভক্ত দেশে চলি যায়।।
তাঁর কীর্তি মনে করি নমঃশূদ্র সব।
ওড়াকান্দী স্কুলে রাখে গুণের সৌরভ।।
“ওড়াকান্দী মীড স্কুল’ করিয়াছে নাম।
মীড কীর্তি-ধ্বজা সেথা উড়ে অবিরাম।।
নমঃশূদ্র আদি শিক্ষাকেন্দ্র ওড়াকান্দী।
প্রভুর করম-ক্ষেত্রে কর জোড়ে বন্দি।।