(তাল-একতালা)
ওগো শ্রীধাম মন্দিরে উচ্চৈঃস্বরে যবে করে সংকীর্তন।
ওগো ভক্তের সঙ্গে মন রঙ্গে, প্রেম রসেতে হয়ে মগন।
হরিচাঁদ রূপ দর্শনে, ধারা বহে দুনয়নে,
শিব নেত্র কোন জনে, কেহ বা ধরায় পতন।
কেহ বা পড়েছে ঢলে, কেহ বা ধরে তোলে,
মুখে হরি হরি বলে, ভেসে যায় গোঁসাই হীরামন।
কেহ বা হরিনাম সুধায়, তবু না হয় জ্ঞানের উদয়,
বাহ্যজ্ঞান নাইকো হৃদয়, মহাভাবে অচেতন।
স্বেদ অশ্রু প্রলাপ লম্ফ, ক্ষণেক হতেছে কম্প,
ক্ষণেক করে বীর দম্ভ, সঙ্গে রঙ্গে নাচে শমন।
ওগো মহানন্দের প্রেম হিল্লোলে, প্রেম সিন্ধু জল উজান চলে,
আনন্দে প্রেম সলিলে, সাঁতার খেলে ভক্তগণ।
দয়াল গুরুচাঁদ গোঁসাই, ভবে এমন আর দেখি নাই,
গেল রে শমনের বড়াই, ভবে এল গোলকের ধন।
গোলকচাঁদের হুহুঙ্কারে, অখণ্ড ব্রহ্মাণ্ড নড়ে,
তুফান উঠল মটকা ফুড়ে, ডুবল সব পাষণ্ডের গণ।
কেউ করে হরিধ্বনি, কেউ করে উলুধ্বনি,
শুনিয়া সেই সিংহের ধ্বনি, তরাসে পলায় কাল শমন।
হরিচাঁদের প্রেম সাগরে, তারকচাঁদ দাঁড়িয়ে তীরে,
ডেকে কয় উচ্চৈঃস্বরে, ডুবল গোঁসাই হীরামন।
গোলকচাঁদ সাঁতার খেলে, মহানন্দ ডেকে বলে,
অশ্বিনী তুই রলি ভুলে, ডুবলি না জনমের মতন।
…………………………………………………………………..
অশ্বিনী গোঁসাই