একবার জগন্নাথে দেখ না রে যেয়ে
জাতকূল কেমন রাখ বাঁচায়ে
চন্ডালে রাঁধিলে অন্ন ব্রাহ্মণে তাই খায় চেয়ে।।
জোলা ছিল কুবীর দাস
তার তুড়ানি বার মাস
উঠিছে উথলিয়ে;
সেই তুড়ানি খায় যে ধনি
সেই আসে দর্শন পেয়ে।।
ধন্য প্রভু জগন্নাথ
চায় না রে সে জাত অজাত
ভক্তের অধীন সে;
জাতবিচারি দুরাচারি
যায় তারা সব দূর হয়ে।।
জাত না গেলে পায় না হরি
কী ছার জেতের গৌরব করি
ছুঁসনে বলিয়ে;
লালন কয় জাত হাতে পেলে
পোড়াতাম আগুন দিয়ে।।