সূর্যনারায়ণের সর্পাঘাত
পয়ার
এবে শুন স্বামী হীরামন গুণ কথা।
লেখা আছে ডুমুরিয়া পূর্বের বারতা।।
স্বামী হীরামন যবে ডুমুরিয়া গেল।
সূর্য নারায়ণ যে তামাক সেজে দিল।।
কলিকা ঢালিয়া পরে মৃত্তিকা উপরে।
বলে এই তামাক রাখ যতন করে।।
তামাক যতন করে গৃহেতে রাখিস।
সাপে কামড়ালে, খেলে সেরে যাবে বিষ।।
সেই যে তামাকটুকু যতন করিয়া।
ঝাঁপিয়া ভিতরে রাখে পুটলী বাঁধিয়া।।
সাতাশে তারিখ চৈত্র মাস বুধবার।
বেদগ্রামে যাইবেন গান গাইবার।।
বাটী গিয়া বলে মোরে শীঘ্র দেও খেতে।
গান গাইবারে হ’বে বেদগ্রামে যেতে।।
ইহা বলি ব্যস্ত হ’য়ে হইল উতলা।
জাগ দেওয়া তিল ছিল ভেঙ্গে দিল পালা।।
পালা ভাঙ্গি উঠানেতে দিল ছড়াইয়া।
তার মধ্যে সর্প ছিল দংশিল আসিয়া।।
দেখিল গোক্ষুর সাপ গেল দৌড়াইয়ে।
বিষের জ্বালায় চক্ষু গেল লাল হ’য়ে।।
তাহার অগ্রজ ভ্রাতা সে উমাচরণ।
ব্যস্ত হ’য়ে বলে ওঝা আন একজন।।
নোয়া ভাই তাহার যে রামচাঁদ ছিল।
ইতিপূর্বে সর্পাঘাতে সে জন মরিল।।
ইনিও মরিল বুঝি সাপের দংশনে।
শীঘ্র আন ওঝা নহে বাঁচা নাহি প্রাণে।।
গোলোক ওঝা আনিতে ধাইয়া চলিল।
দেখে সূর্যনারায়ণ নিষেধ করিল।।
যে তামাক দিয়াছিল পাগল গোঁসাই।
খাইলে সারিবে বিষ আন তাই খাই।।
ঝাঁপি হ’তে তামাক বাহির করে দিল।
তামাক গালেতে দিয়া জল খাওয়াল।।
নেশা হ’য়ে সেইভাবে দণ্ড চারি ছিল।
অমনি সাপের বিষ নির্বিষ হইল।।
স্নান করি আহার করিল ততক্ষণ।
বেদগ্রামে কবিগানে করিল গমন।।
তামাক দিলেন মুখে নির্বিষ বলিয়ে।
গোক্ষুরের খর বিষ গেল নিশ হ’য়ে।।
শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত ভক্তের আখ্যান।
রচিল তারক ভক্ত চরিত্র সুগান।।