(তাল-রাণেট)
ওরে সখীরে!
ঐ যে নীলাম্বর পরে, ধরে দে মোর পীতাম্বর রে
না দেখে শ্যাম জলধরে, নয়নে না জল ধরে রে
(আমায় ধরে দে ধরে দে দেরে সই)
ওরে সখীরে!
আমি বহু দিন তার অদর্শনে, জ্বলি বিচ্ছেদ হুতাশনে রে,
আমি যাই শ্যামের অন্বেষণে, পড়েছিলাম ধরাসনে রে,
দেখে চিত্ত কি ধৈর্য ধরে।
ওরে সখীরে!
আমি নয়ন দিয়ে কালরূপে, পড়েছি কলঙ্ক কূপে রে,
এখন সবে তুচ্ছ কথায় তুলে, দ্বন্দ্ব ছলে মন্দ বলে রে,
যাই না কার কাছে লজ্জা ডরে।।
ওরে সখীরে!
ঐ যে বিজলী বসন পরা, দাঁড়িয়েছে মনচোরা রে,
ধরা দিবে না ভেবেছেন মনে, গিয়েছেন দূর গগনে রে,
তবে কাজ কি আমার কলেবরে।
ওরে সখীরে!
ঐ যে লইয়া ময়ূরের পাখা, উড়ে যায় ত্রিভঙ্গ বাঁকা,
সখী! কালা জল খেলার ছলে, বসন ভিজাল জলে রে,
কেন অসময় চাতুরী করে।
ওরে সখীরে!
আমি পূর্বেতে নিত্য তুচ্ছ মনে, কাঁদিয়েছি ভগবানে রে,
বুঝি সেই অপরাধে, রাধে ত্যজিল হরি পরিবাদে রে,
আমি যাব এখন কোথাকারে।।
(মনের দুঃখ আর বলব কারে)