পাগলের দৈব তামাক সেবন
পয়ার
একদা গোলোকচন্দ্র নিশীথে নিদ্রায়।
জাগরিত রাত্রি দুই যামের সময়।।
হরিচাঁদ রূপ চিন্তা করেছেন বসে।
ওঢ়াকাঁদি বাটী ঝাড়ু দিতেছে মানসে।।
এমন সময় হ’ল তামাক পিয়াস।
বাঞ্ছাকল্পতরু হরি জগতে প্রকাশ।।
হুঁকায় পুরিয়া জল তামাক সাজিয়া।
গোস্বামীকে মহানন্দ হুঁকা দিল নিয়া।।
তামাক সেবন করি হুঁকা দেওয়া ছলে।
ডাকিলেন মহানন্দ মহানন্দ বলে।।
নিদ্রাগত মহানন্দ নাহি শুনে ডাক।
মহানন্দে না দেখিয়া গোস্বামী অবাক।।
গা তুলে গোস্বামী যান মহানন্দ দ্বারে।
ডাকিলেন মহানন্দ আছ নাকি ঘরে।।
মহানন্দ বলে মোরে ডাক কি কারণ।
গোস্বামী বলেন কেন এত অচেতন।।
আমাকে তামাক খেতে হুঁকা ধরে দিলে।
আশা মাত্র এত ঘুম কেমনে ঘুমালে।।
মহানন্দ বলে আমি হুঁকা দেই নাই।
রাত্রির মধ্যেতে আমি বাহিরে না যাই।।
নাগরে জিজ্ঞাসা করে হুঁকা দিলে নাকি।
নাগর বলিল আমি কবে দিয়া থাকি।।
গোস্বামী গোলোক মনে মানিল আশ্চর্য।
রচিল তারক এত ঠাকুরের কার্য।।