(তাল-ঠুংরী)
ওড়াকান্দি প্রেম বারুণী প্রেমের মেলা দেখসে আয়।
দেখবি যদি নাই বিবাদী পাগলচাঁদ আছে সহায়।।
গৌরলীলা সাঙ্গকরি, ওড়াকান্দি এলেন হরি দয়াময়।
প্রভুর কড়ার ছিল মায়ের সনে গো ঠেকে এলেন ভক্তের দায়।।
প্রভুর পিতা হন যশোমন্ত, শুদ্ধ শান্ত একান্ত সদাশয়।
প্রভুর দীক্ষাগুরু রামকান্ত (গো) যার বরেতে জন্ম লয়।।
সাঙ্গোপাঙ্গ লয়ে সঙ্গে, উদয় হলেন পরম রঙ্গে পুনরায়।
প্রভুর প্রিয়ভক্ত বিশ্বনাথ (গো) ব্রজনাটু সঙ্গে রয়।।
শ্রীরাধার ভান্ডারের প্রেমধন, জগতে করলেন বিতরণ গোরা রায়।
পুরায় প্রেমাভিনয় করি, গুরুচাঁদ হলেন ভান্ডারী প্রেমালয়।
হলেন গোলোকচন্দ্র আবাদকারী (গো) মহানন্দ প্রেম বিলায়।।
হীরামন পেয়ে প্রেম রতন, উষারিয়া করে ভোজন রসনায়।
হয়ে অনুরাগী সর্বত্যাগী (গো) জলের পর নেচে বেড়ায়।।
তারকচাঁদ প্রেম বণিত হয়ে, জাহাজ লয়ে বেড়ায় বেয়ে, ও কে নিবি আয়।
প্রেম যে নিয়েছে সেই মেতেছে (গো), পাথারে সাঁতার খেলায়।।
দশরথ মৃত্যুঞ্জয় লোচন, তারা হয় প্রেমের মহাজন এ ধরায়।
কত পূজক ধ্যানী কর্মী জ্ঞানী (গো), প্রেম দিয়ে তাকে ডুবায়।।
লক্ষীখালীর গোপাল সাধু, পান করে হরিনামের মধু মেতে যায়।
সে আপনি মেতে জগত মাতায় (গো), যার নামেতে বাঘ পলায়।।
হরিবর মনোহর তারা, ডুবল মুদি নয়নতারা প্রেম গোলায়।
তারা ডুবাইল পুরুষ নারী (গো), হরি চাঁদের প্রেম বন্যায়।।
বলে গোঁসাই মহানন্দ, অশ্বিনী তোর কর্ম মন্দ দুরাশায়।
কেন অভিমানের স্তম্ভ করি (গো), তুই বসে রলি এ সময়।।