ওরে শ্যামল বংশীওয়ালা নন্দলালা
পরান কাল রে মরম দরদিয়া।
একা ছিলাম জলের ঘাটে সহসা চাহিয়া
দেখি এলে তুমি যমুনার কূলে ফুলঝরা পথ দিয়া।।
সুন্দরচিকন কটিতটে শোভে পীতধড়া
তোমার অঙ্গে রঙিনউত্তরিয় গলে গুঞ্জছড়া
নন্দন সৌন্দর্যে গড়া;
আমার মনের তীরে ভাঙ্গা গড়া উঠিলো জাগিয়া
আমি কেমনে রাখিবো বন্ধু ধৈরয বাধিয়া।।
কতো লোক এই পথে গেছে তোমার আসার আগে
তুমি আসন পেতে বসলে আমার মনের কুসুম বাগে
প্রিয় পিরিতি সোহাগে;
আমার আর কিচু না ভালো লাগে তোমারে ছাড়িয়া
আমি এ-জ্বালা জানি নাই আগে দিন যাবে কাঁদিয়া।।
জনসমাজে মন বসেনা থাকি আপন লয়ে
আমি আনমনা করি গৃহকাজ ব্যথাবেদন সয়ে
জ্বলে রয়ে রয়ে;
কাউকে যদি জানাই কয়ে শোনে না মন দিয়া
রইবে আর কত কাল নির্দয় হয়ে হৃদয় বিনোদিয়া।।
পাগল বিজয় বলে, হাসি কান্না তোমার অনুরাগে
তুমি যতো কাঁদাও ততো তোমায় কতো ভালো লাগে
প্রাণে প্রীতিপরশ জাগে;
বিরহ মিলসোহাগে ওঠে সে দুলিয়া
শেষে মিলনকমল ফুটে ওঠে পাষাণ ভেদিয়া।।