(তাল-রাণেটী)
(আমার) আর কবে ঘুচিবে গুরু, সাধন ভজন পৈশাচ বৃত্তি।
আমার সুখাভিলাষ, হবে বিনাশ, গুরুপদে হবে আর্ত্তি।।
নিষ্কাম বৃক্ষের মূলেতে যাব (হারে) বিচ্ছেদ অগ্নিকুন্ড জ্বেলে বসিয়া রব।
(আমি) চিন্তাভষ্ম গায় মাখিব, (ও গুরু আমি) কাঁদব বলে গুরুপতি।।
ধর্ম পূণ্য হবে বিসর্জন, কবে হবে গুরুপদে আত্ম সমর্পণ।
আমার জ্ঞান পুত্রের হইবে মরণ, (ওরে) ঘটবে প্রেম অবলার রীতি।।
কবে আমার ঘুচবে শুচি বাই, অঘোর পন্থী হয়ে সদা কাঁদিয়া বেড়াই।
(আমি) সন্ধ্যার মুখে মাখিয়া ছাই, (ও কবে) মধ্যাহ্নকে করব স্থিতি।।
কবে আমার ঘুচবে আমিত্ব, গুরুর পদে মন মজাইয়ে করিব নৃত্য।
(আমি) হব গুরুর অনুগত, (আমার) জ্বলবে হৃদয় বিচ্ছেদ বাতি।।
দয়াল মহানন্দ আনন্দ রবি, কবে হৃদয় উদয় হবে (আমি) বসে তাই ভাবি।
গোঁসাই তারকচাঁদ কয়, দেখতে পাবি (ওরে) অশ্বিনী হ’ ছন্নমতি।।