(তাল-গড়খেম্টা)
এবার বেদ বিধি দাও ছেড়ে,
এবার বেদ বিধি দাও ছেড়ে।
ও তুই বেদ বিধি জড়িয়ে রলি, হরি পাবি কেমন করে।।
১। দেখ বেদ বিধির উপর, হরিধন রয় নিরন্তর,
হও যদি বেদ বিধি পার, তাহলে পারিবে তাহারে।
ময়লা বাঁধে মনে, বেদ বিধানে ময়লা নাহি ছাড়ে,
যদি হরি পেতে আশা কর, রাগের ঘরে থাক মরে।।
২। যেমন ঐ সমুদ্রেতে, এনে বালু তুফানেতে,
নিদারুন চর ফেলে তাতে, তেম্নিরূপ বেদ বিধিতে করে।
(লোকের)মনের ভ্রান্ত, বেদবিধান্ত মতে কার্য্য করে,
ঐ বেদের বিধান না না হইলে মনের ময়লা যায় না দুরে।।
৩। দেহ গুরুকে দিয়ে খাস প্রজা থাক হয়ে,
খাসমহলে নাম লেখাইয়ে, থাক সেই খাস মালিকের ঘরে।
এবার হরি নামের মাজন সদা, রেখ অন্তপুরে,
কাটবে দেহের ময়লা, মন দোদিলা, কোটি জন্ম জন্মান্তরে।।
৪। ডেকে বলে আদত্য, হইল বেদ বিধি যত,
তাতে নাই রে সার পদার্থ, হরি নামে সর্ব্ব পাপ হরে।
হরি গোসাই বলে, গয়া গেলে, পিন্ডে কি পাপ যায় রে,
ভেবে দেখ নাম সূক্ষ, দীনা মূর্খ, নামে কোটি কুল তরে।।
………………………………………
লোক শিক্ষা
রাগিনী-উল্টাকেশী