আজি কি আনন্দ গো সই কুঞ্জ কাননে
তোমরা রাই শ্যামে মিলে,
করলে রামের লীলে
সকলে তুষ্ট মনে মনে।।
তুষ্ট হয় কৃষ্ণময় সইগো এখানে
এখন কৃষ্ণ যত সখি তত, হয় নাকে সীমা
বুঝতে পারিনে গুণময় গুণের মহিমা;
তোমরা সব সখিতে রইলে ঘিরে
আমি বসব কোন খানে।।
হয়ে পূর্ণ শশী নিশি ঋতু বসস্ত
যে নিধি সৃজিলেন বিধি
দেখিতেছি গুণ তার অনন্ত;
হরি নামের সৃষ্টি করলেন আসি
তাই বুঝি বৃন্দাবনে।।
হরির মন বিহারী ফুল হরি হেরছে মন হবা,
গুন গুন গুন গুন স্বরে গুঞ্জরে ভ্রমর,
লাল করবী শ্বেত করবী
অপরাজিতা, মালতি আর যুথী জাতি,
শোভিত তাতে, ফুল কৃষ্ণ কলি বেল চামেলি,
পুষ্প গন্ধরাজ, সেউতি স্বর্গের কেতকী,
যার প্রতি ক্ষান্ত আলী রাজ, কি দেখিতে তোফা,
কনকচাঁপা ভূইচাঁপা তার মাঝখানে।।
জলে নীল কমল রক্ত কমল
শ্বেত কমল প্রকাশে
কলমী কমল করে আমোদ প্রমোদ
সেই জলেতে ভাসে
সে রাত্র পেয়ে মুদিত হয়ে
ছিল গো যখন
শ্রী কৃষ্ণ দরশনে।।
সে রাসে হচ্ছে দরশন
কেলী কদম্বের গাছের ডালে বসে
বলছে কোকিলে
ধন্য ধন্য সেই কুল কামিনী
জননী গর্ভে ধরিলে
এখন কৃষ্ণ যত সখি তত
রাই বামে শ্যাম দক্ষিণে।।